03/14/2025 পবায় সাড়ে ৩ কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত হচ্ছে ব্রীজ
নিজস্ব প্রতিবেদক
১৯ আগস্ট ২০২০ ০৩:০৩
পবা উপজেলার নওহাটা পৌরসভায় চলছে একের পর এক উন্নয়নমূলক কাজ। এর মধ্যে বারনই নদীর শাখা নদীর উপর দিয়ে ৩ কোটি ৪৯ লক্ষ টাকা ব্যায়ে নির্মিত হচ্ছে একটি ব্রীজ। করোনার কারনে আপাততকাজ বন্ধ রয়েছে। এই ব্রীজ নির্মান শেষ হলে বাবুপাড়া, মহন্দখালী ও টিকটিকি পাড়ার জনগণসহ অন্যান্য জনগণের দীর্ঘদিনের সমস্যা দূর হবে বলে জানান নওহাটা পৌর মেয়র আলহাজ্ব শেখ মকবুল হোসেন।
তিনি বলেন, নওহাটার বাবুল সিমেনা হলের পশ্চিম দিয়ে বারনই নদীর শাখা নদীর উপর দিয়ে এক যুগেরও বেশী সময় ধরে মানুষ বাঁশের সাঁকো দিয়ে নওহাটাসহ অন্যান্য স্থানে যাওয়ার জন্য পারাপার হতেন। অনেক কষ্ট করেই তাদের যানবাহন পারাপার করতে হতো। এই ব্রীজ নির্মাণ শেষ হলে আর কোন সমস্যা থাকবেন বলে জানান তিনি।
মেয়র বলেন, এই মেয়াদে নানা প্রতিকুলতার মধ্যে দিয়েও তিনি উন্নয়নমূলক কাজ অব্যাহত রেখেছেন। বর্ষা মৌসুম আসার পূর্বেই নওহাটা গরু হাট ইট দিয়ে সোলিং করে দিয়েছেন। এছাড়াও যেসকল স্থানে জলাবদ্ধতা ব্যপক আকার ধারন করে সে সকল স্থানে নিজ উদ্যোগে ড্রেন এর কাজ করছেন। সেইসাথে অনেক রাস্তার কাজও ইতোমধ্যে শেষ করেছেন এবং আগামীতে আরো করবেন বলে জানান তিনি। শুধু উন্নয়নমূলক কাজই নয় সারা বিশ্বের ন্যায় বাংলাদেশেও কোভিড-১৯ মানে করোনা ভাইরাস ব্যপকভাবে আক্রমণ করেছে। এরফলে মানুষ দিশেহারা হয়ে পড়েছে। দেশের অন্যান্য স্থানের ন্যায় তাঁর পৌরসভাতেও হানা দিয়ে করোনা। করোনায় আক্রান্তদের সেবাসহ কর্মহীনদের সহযোগিতা অব্যাহত রেখেছেন বলে জানন মেয়র।
তিনি আরো বলেন, আর কয়েকদিন পরেই অনুষ্ঠিত হবে মুসলমানদের সব থেকে বড় ধর্মীয় উৎসব ঈদ-উল আযহা। এই ঈদে পশুর হাটে সামাজিক নিরাপত্তা ও স্বাস্থ্যবিধি মেনে পশু ক্রয় বিক্রয় করার জন্য জনগণের প্রতি আহবান জানান তিনি।
এদিকে সহকারী ঠিকাদার হাবিবুর রহমান বলেন, মেসার্স বসুন্ধরা হাউস বিল্ডার্স এবং নিউ রিলেশন ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান এই ব্রীজ নির্মান করছেন। আর নওহাটা পৌরসভার এর বাস্তবায়নে রয়েছে। মোট ৫২ মিটার ব্রীজ হবে। করোনা ভাইরাসের কারনের কাজ সাময়িক বন্ধ রয়েছে। তবে ঈদ-উল আযহার পরেই কাজ শুরু হবে এবং চলতি বছরের নভেম্বর মাস নাগাদ এর কাজ শেষ হবে জানান তিনি।
বাবুপাড়া গ্রামের বসিন্দা পৌর কাউন্সিলর শিউলী রানী, রঞ্জু ও পিংকুসহ আরো অনেকে বলেন, এই নদীর উপর দিয়ে একটি ব্রীজ তাদের দীর্ঘদিনের দাবী ছিলো। এক যুগেরও বেশী সময় ধরে তারা বাঁশের সাঁকো দিয়ে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে পারাপার হচ্ছেন। ব্রীজ হয়ে গেলে তাদের এই সমস্যা দূর হবে। ব্রীজ নির্মাণ করায় মেয়র মকরুলকে তারা ধন্যবাদ জানান। সেইসাথে তাঁর দীর্ঘ্যায়ু কামনা করেন অত্র গ্রামবাসী।
আন্দালীব