পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) ড. বেনজীর আহমেদ জনগণের সাংবিধানিক ও আইনগত অধিকার প্রতিষ্ঠায় সরকার বিভিন্ন আইনকে সংস্কারের মাধ্যমে যুগোপযোগী করেছে উল্লেখ করে বলেন, জনগণকে আইনি সহায়তা দেয়ার ক্ষেত্রে তথ্যের ভিত্তিতে পুলিশ সদস্যদের দ্রুত ব্যবস্থা নিতে হবে।

পুলিশের প্রতিটি সদস্যকে নারী, শিশু, বৃদ্ধ ও প্রতিবন্ধীসহ সব সেবাপ্রত্যাশী জনগণের প্রতি সংবেদনশীল আচরণ করতে হবে। করোনা মহামারীতে পুলিশ প্রশংসা কুড়িয়েছে উল্লেখ করে বলেন, দেশের অভ্যান্তরিন শান্তি শৃঙ্খলা রক্ষা, অপরাধ নিয়ন্ত্রণ, সন্ত্রাস দমন, মাদকের অপব্যবহার বিস্তার রোখে কার্য্যকর ভুমিকা পালন করতে হবে। সন্ত্রাস ও জঙ্গীবাদ দমনে বাংলাদেশ পুলিশের পেশাদারিত্ব ও সাহসিকতা আজ প্রশংসিত।

রাজশাহীর সারদায় বাংলাদেশ পুলিশ একাডেমিতে ৩৮তম ক্যাডেট এসআই ব্যাচের প্রশিক্ষণ সমাপনী কুচকাওয়াজ অনুষ্ঠানে সোমবার সকালে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন। এর আগে আইজিপি ৩৮তম এসআই ব্যাচের সমাপনী কুচকাওয়াজ পরিদর্শন করেন। এক বছর মেয়াদি এই প্রশিক্ষণে নতুন নিয়োগ পাওয়া ৫৭ জন নারীসহ এক হাজার ২৩১ জন এসআই অংশ নেন। এদের মধ্যে থেকে প্রশিক্ষণে শ্রেষ্ঠত্ব অর্জনকারী পাঁচজনের হাতে ক্রেস্ট তুলে দেন আইজিপি। এ সময় পুলিশ একাডেমির অধ্যক্ষ খন্দকার গোলাম ফারুকসহ রাজশাহী বিভাগ ও জেলায় কর্মরত উচ্চ পদস্থ সামরিক ও বেসামরিক কর্মকর্তাগণ, প্রশিক্ষণার্থীদের অভিভাবকগণ এবং আমন্ত্রিত অতিথিবৃন্দ অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন।

আইজিপি আরও বলেন, অপরাধ ও কৌশল মোকাবেলায় আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহারে সক্ষমতা অর্জন একটি মাইল ফলক। ফরেনসিক, ডিজিটাল ফরেনসিক, ডিএনএ পরীক্ষা, আইপিডিআর এনালাইসিস, সাইবার ক্রাইম, ফিন্যানসিয়াল ক্রাইম, ভিকটিম সাপোর্ট সেন্টার, নারী ও শিশু ডেস্ক, বিট পুলিশিং, জাতীয় জরুরী সেবা ৯৯৯ আরো অন্যান্যকার্য্যক্রম চালু রয়েছে। যে কোন পরিস্থিতিতে দায়িত্বর বাইরে গিয়েও জনগনের পাশে দাঁড়িয়েছে পুলিশ। যখন আত্মীয়স্বজন করোনাভাইরাসে আক্রান্ত রোগীকে ছেড়ে চলে গেছে, তখন পুলিশ বাহিনীর সদস্যরাই তাদের পাশে দাঁড়িয়েছে। তাই পুলিশ বাহিনী আজ জনগণের ভালোবাসায় পরিনত হয়েছে।

পরে আইজিপি একাডেমি চত্বরে বঙ্গবন্ধু ম্যুরাল, ব্যারাক ভবন এবং একাডেমি মসজিদের বর্ধিতাংশের উদ্বোধন করেন। তিনি প্রশিক্ষণার্থীদের মাঝে সনদপত্র বিতরণ করেন এবং তাদের সাথে ফটোসেশনে অংশ নেন। আইজিপি একাডেমি চত্বরে একটি গাছের চারা রোপণ করেন।