আজ শনিবার থেকে দেশের ইউনিয়ন পর্যায়ে শুরু হয়েছে গণটিকা কার্যক্রম। আগামী ১২ আগস্ট পর্যন্ত সারাদেশে ক্যাম্পেইন চালিয়ে ৩২ লাখ মানুষকে এ টিকা দেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার । সেই ধারাবাকিতায় বাঘার ৭টি ইউনিয়নে শনিবার সকাল ৯টা থেকে টিকা প্রদান শুরু হয়েছে। আর এটি পরিদর্শনে যান বাঘা উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান এ্যাড. লায়েব উদ্দিন লাভলু ও উপজেলার নির্বাহী অফিসার পাপিয়া সুলতানা।
জানা গেছে, তৃণমুল পর্যায়ে যে সকল মানুষ এখন পর্যন্ত করোনা টিকা গ্রহণ করেননি তাদের জন্য সরকার ইউনিয়ন পর্যায়ে ওয়ার্ড ভিত্তিক টিকা প্রদান কার্যক্রম চালু করেছেন। এ জন্য প্রয়োজন হচ্ছে জাতীয় পরিচয়পত্র এবং মোবাইল নম্বর। এ টিকার প্রথম ডোজে যারা বয়স্ক এবং প্রতিবন্ধী তাদের প্রতি গুরুত্বআরোপ করা হয়েছে।
বাঘা উপজেলা চেয়ারম্যান এ্যাড. লায়েব উদ্দিন লাভলু জানান, আজ শনিবার সকাল ৯টা থেকে বিকেল ৩টা পর্যন্ত মহামারি করো প্রতিরোধে গণহারে প্রথম ডোজ টিকা দেয়া কার্যক্রম শুরু হয়েছে। এটি আগামী ১২ আগস্ট পর্যন্ত চলবে। প্রথম দিনের তালিকায় বাঘার ৭ ইউনিয়নের এক থেকে তিন পর্যন্ত মোট ২১টি ওয়ার্ডে একটি করে ভেন্যু গঠনের মাধ্যমে ৪ হাজার ২০০ জন টিকা গ্রহণ করবে। আমি সকাল থেকে প্রতিটা ইউনিয়নে গিয়ে এই টিকা প্রদান পরিদর্শন করেছি।
বাঘা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা রাশেদ আহাম্মেদ বলেন, মহামারি করোনাকালে সরকার মানুষের জীবন রক্ষার জন্য দেশব্যাপী তৃণমুল পর্যায়ে টিকা প্রদানের ব্যবস্থা করে ব্যাপকভাবে প্রশিংশিত হচ্ছেন। প্রথম দিন শনিবার বাঘার ৭ টি ইউনিয়নে (শিক্ষা প্রতিষ্ঠান কেন্দ্রিক) ৭টি কেন্দ্রে ৬টি করে বুত তৈরীর মাধ্যমে গণহারে টিকা দেয়া চলছে। এ জন্য প্রতিটা কেন্দ্রে ৬ জন টিকাদান কর্মী এবং একজন সুপার ভাইজার নিয়োগ করা হয়েছে।
এ সময় উপজেলা চেয়ারম্যান এ্যাড. লায়েব উদ্দিন লাভলুর সঙ্গে ছিলেন উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান আব্দুল মোকাদ্দেস আলী সরকার, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান রিজিয়া আজিজ সরকার, বাঘা থানা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি সানোয়ার হোসেন সুরুজ প্রমুখ।
এসকে