8291

05/04/2024 বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তিতে প্রতারিত হয়ে এখন নিজেই প্রতারক

বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তিতে প্রতারিত হয়ে এখন নিজেই প্রতারক

ডেক্স রির্পোট

১৮ জানুয়ারী ২০২২ ১১:৫৬

ছোট ভাইকে অবৈধ উপায়ে বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি করাতে টাকা দিয়ে প্রতারিত হয়েছিলেন মেহেদী হাসান। এর পর সেই অবৈধ পথেই হেঁটেছেন তিনি। নিজেই বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির প্রতিশ্রুতি দিয়ে প্রতারণার ফাঁদ পেতে টাকা হাতিয়েছেন। শেষ পর্যন্ত তাকে গ্রেপ্তার হতে হলো।

পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ-সিআইডি সোমবার সকালে নড়াইলের লোহাগড়া এলাকা থেকে প্রতারক মেহেদীকে গ্রেপ্তার করে। তিনি রাজধানীর একটি সরকারি কলেজ থেকে অনার্স ও মাস্টার্স শেষ করেছেন।

সিআইডি বলছে, রংপুরে বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে স্নাতক প্রথম বর্ষে ভর্তির জন্য ফেসবুকে একটি চক্র প্রলোভন দিয়ে যাচ্ছিল। বিষয়টি সিআইডি সাইবার টিমের নজরে এলে তদন্ত শুরু হয়। এরই ধারাবাহিকতায় মেহেদীকে গ্রেপ্তার করা হয়। তার কাছ থেকে মোবাইল ব্যাংকিং অ্যাকাউন্ট সক্রিয় ১০টি সিম, তিনটি মোবাইল ফোন এবং একটি ল্যাপটপ উদ্ধার করা হয়েছে।

সিআইডি সাইবার পুলিশ সেন্টারের বিশেষ পুলিশ সুপার রেজাউল মাসুদ জানান, 'বিআরইউআর চান্স ১০০ ভাগ করে দেব' নামের গ্রুপ থেকে একটি বার্তা ফেসবুকে শেয়ার করা হয়। এতে বলা হয়, যারা বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে চান্স পাননি, তাদের চান্স পাইয়ে দেব। এতে খরচ হবে ২০ হাজার টাকা। অগ্রিম দিতে হবে ৮৫০ টাকা। একই গ্রুপ থেকে আরেকটি বার্তায় বলা হয়, যারা রেজাল্ট চেঞ্জ করার জন্য ৮৫০ টাকা দিয়েছেন তাদের রেজাল্ট চেঞ্জ হয়েছে। বিকেল ৫টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়েবসাইটে রেজাল্ট পাবেন। বাকি টাকা ভর্তির পর দেবেন।

তিনি আরও বলেন, বিষয়টি নজরে আসার পর সিআইডি সাইবার টিম তৎপর হয়ে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের সঙ্গে যোগাযোগ করে। বেশ কয়েক দিন অনুসন্ধান চালানোর পর অবশেষে প্রতারক চক্রকে শনাক্ত করা হয়।

সিআইডি জানায়, মেহেদীর চক্রটি জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়সহ আরও অনেক বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তিতে এভাবে প্রতারণা করেছে। এরা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ছাড়াও হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপ ব্যবহার করে প্রতারণার মাধ্যমে টাকা হাতিয়ে নিত। এর পর এসব গ্রুপ বন্ধ করে দেওয়া হতো।

সূত্র:সমকাল।  

প্রকাশক ও সম্পাদক : মহিব্বুল আরেফিন
যোগাযোগ: ২৬৮, পূবালী মার্কেট, শিরোইল, ঘোড়ামারা, রাজশাহী-৬০০০
মোবাইল: ০৯৬৩৮ ১৭ ৩৩ ৮১; ০১৭২৮ ২২ ৩৩ ২৮
ইমেইল: [email protected]; [email protected]