24025

09/20/2024 নির্ধারিত দামে মিলছে না ডিম-মুরগি, শাক-সবজিতেও অস্বস্তি

নির্ধারিত দামে মিলছে না ডিম-মুরগি, শাক-সবজিতেও অস্বস্তি

রাজটাইমস ডেস্ক

২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ১৩:৪৬

সপ্তাহ ব্যবধানে ফের অস্থির হয়ে উঠেছে রাজধানীর নিত্যপণ্যের বাজার। বাজারে ফার্মের মুরগির ডিম এবং ব্রয়লার ও সোনালি মুরগির দাম আগের তুলনায় কিছুটা বেড়েছে। সম্প্রতি সরকারিভাবে ডিম ও মুরগির যে দাম বেঁধে দেওয়া হয়েছে, তার চেয়েও বাড়তি দামে বিক্রি হচ্ছে এসব পণ্য। এছাড়া রাজধানীর বিভিন্ন বাজারে শাক-সবজির দামও আগের চেয়ে কিছুটা বাড়তি দামে বিক্রি করতে দেখা গেছে।

শুক্রবার (২০ সেপ্টেম্বর) রাজধানীর মালিবাগ, মগবাজার ও মৌচাকের আশেপাশের বাজার ঘুরে এসব চিত্র দেখা গেছে।

সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, বাজার ও মানভেদে প্রতি কেজি বেগুন ৮০-১০০ টাকা, করলা ৬০-৭০ টাকা, ঢেঁড়শ ৫০ টাকা, বরবটি ৬০ টাকা, মুলা ৫০ টাকা, কঁচুর লতি ৬০-৮০ টাকা, পটল ৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এছাড়া প্রতি কেজি পেঁপে ৩০ টাকা, কচুরমুখী ৬০ টাকা, টমেটো ১৬০ টাকা, শিম ২০০ টাকা ও শসা ৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

অনেকটাই বাড়তির দিকে সকল ধরনের শাকের দাম। বাজারে প্রতি আঁটি লাউ শাক ৪০ টাকা, পুঁই শাক ৩০ টাকা, লাল শাক ১০ টাকা, পালং ২০ টাকা, ডাটা শাক ৪০ টাকা টাকা আঁটি দরে বিক্রি হচ্ছে। দেশি পেঁয়াজ ১২০ টাকা, আদা ২৮০ টাকা, রসুন ২২০ টাকা এবং আলু ৬০ টাকা ও কাঁচা মরিচ ২০০ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে।

বাজারে প্রতিকেজি ব্রয়লার মুরগি বিক্রি হচ্ছে ১৭৫-১৮০ টাকা দরে। এছাড়া সোনালি ২৭০, লাল লেয়ার ৩০০ ও দেশি মুরগি ৫২০ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে। প্রতি ডজন লাল ডিম ১৬০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

এছাড়া গরুর মাংসের কেজি বিভিন্ন ধরন ভেদে ৭০০ থেকে ৮০০ টাকা, গরুর কলিজা ৭৫০-৭৮০ টাকা এবং খাসির মাংসের কেজি ১১০০ থেকে ১২০০ টাকা।

নির্ধারিত দামে মিলছে না ডিম-মুরগি : রাজধানীর কারওয়ান বাজারে খুচরা পর্যায়ে প্রতি কেজি ব্রয়লার মুরগির সর্বোচ্চ ১৮০ টাকা নির্ধারণ করা হলেও তা বিক্রি হচ্ছে ১৮৫ থেকে ১৯০ টাকায়। সোনালি মুরগি বিক্রি হচ্ছে ২৮০ টাকায়।

এদিকে খুচরা পর্যায়ে প্রতি ডজন ডিমের সর্বোচ্চ দাম ১৪২ টাকা ৪৪ পয়সা হওয়ার কথা হলেও বাজারে তা বিক্রি হচ্ছে ডজন প্রতি ১৫৫ টাকায়।

এ ছাড়া দাম বেড়ে গেছে মাছ, মাংস ও শাক-সবজিসহ প্রায় প্রতিটি পণ্যের। এতে বিপাকে ভোক্তারা। তাদের মতে, শুধু সরকার পরিবর্তন হলেই চলবে না, অতিমুনাফা করার মানসিকতাও পরিবর্তন করতে হবে ব্যবসায়ীদের।

ব্যবসায়ীরা জানান, সম্প্রতি বৃষ্টি ও বন্যার কারণে ফসল, মাছ ও মুরগির খামার ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এতে বাজারে কমে গেছে পণ্যের সরবরাহ। তাছাড়া সাপ্তাহিক ছুটির দিন হওয়ায় দাম কিছুটা ঊর্ধ্বমুখী।

ক্রেতাদের অভিমত, সরকার বদলালেও বাজারের চিত্র বদলায়নি; অসাধুরা এখনও লুটে নিচ্ছে টাকা। আমিনুল ইসলাম নামে এক ক্রেতা বলেন, সরকার পরিবর্তনের পর কয়েক দিন দাম কিছুটা কম ছিল। কিন্তু বর্তমানে আবারও সেই একই চিত্র। সরকার বদলালেও বদলায়নি বাজারের চিত্র। এখনও বিভিন্ন অজুহাত দিয়ে ভোক্তার পকেট কাটছেন ব্যবসায়ীরা।

জানা গেছে, উৎপাদনকারী থেকে খুচরা ব্যবসায়ী কেউই মানছেন না বেঁধে দেওয়া দাম। বরং আমিষ জাতীয় খাদ্যপণ্য দুটি আগের চেয়ে বাড়তি দামে কিনতে হচ্ছে ভোক্তাদের।

এদিকে, দর বাড়ার ব্যাপারে খোঁড়া যুক্তি দেখিয়ে একপক্ষ দোষ চাপাচ্ছেন আরেক পক্ষের ওপর। পাইকারি ব্যবসায়ীরা বলছেন, দর নির্ধারণের আগে সরকার কোনো পক্ষের সঙ্গে আলোচনা করেনি। উৎপাদন না বাড়িয়ে দর নির্ধারণ করলে তা বাস্তবায়ন হবে না।

আর খুচরা বিক্রেতারা বলছেন, পাইকারি বাজারে দাম বাড়িয়ে বিক্রি করা হচ্ছে, যে কারণে বেঁধে দেওয়া দামের মধ্যে তারা বিক্রি করতে পারছেন না।

প্রকাশক ও সম্পাদক : মহিব্বুল আরেফিন
যোগাযোগ: ২৬৮, পূবালী মার্কেট, শিরোইল, ঘোড়ামারা, রাজশাহী-৬০০০
মোবাইল: ০৯৬৩৮ ১৭ ৩৩ ৮১; ০১৭২৮ ২২ ৩৩ ২৮
ইমেইল: [email protected]; [email protected]