04/08/2025 ঈদে সড়ক দুর্ঘটনায় ২৪৯ জন মারা গেছেন: রোড সেফটি ফাউন্ডেশন
রাজ টাইমস ডেস্ক
৭ এপ্রিল ২০২৫ ২০:৪৫
এবারের ঈদযাত্রায় সড়ক দুর্ঘটনায় গড়ে প্রতিদিন ২২ জন করে নিহত হয়েছেন বলে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছে রোড সেফটি ফাউন্ডেশন।
সোমবার প্রকাশিত ওই সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ঈদুল ফিতরের আগে ও পরে ১১ দিনে (২৬ মার্চ থেকে ৫ এপ্রিল) দেশে ২৫৭টি সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত হয়েছেন ২৪৯ জন। গণমাধ্যমে প্রকাশিত তথ্য অনুযায়ী, এ সময় আহত হয়েছেন ৫৫৩ জন। কিন্তু বাস্তবে আহতের সংখ্যা ২ হাজারে বেশি।
শুধু ঢাকার জাতীয় অর্থোপেডিক হাসপাতালেই ঈদের ২ দিনে সড়ক দুর্ঘটনায় আহত হয়ে ৫৭১ জন ভর্তি হয়েছেন উল্লেখ করে বিবৃতিতে জানানো হয়, আহতদের অধিকাংশই মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় আক্রান্ত। এই বাস্তবতায় সারাদেশে আহতের সংখ্যা ২ হাজারের বেশি হবে। ৫৯ শিশু ছাড়াও সড়ক দুর্ঘটনায় ৪১ জন নারী নিহত হয়েছেন।
রোড সেফটি ফাউন্ডেশন জানিয়েছে, ১১৪টি মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় নিহত হয়েছেন ১০৬ জন, যা মোট নিহতের ৪২ দশমিক ৫৭ শতাংশ। মোটরসাইকেল দুর্ঘটনার হার ৪৪ দশমিক ৩৫ শতাংশ। দুর্ঘটনায় পথচারী নিহত হয়েছেন ৩৯ জন, যা মোট নিহতের ১৫ দশমিক ৬৬ শতাংশ। যানবাহনের চালক ও সহকারী নিহত হয়েছেন ৩২ জন। এটি মোট নিহতের ১২ দশমিক ৮৫ শতাংশ। এই সময়ে ৬টি নৌ-দুর্ঘটনায় ১৩ জন নিহত ও ১৫ আহত হয়েছেন। ১৭টি রেলপথ দুর্ঘটনায় নিহত হয়েছেন ১২ জন এবং আহত হয়েছেন ৮ জন।
৯টি জাতীয় দৈনিক, ৭টি অনলাইন নিউজ পোর্টাল, ইলেক্ট্রনিক গণমাধ্যম এবং নিজস্ব তথ্যের ভিত্তিতে এই প্রতিবেদন তৈরি করেছে রোড সেফটি ফাউন্ডেশন।
সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে রোড সেফটি ফাউন্ডেশন আরও জানায়, দুর্ঘটনায় যানবাহনভিত্তিক নিহতের পরিসংখ্যানে দেখা যায়, মোটরসাইকেল চালক ও আরোহী ১০৬ জন (৪২ দশমিক ৫৭ শতাংশ), বাস যাত্রী ১৪ জন (৫ দশমিক ৬২ শতাংশ), ট্রাক-পিকআপ-ট্রাক্টর-ট্রলি আরোহী ৯ জন (৩ দশমিক ৬১ শতাংশ), প্রাইভেটকার-মাইক্রোবাস আরোহী ১৮ জন (৭ দশমিক ২২ শতাংশ), থ্রি-হুইলার যাত্রী (ইজিবাইক-সিএনজি-অটোরিকশা-অটোভ্যান) ৪৯ জন (১৯ দশমিক ৬৭ শতাংশ), স্থানীয়ভাবে তৈরি যানবাহনের যাত্রী (নসিমন-করিমন-পাখিভ্যান-মাহিন্দ্র-টমটম-আলগামন) ১০ জন (৪ শতাংশ) এবং বাইসাইকেল আরোহী ৪ জন (১ দশমিক ৬০ শতাংশ) নিহত হয়েছেন।
রোড সেফটি ফাউন্ডেশনের পর্যবেক্ষণ ও বিশ্লেষণ অনুযায়ী, দুর্ঘটনাগুলোর মধ্যে ৮৭টি (৩৩ দশমিক ৮৫ শতাংশ) জাতীয় মহাসড়কে, ৯৮টি (৩৮ দশমিক ১৩ শতাংশ) আঞ্চলিক সড়কে, ৪৩টি (১৬ দশমিক ৭৩ শতাংশ) গ্রামীণ সড়কে এবং ২৯টি (১১ দশমিক ২৮ শতাংশ) শহরের সড়কে সংঘটিত হয়েছে।