8003

05/19/2024 এক মণ রসুন বিক্রী করে মিলছে এক কেজি মাংস!

এক মণ রসুন বিক্রী করে মিলছে এক কেজি মাংস!

ডেক্স রির্পোট

৪ জানুয়ারী ২০২২ ০৯:৪০

বাড়িতে মেয়ে আর নাতিরা এসেছে। তাই এক মণ রসুন নিয়ে হাটে এসেছেন আব্দুল মালেক নামে এক কৃষক। রসুন বিক্রি করে মাংস কিনে বাড়ি ফিরবেন; কিন্তু বাজারে রসুনের দাম দেখে তিনি হতাশ। কেননা এক মণ রসুনের দাম এক কেজি মাংসের সমান।

সোমবার নাটোরের বড়াইগ্রাম উপজেলার লক্ষ্মীকোল বাজারের চিত্র এটি। এখানে প্রতি কেজি গরুর মাংস বিক্রি হচ্ছে ৫৫০ টাকায়। আর এখানকার কৃষকরা প্রতি মণ রসুন বিক্রি করেছেন ৫০০ থেকে ৫৫০ টাকা।

চলতি মৌসুমে ভালো ফলন পেলেও ন্যায্য দাম পাননি বড়াইগ্রাম উপজেলার রসুন চাষিরা। অনেক পরিশ্রমের ফসল রসুন বিক্রি করে খরচের টাকাই উঠছে না তাদের। দাম না থাকায় তাই এক কেজি গরুর মাংস কিনতে এক মণ রসুন বেচতে হচ্ছে।

বড়াইগ্রাম সদর ইউনিয়নের শ্রীরামপুর গ্রামের কৃষক মুকুল হোসেন বলেন, চলতি মৌসুমে রসুনের দাম একেবারেই কম। খুব ভালো মানের রসুন ৮০০-৯০০ টাকা দরে বিক্রি হলেও অধিকাংশ রসুন ৫০০-৬০০ টাকা মণ দরে বিক্রি হচ্ছে। এতে কৃষকের উৎপাদন খরচই উঠছে না। অথচ চায়না থেকে আমদানি করা রসুন চার হাজার টাকা মণ দরে বিক্রি হচ্ছে। এ অবস্থা হলে কৃষক বাঁচবে না।

মামুদপুর গ্রামের কৃষক আবু রায়হান বলেন, এক সময় প্রতি মণ রসুন আট হাজার টাকা দরে বিক্রি করেছি। তখন প্রতি হাটেই রসুন বেচে মাংস কিনে মনের আনন্দে বাড়ি ফিরতাম। তখন দুই-আড়াই কেজি রসুনের দামেই এক কেজি মাংস কেনা যেত। অথচ এখন এক কেজি মাংস কিনতে এক মণ রসুন বেচতে হচ্ছে। এ অবস্থার পরিবর্তন না হলে কৃষক সর্বস্বান্ত হয়ে যাবে।

সূত্র: যুগান্তর।

প্রকাশক ও সম্পাদক : মহিব্বুল আরেফিন
যোগাযোগ: ২৬৮, পূবালী মার্কেট, শিরোইল, ঘোড়ামারা, রাজশাহী-৬০০০
মোবাইল: ০৯৬৩৮ ১৭ ৩৩ ৮১; ০১৭২৮ ২২ ৩৩ ২৮
ইমেইল: [email protected]; [email protected]