21984

06/29/2024 ঈদের নামাজ শেষে ১৭তম শিক্ষক নিবন্ধনে সুযোগবঞ্চিতদের মানববন্ধন

ঈদের নামাজ শেষে ১৭তম শিক্ষক নিবন্ধনে সুযোগবঞ্চিতদের মানববন্ধন

রাজ টাইমস ডেস্ক :

১৭ জুন ২০২৪ ২০:২৩

পবিত্র ঈদুল আজহার নামাজ শেষে মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করেছে বয়সের কারণে বাদ পড়া ১৭তম শিক্ষক নিবন্ধনে অংশগ্রহণকারীরা। শিক্ষক নিবন্ধনে চূড়ান্তভাবে উত্তীর্ণ হয়েও ৫ম গণবিজ্ঞপ্তিতে আবেদনের সুযোগবঞ্চিত ৭৩৯ জন প্রার্থী এ মানববন্ধন ও অবস্থান কর্মসূচি পালন করেন।

সোমবার (১৭ জুন) ঈদুল আযহার নামাজ আদায় শেষে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে মানববন্ধন কর্মসূচি পালিত হয়।

এতে অংশ নেওয়া চাকরিপ্রার্থীরা জানান, ২০২০ সালের জানুয়ারি মাসে ১৭তম নিবন্ধনের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়। প্রিলি, লিখিত ও ভাইভা পর চূড়ান্ত ফল প্রকাশিত হয় গত বছরের ২৮ ডিসেম্বরে। এক বছরের একটি নিবন্ধনের কার্যক্রম শেষ করতে প্রায় চার বছর লেগেছে। এতে মোট ৭৩৯ জনের অংশগ্রহণকারীর বয়স পার হয়ে গেছে। ফলে সনদের মেয়াদ ৩ বছর হলেও তাদের একবারও আবেদনের সুযোগ দেওয়া হয়নি। অথচ বিগত সবগুলো গণবিজ্ঞপ্তিতেই বয়সে ছাড় দেওয়া হয়েছে।

নিবন্ধনে উত্তীর্ণ এসব চাকরি প্রত্যাশীর প্রশ্ন, চাকরি হবে না তাহলে পাস কেন করানো হলো? সনদ-ই বা কেন দেওয়া হলো?

মানববন্ধনে অংশ নিয়ে হামিদুর রহমান রন নামে এক ভুক্তভোগী বলেন, গ্রামের বাড়িতে থাকা প্রিয়জনদের সঙ্গে ঈদের আনন্দ ভাগাভাগি না করে রাজধানীতে মানববন্ধন করছি। এটি কতটা কষ্টকর তা কেবল আমরাই জানি। আমাদের দুঃখ দেখার কেউ নেই। এনটিআরসিএর ভুলের কারণে ৭৩৯ জন নিবন্ধনধারীর ভবিষ্যৎ অনিশ্চিত। এনটিআরসিএ এ দায় এড়াতে পারে না।

অপর এক নিবন্ধনধারী চাকরি প্রত্যাশী বলেন, ১৭তম নিবন্ধনে উত্তীর্ণ সকলের চাকরি হয়েছে। শুধু আমরা ৭৩৯ জন বাদ পড়েছি। ঈদের আগে এনটিআরসিএ’র কর্মকর্তারা আমাদের শিক্ষামন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠকে বসার ব্যবস্থা করে দেওয়ার আশ্বাস দিয়েছিলেন। তবে তারা তাদের সেই কথা রাখেনি।

এর আগে, একই দাবিতে এনটিআরসিএর কার্যালয় ও জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে একাধিকবার মানববন্ধন ও আমরণ অনশন কর্মসূচি পালন করেন সারাদেশের বয়স শেষ হওয়া ১৭তম শিক্ষক নিয়োগের নিবন্ধনধারীরা। এছাড়া আবেদনের সুযোগ চেয়ে প্রধানমন্ত্রী, জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়, শিক্ষা মন্ত্রণালয় এবং এনটিআরসিএ’র চেয়ারম্যান বরাবর স্মারকলিপিও দিয়েছেন তারা।

প্রকাশক ও সম্পাদক : মহিব্বুল আরেফিন
যোগাযোগ: ২৬৮, পূবালী মার্কেট, শিরোইল, ঘোড়ামারা, রাজশাহী-৬০০০
মোবাইল: ০৯৬৩৮ ১৭ ৩৩ ৮১; ০১৭২৮ ২২ ৩৩ ২৮
ইমেইল: [email protected]; [email protected]