6927

05/20/2024 আরিয়ান খানকে গ্রেফতার করতে গিয়েছিল বিজেপির সদস্যরাও!

আরিয়ান খানকে গ্রেফতার করতে গিয়েছিল বিজেপির সদস্যরাও!

রাজটাইমস ডেস্ক

৭ অক্টোবর ২০২১ ১৪:৪৬

শনিবার রাতে গোয়াগামী এক প্রমোদতরী থেকে ভারতের কেন্দ্রীয় মাদক নিয়ন্ত্রক সংস্থার হাতে আটক হন বলিউড সুপারস্টার শাহরুখ খান পুত্র আরিয়ান খান ও তার ঘনিষ্ঠ বন্ধু আরবাজ মার্চেন্ট। এই ঘটনা নিয়ে গত কয়েক দিনে উত্তাল গোটা ভারত। বুধবার ফের নয়া মোড় নিলো এই হাইপ্রোফাইল মামলা। আরিয়ানের গ্রেফতারি নিয়ে এবার রাজনৈতিক সমালোচনা হচ্ছে মহারাষ্ট্রে। শনিবার গভীর রাতে আরিয়ান ও আরবাজকে এসকর্ট করে এনসিবির ব্যালাড এস্টেট-এর (মুম্বইয়ের কার্যলয়) অফিসে নিয়ে আসা দুই ব্যক্তির পরিচয় ফাঁস হতেই এই চাঞ্চল্য। তারা দুজন এনসিবির কর্মকর্তা নন, বরং একজন বিজেপি ঘনিষ্ঠ মণীশ ভানুশালি, অপরজন কেপি গোসাই।


শরদ পাওয়ারের দল তথা মহারাষ্ট্রে উদ্ধব সরকারের সহযোগী ন্যাশনালিস্ট কংগ্রেস পার্টির মুখপাত্র নবাব মালিক বুধবার বোমা ফাটালেন। তার দাবি, বিজেপি ও এনসিবির যোগসাজশের জেরেই গ্রেফতার হয়েছেন শাহরুখ পুত্র। মহারাষ্ট্র সরকার, বলিউড ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রির ভাবমূর্তি নষ্ট করতেই এই চক্রান্ত করা হয়েছে। যদিও নবাব মালিকের এই অভিযোগ প্রত্যাখ্যান করেছে এনসিবি ও বিজেপি।

আরিয়ান-আরবাজকে ওই রাতে এনসিবির অফিসে যে দুজন ধরে এনেছিল তাদের মধ্যে একজন বিজেপি সমর্থক মণীশ ভানুশালি, অপরজন কেপি গোসাই। গোসাই নিজেকে ব্যক্তিগত ডিটেক্টিভ বলে পরিচয় দিয়ে থাকেন। এদিন সংবাদ সম্মেলনে নিজের বক্তব্যের সমর্থনে ভিডিও ক্লিপিংও তুলে ধরেন নবাব মালিক। এতে দেখা যায়, কেপি গোসাই আরিয়ান খানকে অফিসে ঢোকাচ্ছেন, অন্যদিকে মণীশ ভানুশালি আরিয়ানের বন্ধুকে এনসিবির অফিসে নিয়ে যাচ্ছেন।

দুজন সাধারণ নাগরিক, এমন হাইপ্রোফাইল রেইডের পর দুজন প্রধান অভিযুক্তকে কিভাবে ধরে আনছে, প্রশ্ন তোলেন উদ্ধব সরকারের সংখ্যালঘু উন্নয়ন মন্ত্রী। মালিক আরো যোগ করেন, ভানুশালির ফেসবুকের দেয়ালে স্পষ্ট উল্লেখ রয়েছে, তিনি বিজেপির ভাইস প্রেসিডেন্ট। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি, কেন্দ্রীয় মন্ত্রী অমিত শাহ, বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নড্ডাসহ সকল সিনিয়র নেতার সঙ্গে তার ছবি জ্বলজ্বল করছে ফেসবুকে। তার অভিযোগ বিজেপির অঙ্গুলি হেলনেই কেন্দ্রীয় মাদক নিয়ন্ত্রক সংস্থা এই কাণ্ড ঘটিয়েছে। তিনি বলেন, ‘এই পুরো বিষয়টা শুরু হয়েছে সুশান্ত সিং রাজপুতের মৃত্যুর পরবর্তী সময়ে। ড্রাগসের জন্য সুশান্তকে হত্যা করা হয়েছে, এমন সব সাজানো গল্প ফাঁদা হয়েছে। তারপর থেকে আলোচনায় এনসিবির জোনাল অফিস’।

অবশ্য, মহা বিকাশ আঘারি জোট সরকারের মন্ত্রীর এই চাঞ্চল্যকর অভিযোগ উড়িয়ে দিয়েছে এনসিবি। নারকোটিক্স কন্ট্রোল ব্যুরোর জোনাল ডিরেক্টর সমীর ওয়াংখেড়ে জানান, এই অভিযোগের কোনো ভিত্তি নেই। সংবাদ সম্মেলনে এনসিবির ডেপুটি ডিরেক্টর জেনারেল জ্ঞানেশ্বর সিং জানান, সবরকম আইনি প্রক্রিয়া মেনেই ওই অপারেশন চালানো হয়েছিল। ওই ঘটনার ৯ জন সাক্ষী রয়েছেন, সেই তালিকাতে নাম রয়েছে মনীশ ভানুশালি ও কিরন গোসাই-এর।

অন্যদিকে বিজেপি এই মামলায় পালটা অভিযোগের আঙুল তুলল এনসিপির দিকেই। বিজেপির মুখপাত্র কেশব উপাধ্যায় প্রশ্ন করেন, ‘এনসিপি আগে বলুক তারা কি ড্রাগ মাফিয়াদের সমর্থক বা তাদের বিরুদ্ধে কোনো অ্যাকশন নেয়া হলে ওদের সমস্যা রয়েছে?’ সাথে তিনি এও দাবি করেন, বিজেপির প্রবীণ নেতাদের সঙ্গে ছবি থাকলেই কেউ বিজেপি নেতা হয় না।

ভানুশালি নিজে সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন, তিনি প্রকৃতপক্ষেই বিজেপি সমর্থক, তবে দলে তার কোনো পদ নেই। তিনি সাক্ষী হিসাবেই ওই দিন এনসিবি অফিসে এসেছিলেন। তাকে নির্দিষ্ট কিছু নথিতে স্বাক্ষর করতে হয়েছিল।
সূত্র : হিন্দুস্তান টাইমস

প্রকাশক ও সম্পাদক : মহিব্বুল আরেফিন
যোগাযোগ: ২৬৮, পূবালী মার্কেট, শিরোইল, ঘোড়ামারা, রাজশাহী-৬০০০
মোবাইল: ০৯৬৩৮ ১৭ ৩৩ ৮১; ০১৭২৮ ২২ ৩৩ ২৮
ইমেইল: [email protected]; [email protected]