7394

03/29/2024 আমিনবাজারে ছয় ছাত্রকে পিটিয়ে হত্যা মামলার রায় ২ ডিসেম্বর

আমিনবাজারে ছয় ছাত্রকে পিটিয়ে হত্যা মামলার রায় ২ ডিসেম্বর

রাজটাইমস ডেস্ক

২৩ নভেম্বর ২০২১ ০৫:৫০

 

আদালতসংশ্লিষ্ট সূত্রগুলো বলছে, এ মামলায় ২০১৩ সালের ৮ জুলাই ৬০ আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন আদালত। এ মামলায় রাষ্ট্রপক্ষ থেকে ৫৫ জন সাক্ষীকে আদালতে হাজির করা হয়। মামলার সাক্ষ্য গ্রহণ শুরু হয়েছিল ২০১৩ সালের ৩০ ডিসেম্বর। সাক্ষ্য গ্রহণ শেষ হয় গত বছরের ১৮ আগস্ট। আর যুক্তিতর্ক শুরু হয় এ বছরের ৬ জানুয়ারি।

মামলার কাগজপত্রের তথ্য অনুযায়ী, ২০১১ সালের ১৭ জুলাই শবে বরাতের রাতে সাত বন্ধু ঘুরতে গিয়েছিলেন আমিনবাজারের বড়দেশী গ্রামে। রাত সোয়া একটার দিকে স্থানীয় কিছু দুর্বৃত্ত তাঁদের ডাকাত বলে পিটিয়ে ও কুপিয়ে আহত করে। এতে একজন প্রাণে বাঁচলেও ছয়জন মারা যান। নিহত ছাত্রদের স্বজনদের দাবি, হামলায় অংশ নেওয়া অধিকাংশ লোকই মাদক ব্যবসায়ী এবং বিভিন্ন অপরাধের সঙ্গে জড়িত।

 

সাক্ষ্য দিলেন বেঁচে যাওয়া এক ছাত্র

হামলায় নিহত ছাত্ররা হলেন বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ম্যাপল লিফের ‘এ’ লেভেলের ছাত্র শামস রহিম, মিরপুর বাঙলা কলেজের পদার্থবিজ্ঞান বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র তৌহিদুর রহমান, একই কলেজের হিসাববিজ্ঞান বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র ইব্রাহিম খলিল, উচ্চমাধ্যমিক বিজ্ঞান বিভাগের প্রথম বর্ষের ছাত্র কামরুজ্জামান, তেজগাঁও কলেজের ব্যবস্থাপনা বিভাগের প্রথম বর্ষের ছাত্র টিপু সুলতান ও বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি অব বিজনেস অ্যান্ড টেকনোলজির (বিইউবিটি) বিবিএ দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র সিতাব জাবির।
হামলায় প্রাণে বেঁচে যাওয়া আল-আমিন প্রথম আলোকে এর আগে বলেছিলেন, ‘সাত বন্ধু মিলে বেড়াতে গিয়েছিলাম। হঠাৎ একদল লোক চোখে টর্চ লাইট ধরে জানতে চায় আমরা কোথা থেকে এসেছি। আমরা ছাত্র পরিচয় দিয়ে দারুস সালাম থেকে ঘুরতে এসেছি জানালে তারা আমাদের বলে, “তোরা ডাকাত”। এরপর সবাই আমাদের মারতে শুরু করে।’

হামলার পরদিন স্থানীয় বালু ব্যবসায়ী আবদুল মালেক বাদী হয়ে নিহত ছয়জন ও আল-আমিনের বিরুদ্ধে সাভার থানায় একটি ডাকাতি মামলা করেন। তদন্তে ডাকাতির মামলাটি মিথ্যা প্রমাণিত হয় এবং ছয় ছাত্রকে হত্যার অভিযোগে পুলিশ বাদী হয়ে সাভার থানায় একটি মামলা করে। পরে উচ্চ আদালতের নির্দেশে মামলাটি র‌্যাবের কাছে হস্তান্তর করা হয়। তদন্ত শেষে ২০১৩ সালের ১৩ জানুয়ারি র‌্যাব ৬০ জনের নাম উল্লেখ করে আদালতে একটি অভিযোগপত্র জমা দেয়। অভিযোগপত্রে সাক্ষী করা হয় ৯২ জনকে।
অভিযোগপত্রে বলা হয়, নিরীহ ছাত্রদের হত্যার উদ্দেশ্যে আসামিরা মারধর করে। পরে হত্যার ঘটনাটি ধামাচাপা দেওয়ার জন্য মসজিদের মাইকে সবাইকে ডাকাত আসার ঘোষণা দিয়েছিল। বিভিন্ন দেশীয় অস্ত্র দ্বারা আঘাত করে তাঁদের হত্যা করা হয়।

 

 

প্রকাশক ও সম্পাদক : মহিব্বুল আরেফিন
যোগাযোগ: ২৬৮, পূবালী মার্কেট, শিরোইল, ঘোড়ামারা, রাজশাহী-৬০০০
মোবাইল: ০৯৬৩৮ ১৭ ৩৩ ৮১; ০১৭২৮ ২২ ৩৩ ২৮
ইমেইল: [email protected]; [email protected]