২০১৮ সালের নির্বাচনে ভোটের আগের রাতে ৫০ শতাংশ ভোট ব্যালটবাক্সে ভরে রাখতে পরামর্শ দিয়েছিলেন সে সময়ের আইজিপি জাবেদ পাটোয়ারি, আর তাই বাস্তবায়ন করা হয়। ট্রাইব্যুনালে শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে করা মামলার রাজসাক্ষীর জবানবন্দীতে এসব কথা বলেন সাবেক আইজিপি চৌধুরী আবদুল্লাহ আল মামুন ।

তিনি জানান, সরকারের জন্য হুমকি ভিন্নমতের লোকদের র‌্যাবের বন্দিশালায় ধরে আনা হতো ও ক্রসফায়ার করা হতো।

মঙ্গলবার আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১’র চেয়ারম্যান বিচারপতি মো. গোলাম মর্তূজা মজুমদারের নেতৃত্বাধীন বিচারিক প্যানেলে ক্যামেরা ট্রায়ালে তিনি জবানবন্দি দিয়েছেন।

সাবেক এ আইজিপি আরো জানান, সমন্বয়কদের গ্রেপ্তার করে আন্দোলন প্রত্যাহারের যে সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছিলো তা এসেছিল ডিজিএফআই'র পক্ষ থেকে। এটির বাস্তবায়নের দায়িত্ব দেয়া হয়েছিল তখনকার ডিবি প্রধান হারুন অর রশীদকে। গত ১০ জুলাই ট্রাইব্যুনালে নিজের দায় স্বীকার করেন শেখ হাসিনার এ মামলায় স্বপ্রণোদিত হয়ে রাজসাক্ষী হতে চান চৌধুরী মামুন।

জবানবন্দিতে সাবেক এই আইজিপি বলেন, ২০১৮ সালের নির্বাচনের পর পুলিশে রাজনৈতিক প্রভাব আরও বেড়ে যায়। প্রভাবশালী হিসেবে পরিচিত হয়ে ওঠেন কিছু কিছু কর্মকর্তা। ঊর্ধ্বতন রাজনৈতিক নেতাদের সঙ্গে তাদের সরাসরি যোগাযোগ ছিল।

তিনি বলেন, এসব কর্মকর্তা প্রায় রাতেই সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালের বাসায় বৈঠকে করতেন। গোপন সেসব বৈঠক গভীর রাত পর্যন্ত চলত।

বৈঠকে অংশ নেওয়া কর্মকর্তারা হলেন- সাবেক ডিএমপি কমিশনার হাবিবুর রহমান, ডিবিপ্রধান হারুনুর রশীদ, এসবির মনিরুল ইসলাম, ঢাকার ডিআইজি নুরুল ইসলাম, অ্যাডিশনাল ডিআইজি বিপ্লব কুমার, এএসপি কাফী, ওসি মাজহার, ফোরকান অপূর্বসহ আরো অনেকে। এর মধ্যে কারো কারো সঙ্গে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরাসরি যোগাযোগ ছিল।