24643

04/18/2025 বাংলাদেশে প্রকৃত গণতন্ত্র পুনরুজ্জীবিত করার সুযোগ তৈরি হয়েছে

বাংলাদেশে প্রকৃত গণতন্ত্র পুনরুজ্জীবিত করার সুযোগ তৈরি হয়েছে

রাজটাইমস ডেস্ক

২৯ অক্টোবর ২০২৪ ২২:০৪

তিনি বলেন, যখন বৈশ্বিক নেতারা বাংলাদেশের ভবিষ্যত নিয়ে রাজনীতির খেলা খেলছে, তখন তরুণরা সত্যিকারের নেতৃত্ব প্রদর্শন করেছে। অতীতে বাংলাদেশে যখন যারাই ক্ষমতায় ছিল, তারা সহিংস পন্থায় ভিন্নমত দমন করেছে।

জাতিসংঘের মানবাধিকার বিষয়ক হাইকমিশনার ভলকার তুর্ক বলেছেন, বাংলাদেশে প্রকৃত গণতন্ত্র পুনরুজ্জীবিত করা ও গভীর সংস্কারের সুযোগ তৈরি হয়েছে।

তিনি বলেন, যখন বৈশ্বিক নেতারা বাংলাদেশের ভবিষ্যত নিয়ে রাজনীতির খেলা খেলছে, তখন তরুণরা সত্যিকারের নেতৃত্ব প্রদর্শন করেছে। অতীতে বাংলাদেশে যখন যারাই ক্ষমতায় ছিল, তারা সহিংস পন্থায় ভিন্নমত দমন করেছে।

মঙ্গলবার (২৯ অক্টোবর) ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের নবাব নওয়াব আলী সিনেট ভবনে গণঅভ্যুত্থানে নেতৃত্ব দানকারী সমন্বয়ক ও শিক্ষার্থীদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় লিখিত বক্তব্যে তিনি এ মন্তব্য করেন। অনুষ্ঠানে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. নিয়াজ আহমেদ, বাংলাদেশে জাতিসংঘের আবাসিক সমন্বয়কারী গোয়েন লুইস উপস্থিত ছিলেন। অনুষ্ঠানে তুর্ক শিক্ষার্থীদের বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দেন।

তুর্ক বলেন, আপনাদের জীবনের বেশিরভাগ সময় ধ্বংসাত্মক ও দুর্নীতিগ্রস্ত রাজনীতি এবং অর্থনৈতিক বৈষম্য দ্বারা আচ্ছন্ন ছিল। ক্ষমতায় যেই থাকুক না কেন, রাজনৈতিক বিরোধে নাগরিকদের ভিন্নমত এবং শান্তিপূর্ণ প্রতিবাদ প্রায়শই সহিংসভাবে দমন করা হয়েছে। সমৃদ্ধি, সুযোগ, সিদ্ধান্ত গ্রহণ ও সমতা অনেক মানুষের নাগালের বাইরে ছিল।

তিনি বলেন, তরুণরা বিশেষভাবে সংগ্রাম করেছে। গুণগত শিক্ষা এবং চাকরির সুযোগের অভিগম্যতার অভাবে অনেকেই প্রান্তিক ও অধিকার বঞ্চিত ছিল।

ভলকার তুর্ক বলেন, মানবাধিকারভিত্তিক একটি প্রক্রিয়ার ক্ষেত্রে সাম্প্রতিক এবং অতীতে মানবাধিকার লঙ্ঘনের জন্য ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠা করা ও উত্তরণের আহ্বান জানাই। এগুলো ন্যায্যতাভিত্তিক সমাজ বিনির্মাণের জন্য অপরিহার্য। আমরা প্রতিহিংসা ও প্রতিশোধের নতুন দুষ্ট চক্রের পুনরাবৃত্তি হতে দিতে পারি না। শুধু দায়ীদের বিচার নয়, বরং এর মূল কারণগুলো বের করতে হবে যাতে বৃহত্তর সামাজিক পরিবর্তনের কাঙ্ক্ষিত লক্ষ্যে পৌঁছতে পারেন। আমাদের শুধু পেছনের দিকে নয়, বরং ভবিষ্যতের দিকে তাকাতে হবে।

তুর্ক বলেন, আন্দোলনে আহত ও ক্ষতিগ্রস্ত ব্যক্তিদের নিয়ে জাতীয় সংলাপের মাধ্যমে একটি রূপকল্প তৈরি করা উচিত। বাংলাদেশের শিক্ষার্থীরা যে মানসিক পীড়ার মধ্য দিয়ে যাচ্ছে সেটি থেকে উত্তরণে কার্যকর পদক্ষেপ নেয়া প্রয়োজন। আমি আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের প্রতি আহ্বান জানাই এ পরিস্থিতিতে বাংলাদেশের পাশে থাকার জন্য। বিশেষ করে শিক্ষার্থীদের এ পরিস্থিতি কাটিয়ে উঠতে সহায়তা করা উচিত।

প্রকাশক ও সম্পাদক : মহিব্বুল আরেফিন
যোগাযোগ: ২৬৮, পূবালী মার্কেট, শিরোইল, ঘোড়ামারা, রাজশাহী-৬০০০
মোবাইল: ০৯৬৩৮ ১৭ ৩৩ ৮১; ০১৭২৮ ২২ ৩৩ ২৮
ইমেইল: [email protected]; [email protected]