7793

03/16/2025 আব্বাসের বিরুদ্ধে আরও দুটি মামলা

আব্বাসের বিরুদ্ধে আরও দুটি মামলা

নিজস্ব প্রতিবেদক

২৪ ডিসেম্বর ২০২১ ২২:২৯

রাজাশাহীর কাটাখালী পৌরসভার বরখাস্ত মেয়র আব্বাস আলীর বিরুদ্ধে একটি চাঁদাবাজি ও ডিজিটাল আইনে আরও একটি মামলাসহ দুটি মামলা দায়ের হয়েছে। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যার পর ভুক্তভোগী পৃথক দুই ব্যক্তি কাটাখালী থানায় এজাহার দেন।

পুলিশ রাত ৮টার দিকে সেগুলো মামলা হিসেবে রেকর্ড করেন। এর ফলে বরখাস্ত মেয়র আব্বাসের বিরুদ্ধে মামলার সংখ্যা দাঁড়াল তিনটি।

কাটাখালী থানা পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, হরিয়ান ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান ও আওয়ামী লীগ নেতা আব্দুস কুদ্দুশ বাদী হয়ে ১০ লাখ টাকা চাঁদাবাজির মামলাটি করেন।

আব্দুল কুদ্দুশ তার অভিযোগে জানান, ২০১৯ সালের মার্চ মাসে কাটাখালী অটোস্ট্যান্ড সংলগ্ন এলাকায় মেয়র আব্বাসের বাসভবনের কাছে নিজ জায়গায় একটি মার্কেট নির্মাণ শুরু করেন। নির্মাণ কাজ শুরুর পরপরই আব্বাস তার কাছে ১০ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করেন। চাঁদা না দেওয়ায় আব্বাসের সশস্ত্র ক্যাডাররা তার নির্মাণ সামগ্রী ভাঙচুর করেন। ফলে এরপর তিনি আর মার্কেট নির্মাণ করতে পারেননি। এরপরও আব্বাস চাঁদা পরিশোধের দাবি করে হুমকি দিয়ে আসছিলেন। নিজ জায়গায় মার্কেট নির্মাণ করতে না পারায় তিনি বিপুল আর্থিক ক্ষতিতে পড়েন।

অন্যদিকে কাটাখালী পৌর যুবলীগের আহ্বায়ক জনি ইসলাম জনি বাদী হয়ে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে আব্বাসের বিরুদ্ধে দ্বিতীয় মামলাটি করেন।

বাদী তার অভিযোগে বলেছেন, গত ২৩ নভেম্বর আব্বাসের ভাইরাল হওয়া অডিওতে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবর রহমানকেই শুধু কটূক্তি করা হয়নি- রাজশাহীর মেয়র ও বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটনকে উদ্দেশ করে অসম্মানজনক নানান কটূক্তি করা হয়েছে।

বাদী অভিযোগে বলেছেন, খায়রুজ্জামান লিটন জাতীয় চার নেতার অন্যতম ও বঙ্গবন্ধুর ঘনিষ্ঠ সহচর শহীদ এএইচএম কামারুজ্জামানের পুত্র ও রাজশাহীর সিটি মেয়র। তার সম্পর্কে খারাপ উক্তি করায় দলের ও লক্ষ্যস্থিত ব্যক্তির অনেক সম্মানহানি হয়েছে।

কাটাখালী থানার ওসি সিদ্দিকুর রহমান বলেন, দুটি এজাহার পেয়ে সেগুলো মামলা আকারে রেকর্ড করা হয়েছে। অন্য একটি ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের মামলায় কারাগারে থাকা আব্বাস মেয়রকে এ দুটি মামলায় নতুন গ্রেফতার দেখানোর আবেদন জানানো হবে আদালতে।

 

প্রকাশক ও সম্পাদক : মহিব্বুল আরেফিন
যোগাযোগ: ২৬৮, পূবালী মার্কেট, শিরোইল, ঘোড়ামারা, রাজশাহী-৬০০০
মোবাইল: ০৯৬৩৮ ১৭ ৩৩ ৮১; ০১৭২৮ ২২ ৩৩ ২৮
ইমেইল: [email protected]; [email protected]