ঢাকার ভাটারা এলাকায় খ্রিস্টান এক যুবককে বাসায় ডেকে নিয়ে অতিরিক্ত মদ পান করানোর পর পিটিয়ে হত্যার অভিযোগে নাটোরের বড়াইগ্রাম থেকে প্রেমিকা ও তার বাবাকে আটক করে ঢাকায় নিয়ে গেছে পুলিশ।

রবিবার (২৯ আগস্ট) রাতে বড়াইগ্রাম থানা পুলিশ উপজেলার বনপাড়ার সাগরের মোড় এলাকার বাড়ি থেকে হত্যাকান্ডের সাথে জড়িত থাকার অভিযোগে প্রেমিকা প্রিয়াংকা গমেজ (২০) তার বাবা জীবন গমেজ (৫০) কে আটক করে। পরে রাতেই তাদেরকে ঢাকা ভাটারা থানায় হস্তান্তর করা হয়।

এর আগে শনিবার বিকেলে ভাটারা ছোলমাইদ মহল্লার জীবন গমেজের বাসার টয়লেট থেকে রিগ্যান রোজারিও (২৩) নামে এক যুবকের লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। নিহত রিগ্যান বড়াইগ্রামের জোনাইল এলাকার মৃত প্রফুল্ল রোজারিও'র ছেলে।

পুলিশ ও নিহতের স্বজনেরা জানায়, ছোলমাইদ মহল্লার একটি ছয় তলা ভবনের তিন তলায় জীবন গমেজ ভাড়া থাকতেন। এলাকাবাসীর খবরে শনিবার বিকাল তিনটার দিকে ভাড়া বাসার তালা ভেঙ্গে রুমে ঢুকে তল্লাশি চালিয়ে টয়লেট থেকে রিগ্যানের মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়। তার শরীরের বিভিন্ন স্থানে জখমের চিহ্ন রয়েছে।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, শুক্রবার রাত ৯ টার দিকে রিগ্যান ওই বাসায় আসে। পরে তারা উভয়ে মদ পান করে। এক পর্যায়ে মদ্যপ অবস্থায় জীবন তাকে বেধড়ক মারপিট করলে তার মৃত্যু হয়। পরে তাকে টয়লেটে আটকে রেখে বাসা তালা দিয়ে বাবা ও মেয়ে পালিয়ে যায়। রিগ্যানের পরিবারের সদস্যরা তার মোবাইল ফোন দীর্ঘসময় বন্ধ পেয়ে ও অনেক খোঁজ করে সন্ধান না পাওয়ায় ভাটারা থানায় এজাহার দায়ের করে। পরে থানা পুলিশ প্রযুক্তি ব্যবহারের মধ্য দিয়ে রিগ্যানের মোবাইল ফোনের নাম্বারের অবস্থান ও কল বিশ্লেষণ করে জীবনের বাসা থেকে মৃতদেহ উদ্ধার করে। এ ঘটনায় নিহতের বোন আলো রোজারিও আটককৃত বাবা ও মেয়ে সহ অজ্ঞাত আরও ২-৩ জনকে আসামি করে হত্যা মামলা দায়ের করেছে।

ভাটারা থানার ওসি মুক্তারজ্জামান জানান, ধারণা করা হচ্ছে রিগ্যানের সাথে প্রিয়াঙ্কার প্রেমের সম্পর্ক ছিল। যা তার বাবা জীবন গমেজ মেনে নিতে পারেনি। মেয়ের কাছ থেকে সরে যাওয়ার জন্য বাবা জীবন গমেজ প্রেমিক রিগ্যানকে কৌশলে ডেকে নিয়ে মদ পান করিয়ে বেধড়ক মারপিট করে হত্যা করে।