ব্যবহারকারীর তথ্যে সুরক্ষা দিতে নতুন ‘সিক্রেট চ্যাট’ ব্যবস্থা নিয়ে এসেছে সুপরিচিত ইনস্ট্যান্ট ম্যাসেজিং অ্যাপ ইমো। এতে ‘এন্ড-টু-এন্ড এনক্রিপশন’ ব্যবস্থা রয়েছে।
ইমো বাংলাদেশে তাদের জনসংযোগ প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে আজ সোমবার এক বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছে, তাদের ব্যবস্থায় আলাপ শেষ হওয়ার পরে বার্তা নিজে নিজে মুছে যাওয়া বা সেলফ-ডেস্ট্রাকশন সুবিধা রয়েছে। এর মানে হলো কেউ বার্তা চালাচালির পর ইমো থেকে বেরিয়ে গেলে কথোপকথন তাৎক্ষণিকভাবে মুছে যাবে। তা পরে খুঁজে যাওয়া যাবে না।
ইমোতে কোনো নির্দিষ্ট কোনো ব্যক্তির নম্বর বা কন্ট্যাক্টের চ্যাট ইন্টারফেসের অ্যাটাচমেন্ট বারে খুঁজে পাওয়া যাবে নতুন ‘সিক্রেট চ্যাট’ ফিচারটি।
নতুন এ ফিচারের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হচ্ছে ডেসিমিনেশন কন্ট্রোল ফাংশন। এ ফাংশনের অধীনে, কেউ ব্যক্তিগত কথোপকথন কপি, ফরোয়ার্ড, শেয়ার ও ডাউনলোড করতে পারবে না। এ ছাড়া কথোপকথনের স্ক্রিনশট নেওয়া কিংবা ভিডিও ধারণও করা যাবে না। তাই ইমো ব্যবহারকারীরা তাদের ব্যক্তিগত বিষয় নিয়ে বিভিন্ন আলাপচারিতা আরও আস্থা ও নিরাপত্তার সঙ্গে করতে পারবেন।
ইমো আরও জানিয়েছে, ব্যবহারকারীরা ইমো ব্যবহারে যেন আরও বেশি নিরাপদ বোধ করেন, সে কারণে বিগত কয়েক মাসে নানা ধরনের নিরাপত্তা বাড়ানোবিষয়ক পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। গত বছরের ডিসেম্বরে বাংলাদেশের ব্যবহারকারীদের তথ্যের সুরক্ষায় ইমো ফোন নম্বর যাচাইয়ের ব্যবস্থা চালু করে।
বাংলাদেশে প্রতিদিন ইমোর মাধ্যমে প্রায় ১৫ কোটি ফ্রি কল করা হয় এবং ভিডিও ও ছবি আদান-প্রদান করা হয় বলে উল্লেখ করা হয় বিজ্ঞপ্তিতে। এতে আরও বলা হয়, ২০২০ সালে ইমোর মাধ্যমে ৯ হাজার ৬০০ কোটি বার্তা আদান-প্রদান করা হয়েছে। ২ হাজার ৬০০ কোটি অডিও ও ভিডিও কল করা হয়েছে।
সূত্র: প্রথম আলো