26506

03/13/2025 শাপলা চত্বরে গণহত্যা, হাসিনা-ইমরানসহ ৯ জনের বিরুদ্ধে পরোয়ানা

শাপলা চত্বরে গণহত্যা, হাসিনা-ইমরানসহ ৯ জনের বিরুদ্ধে পরোয়ানা

রাজটাইমস ডেস্ক

১২ মার্চ ২০২৫ ১৯:৪৯

২০১৩ সালের ৫ মে রাজধানীর মতিঝিলের শাপলা চত্বরে হেফাজতে ইসলামের সমাবেশে সংঘটিত গণহত্যার ঘটনায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ ৯ জনের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল। বুধবার (১২ মার্চ) এই আদেশ দেন আদালত।

গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি হওয়া ব্যক্তিদের মধ্যে শেখ হাসিনা ছাড়াও সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী মহিউদ্দিন খান আলমগীর, গনজাগরণ মঞ্চের মুখপাত্র ইমরান এইচ সরকার, সাবেক আইজিপি হাসান মাহমুদ খন্দকার, এবং বেনজির আহমদ।

এছাড়া, অপর মামলায় কারাগারে থাকা সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শামসুল হক টুকু, সাবেক আইজিপি শহিদুল হক, সাবেক সেনা কর্মকর্তা জিয়াউল আহসান এবং সাবেক পুলিশ কর্মকর্তা মোল্লা নজরুল ইসলামকে গ্রেফতার দেখানোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

এ ঘটনায় আরও নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে, আগামী ১২ মে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেওয়ার জন্য।

এটি ছিল হেফাজতে ইসলামের দায়ের করা একটি মামলা, যা গত ২৭ নভেম্বর আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে দাখিল করা হয়। মামলায় ৫০ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ আনা হয়েছিল। হেফাজতে ইসলামের অভিযোগ ছিল, ২০১৩ সালের ৫ মে শাপলা চত্বরে হেফাজতে ইসলামের ১৩ দফা দাবিতে এক বিশাল সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। এই সমাবেশে, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী এবং ক্ষমতাসীন সরকারের পক্ষ থেকে আসামিরা পরস্পর যোগসাজশে পরবর্তী সময়ে মানবাধিকার লঙ্ঘন এবং গণহত্যা ঘটিয়েছিলেন।

অভিযোগে বলা হয়েছে, আসামিরা রাত ১১টার দিকে শাপলা চত্বরে বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ করে দেন, ফলে রাতের আঁধারে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী সমাবেশকারীদের ওপর হামলা চালায়। মাদরাসা ছাত্র এবং পথচারীদের ওপর নৃশংসভাবে আক্রমণ চালানো হয়, যার পরিপ্রেক্ষিতে শতাধিক মানুষ নিহত হয় বলে দাবি করা হয়। এর পর, নিহতদের লাশ সিটি করপোরেশনের গাড়িতে করে গুম করা হয়। নিহতদের পরিবার থানায় মামলা করতে গেলে পুলিশ তাদের অভিযোগ গ্রহণ করেনি।

এছাড়া, মামলার বাদী পক্ষের দাবি, এই ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে সরকারের উচ্চপদস্থ ব্যক্তিরা এবং আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা একযোগে এই অপরাধ সংঘটন করেন। বাদী পক্ষ আরও অভিযোগ করেছেন, ঘটনাটি নিয়ে তদন্ত না করে, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী এবং সরকারের পক্ষ থেকে বিষয়টি ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা করা হয়।

এই ঘটনায়, বিভিন্ন গণমাধ্যম, নাগরিক সমাজ এবং মানবাধিকার সংগঠনরা সরকারের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন, এবং আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থাগুলো এই ঘটনায় জড়িতদের বিরুদ্ধে শাস্তির দাবি জানায়।

প্রকাশক ও সম্পাদক : মহিব্বুল আরেফিন
যোগাযোগ: ২৬৮, পূবালী মার্কেট, শিরোইল, ঘোড়ামারা, রাজশাহী-৬০০০
মোবাইল: ০৯৬৩৮ ১৭ ৩৩ ৮১; ০১৭২৮ ২২ ৩৩ ২৮
ইমেইল: [email protected]; [email protected]