3018

09/19/2024 রাবিতে খুবির ছাত্র-শিক্ষক বরখাস্তের প্রতিবাদ

রাবিতে খুবির ছাত্র-শিক্ষক বরখাস্তের প্রতিবাদ

রাজটাইমস ডেস্ক

২১ জানুয়ারী ২০২১ ২২:৩৭

ক্যাম্পাসে আন্দোলন ও আন্দোলনে একাত্মতার ঘোষণায় খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ে দুই শিক্ষার্থীকে বহিষ্কার ও তিন শিক্ষককে অপসারণের সিদ্ধান্তের প্রতিবাদ ও এ সিদ্ধান্ত বাতিলের দাবি জানিয়ে মানববন্ধন করেছে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা।

বৃহস্পতিবার (২১ জানুয়ারি) বেলা ১১টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্যারিস রোডে এ মানববন্ধনের আয়োজন করা হয়।

এই সময় রাবি শিক্ষার্থীরা খুলনা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীদের বেতন-ফি কমানো, আবাসন সংকটের সমাধান, দ্বিতীয় পরীক্ষণের ব্যবস্থা করাসহ পাঁচ দফা দাবিতে শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের জের ধরে প্রশাসনের এমন সিদ্ধান্তের তীব্র সমালোচনা করেন।

কর্মসূচীতে অংশ নেয়া ফোকলোর বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক আমিরুল ইসলাম কনক বলেন, খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়েরা শিক্ষার্থীরা নায্য অধিকারের দাবি জানানোয় শিক্ষার্থীদের ছাত্রত্ব বাতিল ও সে দাবিতে সংহতি জানানোয় শিক্ষকদের চাকরি থেকে অপসারণের যে সিদ্ধান্ত বিশ^বিদ্যালয় প্রশাসন নিয়েছে তা অত্যন্ত ন্যাক্কারজনক। তাছাড়া, ফেসবুক, ম্যাসেঞ্জারে ও ফোনকল রেকর্ড করার বিষয়ও উঠে এসেছ। একটি বিশ^বিদ্যালয় প্রশাসনের এমন ঘৃণ্য আচরণে আমরা ধিক্কার জানাই। আমরা চাই, আজকে আমাদের মানববন্ধনের মাধ্যমে খুবি প্রশাসন তাদের এ স্বৈরাচারী আচরণ থেকে সরে আসবে।

বিশ্ববিদ্যালয়ের পদার্থজ্ঞিান বিভাগের অধ্যাপক সালেহ হাসান নকীব বলেন, আমার দুর্ভাগ্য যে, আমাকে আমার ক্লাস ছেড়ে আজ এখানে দাঁড়াতে হচ্ছে। আমাদের না দাঁড়িয়ে আর উপায় নেই। বিভিন্ন প্রক্রিয়ায় আমাদের দেশটি এমন অবস্থায় এসে দাড়িয়েছে যে এখানে উচু উচু চেয়ারে খুবই নিচু মানের মানুষ বসে আছে। ওই জায়গা পরিচালনার জন্য যে জ্ঞান ও প্রজ্ঞার দরকার তা তাদের নেই। বিশ্ববিদ্যালয় এবং অন্য যেকোন জায়গায় আপনি যদি ভিন্ন মত ও নতুন কথাবার্তা সহ্য করতে না পারেন তবে তাতে দুর্গন্ধ ও পঁচন ধরতে শুরু করবে। আজকে এটিই আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে হচ্ছে; বিশ্ববিদ্যালয়গুলোকে পঁচিয়ে ফেলা হচ্ছে। এখানে সবাইকে একই কথা বলতে হবে, সবাইকে জি¦ হুজুর বলতে হবে, সবাইকে একই মতাবলম্বন করতে হবে। অন্য কোন কথা বললেই একবারে ভয়ানক সব অপবাদ দেয়া হচ্ছে, নানা প্রশ্ন তোলা হচ্ছে। যারা কতৃত্বের জায়গাগুলোতে আছেন তাদের এতো ভয়, এতো আতঙ্কের উৎস হচ্ছে তাদের নিজের অবস্থানের উপর আস্থা নেই। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোতে অপরাজনী যে চর্চা এবং নিপীড়ণমূলক আচরণ চলছে সেগুলোর বিরুদ্ধে দাাঁড়ানো আজ আমাদের দায়িত্ব হয়ে পড়েছে।

খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের এমন সিদ্ধান্ত প্রত্যাহারের দাবি জানিয়ে ছাত্র অধিকার পরিষদ বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সাংগঠনিক সম্পাদক আমানুল্লাহ আমান বলেন, শিক্ষার্থীদের নায্য অধিকারের দাবি জানানোয় শিক্ষার্থীদের বহিষ্কার ও শিক্ষকদের অপসারণের যে ঘটনা খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ে ঘটেছে তা সংবিধান প্রদত্ত মত প্রকাশের স্বাধীনতার খেলাপ। আমরা এ বহিস্কারাদেশ প্রত্যাহারের দাবি জানাচ্ছি। এছাড়া, দুই শিক্ষার্থীকে বহিষ্কারের আদেশ প্রত্যাহারের দাবিতে তাদের আমরণ অনশনে দাঁড়ানোর পর বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন তো তাদের খোঁজ তো নেয়ই নি বরং তাদের শাস্তি আরো বাড়িয়ে দিয়েছে। আমরা বিশ^বিদ্যালয় প্রশাসনের এমন অমানবিক আচরণের নিন্দা জানাচ্ছি।

এই সময় বাংলা বিভাগের মাস্টার্সের শিক্ষার্থী নাজমুল মৃধার সঞ্চালনায় আরো বক্তব্য রাখেন, গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের শিক্ষক কাজী মামুন হায়দার রানা শিক্ষা ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের শিক্ষার্থী ইমন হোসেন বাপ্পী, বাংলা বিভাগের সাবেক শিক্ষার্থী হাসিব রনি, ছাত্র ফেডারেশন বিশ^বিদ্যালয় শাখার সাধারণ সম্পাদক মহব্বত হোসেন মিলন।

 

  • এসএইচ
প্রকাশক ও সম্পাদক : মহিব্বুল আরেফিন
যোগাযোগ: ২৬৮, পূবালী মার্কেট, শিরোইল, ঘোড়ামারা, রাজশাহী-৬০০০
মোবাইল: ০৯৬৩৮ ১৭ ৩৩ ৮১; ০১৭২৮ ২২ ৩৩ ২৮
ইমেইল: [email protected]; [email protected]