29054

10/27/2025 গাজায় ধ্বংসস্তূপে হাজার হাজার টন অবিস্ফোরিত বোমা

গাজায় ধ্বংসস্তূপে হাজার হাজার টন অবিস্ফোরিত বোমা

রাজ টাইমস ডেস্ক

২৭ অক্টোবর ২০২৫ ১৬:৩০

গাজায় ভারী যন্ত্রপাতি প্রবেশে ইসরাইলি নিষেধাজ্ঞা গাজা শহরের ধ্বংসাবশেষ অপসারণ ও গুরুত্বপূর্ণ অবকাঠামো পুনর্নির্মাণের প্রচেষ্টাকে ব্যাহত করছে। এদিকে হাজার হাজার টন অবিস্ফোরিত ইসরাইলি বোমা গাজা উপত্যকাজুড়ে জীবনকে হুমকির মুখে ফেলছে বলে জানিয়েছে গাজা সিটির মেয়র।

রোববার (২৬ অক্টোবর) এক সংবাদ সম্মেলনে মেয়র ইয়াহিয়া আল-সাররাজ বলেছেন, গাজা সিটির পানির নেটওয়ার্ক রক্ষণাবেক্ষণ ও কূপ নির্মাণের জন্য কমপক্ষে ২৫০টি ভারী যানবাহন এবং এক হাজার টন সিমেন্টের প্রয়োজন।

গাজার আজ-জাওয়েদা থেকে আল জাজিরা জানিয়েছে, মাত্র ছয়টি ট্রাক এই অঞ্চলে প্রবেশ করেছে।

ধ্বংসস্তূপের নিচে কমপক্ষে নয় হাজার ফিলিস্তিনির লাশ এখনো চাপা পড়ে আছে। কিন্তু নতুন সরঞ্জামগুলো ধ্বংসস্তূপের নিচে আটকে থাকা ইসরাইলি পণবন্দীদের লাশ উদ্ধারের জন্য অগ্রাধিকার দেয়া হচ্ছে।

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রচারিত ফুটেজে দেখা গেছে, রাফাহ শহরের দক্ষিণে এক ইসরাইলি পণবন্দীর লাশ উদ্ধার অভিযানে হামাসের সামরিক শাখা কাসাম ব্রিগেডকে সহায়তা করতে রেড ক্রসের গাড়ি পৌঁছেছে।

ইসরাইলি সরকারের একজন মুখপাত্র বলেছেন, পণবন্দীদের লাশ অনুসন্ধানের জন্য রেড ক্রস ও মিসরীয় দলগুলোকে যুদ্ধবিরতির ‘হলুদ রেখা’ অতিক্রম করার অনুমতি দেয়া হয়েছে। এই সীমারেখার কারণে ইসরাইলের অবরুদ্ধ গাজার ৫৮ শতাংশের ওপর নিয়ন্ত্রণ রয়েছে।

এদিকে, গাজায় পুনর্গঠন অবিস্ফোরিত বোমার কারণে আরো বাধার সম্মুখীন হচ্ছে। যুক্তরাজ্যভিত্তিক হালো ট্রাস্টের মধ্যপ্রাচ্য পরিচালক নিকোলাস টরবেট বলেন, গাজা সিটির প্রায় প্রতিটি অংশেই বোমা পড়েছে।

তিনি বলেন, ‘কিছু গোলাবারুদ টিকে থাকার জন্য তৈরি করা হয়েছে। কিন্তু গাজায় আমরা যে জিনিসটি নিয়ে উদ্বিগ্ন তা হলো এমন গোলাবারুদ, যা আঘাতের পরই বিস্ফোরিত হওয়ার কথা থাকলেও তা হয়নি।’

টরবেট বলেন, বিস্ফোরক অপসারণ পুনর্গঠন প্রক্রিয়াকে ধীর করে দিচ্ছে। তার দলগুলো নিরাপদে বোমা অপসারণের জন্য সরাসরি সম্প্রদায়ের মধ্যে কাজ করার পরিকল্পনা করছে। তিনি ব্যাখ্যা করেন, বোমা নিষ্ক্রিয় করার সর্বোত্তম উপায় হলো অল্প পরিমাণে বিস্ফোরক ব্যবহার করে বোমাটিকেই উড়িয়ে দেয়া।

সূত্র : আল জাজিরা

প্রকাশক ও সম্পাদক : মহিব্বুল আরেফিন
যোগাযোগ: ২৬৮, পূবালী মার্কেট, শিরোইল, ঘোড়ামারা, রাজশাহী-৬০০০
মোবাইল: ০৯৬৩৮ ১৭ ৩৩ ৮১; ০১৭২৮ ২২ ৩৩ ২৮
ইমেইল: [email protected]; [email protected]