ফিনল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী সানা মারিনের সকালের নাশতার বিল খতিয়ে দেখার ঘোষণা দিয়েছে দেশটির পুলিশ। দেশটির প্রধানমন্ত্রী জনগণের করের টাকা থেকে অবৈধভাবে নিজের নাশতার জন্য ভর্তুকি নিচ্ছেন কি না, তা তদন্ত করা হবে। মঙ্গলবার স্থানীয় একটি ট্যাবলয়েড এ নিয়ে প্রতিবেদন প্রকাশ করে। তাতে দাবি করা হয়, প্রধানমন্ত্রী সানা মারিন সরকারি বাসভবন কেসারান্টায় থাকলেও নিজ পরিবারের সকালের নাশতার জন্য প্রতি মাসে ৩৬৫ ডলার বিল নিচ্ছেন। এ নিয়ে বিরোধীদের সমালোচনার মুখে পড়েছেন ৩৫ বছর বয়সী সানা। তাঁর ভাষ্য, আগের প্রধানমন্ত্রীরাও এমন সুবিধা পেয়েছেন।

টুইটারে সানা মারিন লিখেছেন, ‘প্রধানমন্ত্রী হিসেবে আমি এই সুবিধা চাইনি কিংবা এ–বিষয়ক সিদ্ধান্তে আমি জড়িত ছিলাম না।’

ট্যাবলয়েডের প্রতিবেদনে আইন বিশেষজ্ঞরা ইঙ্গিত দিয়েছেন, প্রধানমন্ত্রীর সকালের নাশতার খরচ জনগণের করের টাকা থেকে দেওয়ার বিষয়টি ফিনল্যান্ডের আইনের সঙ্গে সাংঘর্ষিক হতে পারে।

ঘটনাটি তদন্তের অনুরোধ পাওয়ার পর পুলিশ শুক্রবার প্রাক-বিচার তদন্ত শুরু করার ঘোষণা দিয়েছে।

এক বিবৃতিতে পুলিশ বলেছে, প্রধানমন্ত্রীকে কিছু খাবারের জন্য অর্থ দেওয়া হয়েছে। কিন্তু মন্ত্রীদের পারিশ্রমিক আইন অনুসারে এটি বিধিসম্মত নয়। বিবৃতিতে ডিটেকটিভ সুপারিনটেনডেন্ট টিমু জোকিনেন বলেছেন, ‘তদন্তে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের কর্মকর্তাদের সিদ্ধান্ত গ্রহণের বিষয়টি খতিয়ে দেখা হবে। কোনোভাবেই প্রধানমন্ত্রী বা তাঁর সরকারি কর্মকাণ্ডের সঙ্গে জড়ানো হবে না বিষয়টি।’

পুলিশের তদন্ত করার ঘোষণাকে টুইটারে স্বাগত জানিয়েছেন ফিনল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী।

২০১৯ সালের ডিসেম্বরে ক্ষমতায় আসার পর থেকে সোশ্যাল ডেমোক্র্যাট এই রাজনীতিবিদ ব্যাপক জনসমর্থন পেয়ে এসেছেন। ইউরোপের মধ্যে করোনাভাইরাস সংক্রমণ সবচেয়ে কম রাখতে পারায় তাঁর কেন্দ্র-বাম জোট সরকার প্রশংসিত হয়েছে। তবে আগামী ১৩ জুন অনুষ্ঠিতব্য স্থানীয় নির্বাচনের আগে তাঁর দল বিরোধীদের চেয়ে পিছিয়ে রয়েছে।