04/19/2025 পবায় ১৬ বছর পর চালু হতে যাচ্ছে পবার দামকুড়া পশুহাট
পবা প্রতিনিধি:
১৭ এপ্রিল ২০২৫ ১১:৫২
রাজশাহীর পবা উপজেলার হাটবাজার ইজারার কার্যক্রম সম্পূর্ণ বৈষম্যমুক্ত হতে যাচ্ছে। বিগত সরকারের জঘন্য নীতি পরিত্যাগ করে- নতুন পরিবেশে রাজনৈতিক প্রভাব মুক্ত ইজারা টেন্ডারে অংশ নিয়েছেন ইজারাদারা। ফলে রেকর্ড সংখ্যক শিডিউল বিক্রির পাশাপাশি ইজারামূল্যও বেড়েছে প্রায় কয়েক গুণ।
গত মঙ্গলবার (১৬ এপ্রিল) ছিল দরপত্র বিক্রির শেষ দিন। উপজেলার ১২টি হাটের বিপরীতে ৮৬টি দরপত্র ফরম প্রায় ২ লাখ টাকায় বিক্রি হয়েছে। ঐদিন বিকেল ৩টায় উপজেলা পরিষদের হলরুমে দরপত্রের বক্স খোলেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আরাফাত আমান আজিজ।
এসময় হাটবাজার ইজারার দরপত্র মূল্যায়ন শেষে উপজেলার ১২টি হাটের বিপরীতে ১০টি হাটের ইজারা চূড়ান্ত করা হয়। অবশিষ্ট রামচন্দ্রপুর ও বিলনেপালপাড়া হাট দুইটির বিপরীতে কোন দরপত্র বক্সে জমা পড়েনি।
এতে দেখা যায়, হাটবাজার ইজারার ১ নম্বর তালিকায় থাকা দামকুড়া পশুহাটটি ১ কোটি ১১ লাখ ১১ হাজার ১১১ টাকায় সর্বোচ্চ দরদাতা হলেন দামকুড়া ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান শাহজাহান আলী। যা গত বছরের ইজারা মূল্যের চেয়ে প্রায় ৭৫ লাখ ১১ হাজার ১১১ টাকা বেশি।
বিগত সরকারের আমলে ২০০৮ সালের পর থেকে দামকুড়া পশুহাটটি বন্ধ ছিল। সপ্তাহে বুধবার ও রবিবার দুইদিন নগরীর সিটি হাট ও দামকুড়া পশুহাট বসে। এ কারণে দীর্ঘ ১৬ বছর বন্ধ রাখা হয়েছিল দামকুড়া পশুহাটটি। ফলে বিগত সরকারের সময় কাগজ কলমে সবকিছু ঠিক থাকলেও কৌশলে বঞ্চিত করা হয়েছিল প্রায় অর্ধকোটি টাকার রাজস্ব থেকে।
পবা উপজেলা নির্বাহী অফিসার আরাফাত আমান আজিজ বলেন, গত তিন বছরের বাজার দরের গড় হার এবং ৬ শতাংশ বৃদ্ধি করে বাজারের কাঙ্ক্ষিত মূল্য নির্ধারণ করা হয়। নির্ধারিত মূল্যের নিচে নেওয়ার সুযোগ নেই। বাজারের মূল্য যত বেশি হবে সরকার রাজস্ব তত বেশি পাবে।
এ ছাড়াও দামকুড়া তহহাটের সর্বোচ্চ দরদাতা হচ্ছেন রুহুল আমিন বাবলু- যার ইজারামূল্য হচ্ছে ৯ লাখ ৫০ হাজার টাকা। পারিলার খড়খড়ি হাটের সর্বোচ্চ দরদাতা হচ্ছেন রেজাউল করিম- যার ইজারামূল্য হচ্ছে ৬৬ লাখ ৫০ হাজার টাকা। পারিলা হাটের সর্বোচ্চ দরদাতা হচ্ছেন ফরহাদুল- যার ইজারামূল্য হচ্ছে ১৫ হাজার ৩০০ টাকা।
বড়গাছি হাটের সর্বোচ্চ দরদাতা হচ্ছেন ফয়সাল হোসেন- যার ইজারামূল্য হচ্ছে ২০ লাখ ৫৯ হাজার ১০০ টাকা। গোপাল হাটের সর্বোচ্চ দরদাতা হচ্ছেন গোলাম মওলা- যার ইজারামূল্য হচ্ছে ১ লাখ ১২ হাজার টাকা। হরিপুর হাটের সর্বোচ্চ দরদাতা হচ্ছেন হাসান আলী- যার ইজারামূল্য হচ্ছে ১ লাখ ৯২ হাজার টাকা।
হুজুরীপাড়া ইউনিয়নের দারুশা হাটের সর্বোচ্চ দরদাতা হচ্ছেন হাসান আলী- যার ইজারামূল্য হচ্ছে ১০ লাখ ২৭ হাজার ৫৫০ টাকা। ডাঙ্গের হাটের সর্বোচ্চ দরদাতা হচ্ছেন হাসান আলী- যার ইজারামূল্য হচ্ছে ২ লাখ ৩২ হাজার টাকা। এছাড়াও দর্শনপাড়ার মড়মড়িয়া হাটের সর্বোচ্চ দরদাতা হচ্ছেন মহির উদ্দিন- যার ইজারামূল্য হচ্ছে ৩ লাখ ১৯ হাজার টাকা।