6349

09/23/2024 টান দিলেই উঠে যাচ্ছে নতুন সড়কের কার্পেটিং, নাটোরের দুই প্রকৌশলীকে শোকজ

টান দিলেই উঠে যাচ্ছে নতুন সড়কের কার্পেটিং, নাটোরের দুই প্রকৌশলীকে শোকজ

নিজস্ব প্রতিবেদক

২৩ আগস্ট ২০২১ ২২:৫৮

নাটারে নতুন নির্মিত পাকা রাস্তার কার্পেটিং উঠে যাওয়ায় লালপুর উপজেলা স্থানীয় সরকার বিভাগের দুই প্রকৌশলীকে কারণ দর্শানোর নোটিশ দিয়েছেন নাটোর স্থানীয় সরকার প্রকৌশল বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী। লালপুর উপজ লা প্রকৌশলী জুলফিকার আলী নোটিশ পাওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

প্রত্যক্ষদর্শী ও স্থানীয়রা জানান, জেলার লালপুর উপজেলার দুড়দড়িয়া ইউনিয়নের রাধাকৃষ্ণপুর কালি মন্দির থেকে মির্জাপুর প্রাথমিক বিদ্যালয় পর্যন্ত ৭০লাখ টাকা ব্যয়ে এক কিলামিটার পাকা রাস্তার সংস্কারের কাজ গত সপ্তাহ শেষ হয়। নিন্মমানের কাজের অভিযাগে স্থানীয়রা কয়কবার বাঁধা দিলে পরে ভালা মানের কাজ হচ্ছে বলে প্রচার চালিয় উপজেলা প্রকৌশলীদের সামনেই কাজ করে ঠিকাদারের লোকজন। কয়েক দিনরে মধ্যই নতুন রাস্তার যে কোন অংশ আঙ্গুলের টানেই উঠ যাচ্ছে কার্পেটিং। হাত দিয় আঘাত করলই একদিক থেকে সব রাস্তার কার্পটিং উঠে যায়।

বিষয়টি জানতে নাটোর এলজিইডির নির্বাহী প্রকৌশলী এম শহিদুল ইসলাম তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা নেন। ল্যাবরেটরি সহকারী প্রকৌশলী আবু সালহ মো. নাসিমকে সাথে নিয়ে ঘটনাস্থলে যান। রাস্তার মালামাল পরীক্ষাগারে এনে পরীক্ষার ব্যবস্থা করেন। পরীক্ষায় নিন্মমানের সামগ্রী ব্যবহারের কিছু প্রমাণ পাওয়া যায়। পরবর্তীতে এই রাস্তার কাজ তদারকির দায়িত্ব থাকা লালপুর উপজেলা প্রকৌশলী জুলফিকার আলী এবং উপসহকারী প্রকৌশলী মো. আব্দুর রাজ্জাকক কারণ দর্শানার নোটিশ করেছেন তিনি।

সংশ্লিষ্টরা জানায়, লালপুর উপজেলার দুড়দড়িয়া ইউনিয়নের রাধাকষ্ণপুর কালি মদির থেক মির্জাপুর প্রাথমিক বিদ্যালয় পর্যন্ত এক কিলামিটার রাস্তার সঙ্গে তিনটি কালভার্ট সহ কাজটি পায় পান এসএম সামছুল ইসলাম নাম একটি ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান। তবে এসএম সামছুল ইসলাম নামের এই ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান কাজ পেলেও কাজটি করছে আরেক ঠিকাদার বাবু। নিম্নমানের কাজের বিষয় জানত চাইলে বাবু বলন, বিটুমিন কম থাকার কারণ হয়ত এই পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে। তব নির্বাহী প্রকৌশলীর নির্দেশনা মতো পুনরায় কাজটি করে দেওয়া হবে।

এদিকে এমন নিম্নমানের কাজের সাথে জড়িতদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবী জানিয়েছেন এলাকাবাসী।

নাটোর স্থানীয় সরকার প্রকৌশল বিভাগের নির্বাহী প্রকশলী এম শহিদুল ইসলাম বলছন, বিষয়টি আমার নজরে আসায় তাৎক্ষনিক ব্যবস্থা নিয়েছি। এই কাজ তদারকির দায়িত্ব থাকা দুজন প্রকৌশলীকে শোকজ করা হয়েছে। আগামী সাতদিনের মধ্য তাদরকে লিখিত কারণ দর্শানার জন্য বলা হয়ছ। বর্ষা বৃষ্টি আরেকটু কমলে ঠিকাদারকে নতুনভাব কাজ করার জন্য বলা হয়েছে।

 

প্রকাশক ও সম্পাদক : মহিব্বুল আরেফিন
যোগাযোগ: ২৬৮, পূবালী মার্কেট, শিরোইল, ঘোড়ামারা, রাজশাহী-৬০০০
মোবাইল: ০৯৬৩৮ ১৭ ৩৩ ৮১; ০১৭২৮ ২২ ৩৩ ২৮
ইমেইল: [email protected]; [email protected]