25405

04/19/2025 বগুড়ায় কারাগারে চার আ.লীগ নেতার মৃত্যুর ঘটনায় তদন্ত কমিটি গঠন

বগুড়ায় কারাগারে চার আ.লীগ নেতার মৃত্যুর ঘটনায় তদন্ত কমিটি গঠন

রাজটাইমস ডেস্ক

১৩ ডিসেম্বর ২০২৪ ১৮:২১

বগুড়ায় এক মাসে আটক চার জন আওয়ামী লীগ নেতা অসুস্থ হয়ে মারা যাওয়ার ঘটনায় তদন্ত কমিটি গঠন করেছে জেলা প্রশাসন।

মারা যাওয়া নেতাদের পরিবারের পক্ষ থেকে কারা কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে অবহেলার অভিযোগ তোলায় এই তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়।

বগুড়ার জেলা প্রশাসক হোসনা আফরোজা এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

গত ৫ আগস্ট রাজনৈতিক পট পরিবর্তনের পর বগুড়া জেলার ১২টি থানায় আওয়ামী লীগ ও তার অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীদের নামে হত্যা ও বিস্ফোরক দ্রব্য আইনে অসংখ্য মামলা হয়। গ্রেফতার এড়াতে অধিকাংশ নেতাকর্মী আত্মগোপনে চলে যান। এর মধ্যে গত তিন মাসে গ্রেফতার হন অর্ধ শতাধিক নেতাকর্মী। গত ১২ নভেম্বর থেকে ৯ ডিসেম্বর পর্যন্ত কারাবন্দিদের মধ্যে চারজন আওয়ামী লীগ নেতা অসুস্থ হয়ে মারা যান।

মারা যাওয়া নেতারা হচ্ছেন- বগুড়া পৌরসভার ১৫ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শহিদুল ইসলাম রতন, শিবগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের কোষাধ্যক্ষ আব্দুল লতিফ, বগুড়া জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক শাহাদত আলম ঝুনু এবং গাবতলী উপজেলা আওয়ামী লীগের নির্বাহী সদস্য আব্দুল মতিন মিঠু।

মারা যাওয়া নেতাদের পরিবারের অভিযোগ কারাগারে চিকিৎসাজনিত অবহেলা এবং অব্যবস্থাপনার কারণে তাদের মৃত্যু হয়েছে। কারাগারে অসুস্থ হয়ে পড়লে তাৎক্ষণিক হাসপাতালে নেওয়া হয়নি।

কারাগারে মারা যাওয়া বগুড়া জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক শাহাদত আলম ঝুনুর ছোট ভাই তামজিদ আলম দিপু বলেন, আমার ভাই মারা যাওয়ার দুইদিন আগেও দেখা করেছি। তখনও তিনি কোনো অসুস্থতার কথা বলেননি। তার কখনও হৃদ রোগও ছিল না। কারাগারে অসুস্থ হয়ে পড়লে অনেক দেরিতে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। এছাড়াও কারাগারে নানা অনিয়ম এবং অব্যবস্থাপনার অভিযোগ তুলে তদন্তের দাবি জানিয়েছেন সুশাসনের জন্য নাগরিক (সুজন) বগুড়া জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক হুমায়ুন ইসলাম তুহিন।

তবে বগুড়া জেলা কারাগারের জেল সুপার ফারুক আহমেদ বলছেন, যারা মারা গেছেন তারা বয়স্ক এবং তারা কারাগারে আসার আগে থেকেই অসুস্থ ছিলেন। কারাগারে তাদের প্রতি বিন্দুমাত্র অবহেলা হয়নি। কারাগারের পরিবেশ আগের তুলনায় অনেক ভালো বলে উল্লেখ করেন তিনি।

বগুড়া জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের উপপরিচালক ডা. আব্দুল ওয়াদুদ বলেন, আমাদের কাছে সব রোগী সমান। আমরা সাধ্যমতো রোগীদের সেবা দিয়ে থাকি। কারাগার থেকে যেসব রোগী আসেন তাদের বেশির ভাগ কার্ডিওলজি বিভাগের সিসিইউতে ভর্তি হয়। তারপরে যদি কারও উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় পাঠাতে হয় আমরা সেই ব্যবস্থাও করে থাকি। তারপরেও ময়নাতদন্ত রিপোর্ট আসলে মৃত্যুর সঠিক কারণ নিশ্চিত হওয়া যাবে।

বগুড়া জেলা প্রশাসক হোসনা আফরোজা বলেন, কারাগারে চারজনের মৃত্যুর কারণ সঠিক আমি জানি না। ময়নাতদন্ত রিপোর্ট পেলে কারণ জানা যাবে। তবে একমাসে কারাবন্দি চারজনের মৃত্যুর ঘটনায় তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। যদি কারা কর্তৃপক্ষের অবহেলার কারণে আসামিদের মৃত্য হয় অবশ্যই তাদের শাস্তি ভোগ করতে হবে।

প্রকাশক ও সম্পাদক : মহিব্বুল আরেফিন
যোগাযোগ: ২৬৮, পূবালী মার্কেট, শিরোইল, ঘোড়ামারা, রাজশাহী-৬০০০
মোবাইল: ০৯৬৩৮ ১৭ ৩৩ ৮১; ০১৭২৮ ২২ ৩৩ ২৮
ইমেইল: [email protected]; [email protected]