04/20/2025 বগুড়ায় নিখোঁজ একই পরিবারের সাত সদস্য রাঙামাটি থেকে উদ্ধার
রাজটাইমস ডেস্ক:
৯ জুলাই ২০২৪ ২০:১৫
বগুড়া শহরের নারুলী এলাকা থেকে রহস্যজনকভাবে একই পরিবারের নিখোঁজ সাতজনকে উদ্ধার করেছে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)।
সোমবার (৮ জুলাই) রাঙামাটি সদরের চেয়ারম্যান পাড়া থেকে তাদের উদ্ধার করা হয়। পিবিআইয়ের দাবি, কেউ তাদের অপহরণ করেনি। দারিদ্রতার কারণে নিয়মিত পারিবারিক কলহ থেকে বাঁচতে রোজগার করে স্বাবলম্বী হওয়ার উদ্দেশ্য নিরুদ্দেশ হন তারা।
মঙ্গলবার (৯ জুলাই) দুপুরে বগুড়ার পিবিআই কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে ইন্সপেক্টর জাহিদ হোসেন মন্ডল এক প্রেস ব্রিফিংয়ে বলেন, লালমনিরহাটের খোঁচাবাড়ি এলাকার আব্দুর রহমান প্রায় ১০ বছর ধরে বগুড়ার নারুলীতে ভাড়া বাড়িতে থাকেন। তার সঙ্গে স্ত্রী ফাতেমা বেগম, ছেলে বিক্রম আলী, ছোট মেয়ে রুমি, বড় মেয়ে রুনা, রুনার স্বামী জীবন, যমজ নাতী হাসান-হোসেন ও নাতনী বৃষ্টি খাতুন একসঙ্গে থাকতেন।
কিন্তু সংসারে আয়-রোজগার না থাকায় নিয়মিত কলহে লিপ্ত হতেন তারা। এ কারণে রোজগারের আশায় গত ৩ জুলাই ফাতেমা তার স্বামী ও জামাইকে কিছু না জানিয়েই পরিবারের সব সদস্যদের নিয়ে রাঙামাটি জেলার বুড়িরহাট এলাকায় এক আত্মীয়ের বাড়িতে পালিয়ে যান। ফাতেমা এর আগেও অনেকবার গিয়েছিলেন বলে সেখানকার পথঘাট পরিচিত ছিল তার। কিন্তু পারিবারিক কলহের কারণে তারা কোথায় গেছেন সেটি স্বামী ও জামাইয়ের কাছে গোপন রাখেন।
ইন্সপেক্টর জাহিদ আরও জানান, বিভিন্ন জায়গায় খোঁজখবর করেও পরিবারের সদস্যদের সন্ধান না পেয়ে বগুড়া সদর থানায় জিডি করেন আব্দুর রহমান। পরে পিবিআই জিডির সূত্র ধরে ছায়া তদন্ত শুরু করলে রাঙামাটিতে তাদের সন্ধান পান।
উদ্ধার হওয়ার পর ফাতেমা জানান, তাদের বাড়ি লালমনিরহাটে হলেও বগুড়া শহরের নারুলীতে ভাড়া বাসায় থাকতেন। তার স্বামী আব্দুর রহমান কখনো বগুড়া শহরে আবার কখনো লালমনিরহাটে থাকতেন।
ফাতেমা নারুলী পুলিশ ফাঁড়িতে রান্নার কাজ করতেন। তার বড় মেয়ের জামাই জীবন মিয়াও তাদের সঙ্গে থেকে পুরোনো ফ্রিজ বেচাকেনার কাজ করতেন। তার স্বামী ও জামাই তাকে টাকার জন্য সব সময় চাপ দিতেন এবং মানসিক নির্যাতন করতেন। এ কারণে তারা নিজের আয়ে স্বাবলম্বী হওয়ার পরিকল্পনা করে পালিয়ে রাঙামাটিতে এক আত্মীয়ের বাড়িতে আশ্রয় নেন। পরে সেখানেই কাজের সন্ধান করতে থাকেন তারা।