03/14/2025 স্মৃতিস্তম্ভে ফুল দেওয়া নিয়ে বিএনপির দুই পক্ষের সংঘর্ষ, আহত ১২
রাজটাইমস ডেস্ক
১৬ ডিসেম্বর ২০২৪ ২২:২১
নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁয়ে স্মৃতিস্তম্ভে ফুল দেওয়াকে কেন্দ্র করে বিএনপির দুই পক্ষের মধ্যে ধাওয়া-পালটা ধাওয়া এবং সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এতে উভয়পক্ষের কমপক্ষে ১২ জন আহত হয়েছেন।
সোমবার (১৬ ডিসেম্বর) বেলা সাড়ে ১১ টার দিকে সোনারগাঁ উপজেলা চত্বরে সোনারগাঁ থানা বিএনপির সভাপতি আজহারুল ইসলাম মান্নান ও বিএনপির সাবেক মন্ত্রী রেজাউল করিমের সমর্থকদের মধ্যে এই সংঘর্ষ হয়।
আহতরা হলেন- আজহারুল ইসলামের অনুসারী যুবদল কর্মী মো. রতন, মামুন মোল্লা, রনি মোল্লা, মোবারক মোল্লা, রিফাত মোল্লা ও মো. ভুবন এবং রেজাউল করিমের অনুসারী কেন্দ্রীয় স্বেচ্ছাসেবক দলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আনোয়ার হোসেন, সোনারগাঁ যুবদলের জ্যেষ্ঠ যুগ্ম আহ্বায়ক নূর ইয়াসিন, যুবদল নেতা আতাউর রহমান, হাবিবুর রহমান, যুবদল কর্মী শাহ পরান ও শাহ আলম।
পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শী নেতাকর্মীরা জানান, বিজয় স্তম্ভে ফুল দেওয়ার জন্য সকাল ১০ টায় উপজেলা বিএনপির সভাপতি আজহারুল ইসলাম মান্নান তার নেতাকর্মীদের নিয়ে উপজেলা চত্বরে ফুল দেন। পরে বেলা ১১টায় নেতাকর্মীদের নিয়ে ফুল দিতে আসেন সাবেক প্রতিমন্ত্রী অধ্যাপক রেজাউল করিম। এ সময় মান্নানের লোকজন উপজেলা থেকে বের হওয়ার সময় রেজাউল করিমের লোকজনের সঙ্গে কথা কাটাকাটি হয়। একপর্যায়ে দুই পক্ষের সমর্থকদের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া, ইটপাটকেল নিক্ষেপ ও সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।
আহতদের মধ্যে যুবদল কর্মী মো. রতনকে কুপিয়ে জখম করা হয়েছে। মুমূর্ষু অবস্থায় তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। বাকিরা ইট-পাটকেলের আঘাতে আহত হয়েছেন। তাদের উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও স্থানীয় বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসা দেয়া হয়েছে।
উপজেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি খন্দকার আবু জাফর জানান, সাবেক প্রতিমন্ত্রী রেজাউল করিমকে নিয়ে আমরা ফুল দেওয়ার সময় মান্নানের লোকজন পরিকল্পিতভাবে হামলা চালিয়েছে। এ ঘটনায় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার গাফিলতিকে দায়ী করেন তিনি।
উপজেলা বিএনপির সভাপতি আজহারুল ইসলাম মান্নান জানান, রেজাউল করিম স্থানীয় আওয়ামী লীগ ও জাতীয় পার্টির লোকজন নিয়ে আমার নেতাকর্মীর ওপর অতর্কিতভাবে হামলা চালিয়েছে। এতে আমার বেশ কয়েকজন নেতাকর্মী আহত হয়েছে।
এ বিষয়ে সোনারগাঁ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ আব্দুল বারী বলেন, ‘ঘটনার সময় আমি সেখানেই ছিলাম। পূর্ববিরোধ থেকে দুই পক্ষের মধ্যে হাতাহাতি ও ইটপাটকেল নিক্ষেপ হয়েছে। আমরা দ্রুত পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে সক্ষম হয়েছি। পরে শুনেছি একজন যুবদল নেতাকে কুপিয়ে জখম করা হয়েছে। এ ঘটনায় কেউ অভিযোগ দিলে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।’