2311

05/19/2024 পুঠিয়ায় মানুষিক প্রতিবন্ধি অন্তঃসত্ত্বা, ধর্ষক সন্দেহে আটক-১

পুঠিয়ায় মানুষিক প্রতিবন্ধি অন্তঃসত্ত্বা, ধর্ষক সন্দেহে আটক-১

নিজস্ব প্রতিবেদক, পুঠিয়া

৯ ডিসেম্বর ২০২০ ০১:০০

রাজশাহীর পুঠিয়ায় এক বুদ্ধি ও মানুষিক প্রতিবন্ধি মেয়ে ধর্ষণের শিকার হয়েছে। এতে করে প্রায় ৭ মাসের অন্তঃসত্ত্বা হয়েছে মেয়েটি। ঘটনাটি এলাকাজুড়ে জানাজানি হয়ে তোলপাড় শুরু হয়ে গেছে। এদিকে পুলিশ ধর্ষণের অভিযোগে এক যুবককে আটক করেছেন। পরদিকে ভূক্তভোগীর স্বাস্থ্য পরীক্ষা করাতে রামেক হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।

আটককৃত যুবক উপজেলার ভালুকগাছি-কামারপাড়া গ্রামের বারিক সরকারের ছেলে মিঠুন সরকার (২৫)।

থানার মামলা সূত্রে জানা গেছে, ভালুকগাছি খামাড়পাড়া গ্রামের নাদের আলীর বুদ্ধি ও মানুষিক প্রতিবন্ধি মেয়ে নামিরা খাতুন (৩৫) গত প্রায় ৭ মাস আগে ধর্ষণের শিকার হয়। পরিবারের লোকজন তা বুঝে উঠতে ওই বুদ্ধি ও মানুষিক প্রতিবন্ধি মেয়ে ৭ মাসের অন্তঃসত্ত্বা হয়ে যায়। এর ফলে বিষয়টি গ্রামের লোকজনের মধ্যে জানাজানি হলে ভূক্তভোগির পিতা বাদী হয়ে থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন আইনে একটি মামলা দায়ের করেন। (মামলা নং-৯ তারিখ ৮ ডিসেম্বর ২০২০ ইং)। ওই মামলায় মিঠুনকে একমাত্র আসামী করা হয়। পুলিশ এ ঘটনায় মঙ্গলবার (৮ ডিসেম্বর) সকালে মিঠুনকে আটক করে জেল-হাজতে পাঠিয়েছেন। অপরদিকে ভূক্তভোগি ওই মেয়ের স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য রামেক হাসপাতালের ওসিসিতে পাঠানো হয়েছে।

আটককৃত মিঠুনের পিতা বারিক সরকার বলেন, ওই মেয়েটি বুদ্ধি ও মানুষিক প্রতিবন্ধি। যার কারণে সে দিনের বেশীর ভাগ সময় যেখানে সেখানে ঘুরে বেড়ায়। তাকে কখন কে বা কারা নির্যাতন করেছে তা আমাদের জানা নেই। অথচ মেয়ের বাবা আমার নির্দোষ ছেলের উপর দোষ চাপিয়ে তার নামে মামলা দিয়েছে। আমি আইনের লোকজনকে বলতে চাই তারা যেনো উভয়ের স্বাস্থ্য পরীক্ষা করে সঠিক তথ্য নিশ্চিত করেন।

এ ব্যাপারে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রেজাউল ইসলাম বলেন, ধর্ষণের শিকার বুদ্ধি ও মানুষিক প্রতিবন্ধি মেয়েটি অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পরে। এ ঘটনায় তার পিতা বাদী হয়ে মিঠুনকে আসামী করে থানায় একটি মামলা দায়ের করেছেন। আমরা ইতিমধ্যে ওই আসামীকে আটক করেছি। তবে আটককৃত যুবক প্রকৃত ধর্ষক কিনা তা নিশ্চিত করতে ডিএনএ পরীক্ষা করা হবে।

এনএস

প্রকাশক ও সম্পাদক : মহিব্বুল আরেফিন
যোগাযোগ: ২৬৮, পূবালী মার্কেট, শিরোইল, ঘোড়ামারা, রাজশাহী-৬০০০
মোবাইল: ০৯৬৩৮ ১৭ ৩৩ ৮১; ০১৭২৮ ২২ ৩৩ ২৮
ইমেইল: [email protected]; [email protected]