4772

09/17/2024 বিক্ষোভের জেরে পূর্ব জেরুসালেমে ব্যারিকেড সরিয়ে নিলো ইসরাইলি পুলিশ

বিক্ষোভের জেরে পূর্ব জেরুসালেমে ব্যারিকেড সরিয়ে নিলো ইসরাইলি পুলিশ

আন্তর্জাতিক ডেস্ক

২৭ এপ্রিল ২০২১ ০২:২৬

অব্যাহত বিক্ষোভ-প্রতিবাদের মধ্যে পূর্ব জেরুসালেমের মসজিদুল আকসার প্রাঙ্গন থেকে ব্যারিকেড সরিয়ে নিয়েছে ইসরাইলি পুলিশ। চার রাতের সহিংস সংঘর্ষের পর রোববার রাতে এই ব্যারিকেড সরিয়ে নেয়া হয়।

দামেস্ক গেটের কাছে এই ব্যারিকেড দিয়ে ইসরাইলি কর্তৃপক্ষ ফিলিস্তিনিদের চলাচল নিয়ন্ত্রণ করে আসছিল। পূর্ব জেরুসালেমে গত বৃহস্পতিবার রাতে শুরু হওয়ার সংঘর্ষের অন্যতম কারণ ছিল এই ব্যারিকেড। ইসরাইলি পুলিশের ভাষ্য অনুসারে করোনাভাইরাস সংক্রমণ প্রতিরোধের ব্যবস্থাপনার অংশ হিসেবে ব্যারিকেড দেয়া হয়েছিল।

বার্তা সংস্থা এএফপিকে ইসরাঈলি পুলিশের মুখপাত্র জানায়, স্থানীয় নেতৃত্ব, ধর্মীয় নেতৃত্বের পরামর্শ, পরিস্থিতির বিবেচনা, দোকানিদের উপার্জনের কথা বিবেচনা এবং সহিংসতার মাত্রা কমাতে ব্যারিকেড সরিয়ে নেয়ার এই সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।

তিনি বলেন, 'আমাদের বাহিনী যথারীতি মোতায়েন থাকবে এবং আমরা সহিংসতা ছড়াতে দেবো না।'

এর আগে বৃহস্পতিবার রাতে পূর্ব জেরুসালেমে উগ্রপন্থী ইসরাইলিরা এক পদযাত্রার আয়োজন করে। এই পদযাত্রা থেকে উস্কানিমূলক স্লোগান ও ফিলিস্তিনিদের হয়রানি করার জেরে ফিলিস্তিনিরা প্রতিবাদ করলে এই সংঘর্ষ শুরু হয়।

চার রাতের এই সংঘর্ষে কয়েক শ ফিলিস্তিনি আহত হন এবং বেশ কয়েক জন ইসরাইলি পুলিশের হাতে গ্রেফতার হন।

পূর্ব জেরুসালেমে ব্যারিকেড সরিয়ে নেয়ার পর শত শত ফিলিস্তিনি শহর দামিশক গেটের কাছেই বিজয় মিছিল করেন। এই সময় তারা ফিলিস্তিনি পতাকা হাতে বিজয়সূচক স্লোগান দেন।

পরে ইসরাইলি পুলিশ ফিলিস্তিনি পতাকা কেড়ে নিতে গেলে ক্ষুদ্র এক সংঘর্ষ হয়। এই সময় বেশ কয়েকজন তরুণ ফিলিস্তিনিকে আটক করে পুলিশ।

ইসরাঈল নিয়ন্ত্রিত গেটের কাছে চলাচলের রাস্তা খোলা থাকলেও সোমবার পর্যন্ত ওই জায়গায় বিপুল ইসরাইলি পুলিশ সদস্যের উপস্থিতি ছিল।

প্রসঙ্গত, ১৯৬৭ সালে ছয়দিনের আরব-ইসরাইল যুদ্ধের পর ইসরাইল মসজিদুল আকসাসহ পূর্ব জেরুসালেম দখল করে নেয়। ১৯৮০ সালে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের বিরোধিতা উপেক্ষা করে শহরটিকে ইসরাইলের ভেতর একীভূত করে একে দেশটির রাজধানী হিসেবে ঘোষণা করে।

 

  • এসএইচ
প্রকাশক ও সম্পাদক : মহিব্বুল আরেফিন
যোগাযোগ: ২৬৮, পূবালী মার্কেট, শিরোইল, ঘোড়ামারা, রাজশাহী-৬০০০
মোবাইল: ০৯৬৩৮ ১৭ ৩৩ ৮১; ০১৭২৮ ২২ ৩৩ ২৮
ইমেইল: [email protected]; [email protected]