8302

05/07/2024 নির্মাণসামগ্রীর অস্বাভাবিক মূল্যবৃদ্ধি, ব্যাহত হচ্ছে উন্নয়নকাজ

নির্মাণসামগ্রীর অস্বাভাবিক মূল্যবৃদ্ধি, ব্যাহত হচ্ছে উন্নয়নকাজ

রাজটাইমস ডেস্ক

১৯ জানুয়ারী ২০২২ ০৬:৪৯

গত পাঁচ থেকে ছয় মাস ধরে দেশে অবকাঠামো খাতের প্রধান উপকরণগুলোর দাম অস্বাভাবিক বেড়েছে। বিশেষ করে গত এক মাসে রড, সিমেন্ট, পাথর, বিটুমিন, কপার, অ্যালুমিনিয়ামের মূল্য ২০ থেকে ২৫ শতাংশ পর্যন্ত বেড়েছে। এর ফলে নির্মাণশিল্পের ওপর বিরূপ প্রভাব পড়ছে। নির্মাণশিল্পের অন্যতম প্রধান উপকরণ রডের দাম বাড়ছে লাফিয়ে লাফিয়ে।

এক বছর আগেও ৬০ গ্রেডের রড যেখানে ৬৪ থেকে ৬৫ হাজার টাকায় পাওয়া যেত সেটি এখন ৮১ হাজার টাকা ছাড়িয়েছে। স্থানীয় পর্যায়ের সরকারের উন্নয়ন কাজ বাস্তবায়নে ঠিকাদাররা পড়েছেন বিপাকে। বর্তমানে বাংলাদেশে নির্মাণ ব্যয় এমন একটি পর্যায়ে পৌঁছেছে, ঠিকাদারদের পক্ষে তাদের চলমান এবং আসন্ন প্রকল্পগুলোর কাজ যথাযথ মান বজায় রেখে চুক্তিতে নির্ধারিত মূল্যে সম্পন্ন করা প্রায় অসম্ভব হয়ে পড়েছে। স্থানীয় নির্মাণ প্রতিষ্ঠান দেউলিয়া হয়ে পড়ার ঝুঁকিতে রয়েছে। ফলে সার্বিকভাবে দেশের উন্নয়ন কাজে স্থবিরতার আশঙ্কা করছেন সংশ্লিষ্টরা। স্থানীয় পর্যায়ে ঠিকাদাররা বলছেন, নির্ধারিত রেড শিডিউল অনুযায়ী যারা কার্যাদেশ নিয়েছেন তারা কাজ শেষ করতে পারছে না। হঠাৎ নির্মাণসামগ্রীর দাম বেড়ে যাওয়ায় আগের কার্যাদেশ তারা শেষ করতে পারছেন না।

সম্প্রতি ব্যবসায়ীদের শীর্ষ সংগঠন এফবিসিসিআই বর্তমান পরিস্থিতি সামাল দিতে প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ চেয়েছেন। প্রধানমন্ত্রীকে দেওয়া এক চিঠিতে এফবিসিসিআই সভাপতি মো. জসিম উদ্দিন উল্লেখ করেছেন, নির্মাণ ব্যয় এমন একটি পর্যায়ে পৌঁছেছে, বেশির ভাগ স্থানীয় নির্মাণ প্রতিষ্ঠান দেউলিয়া হয়ে পড়ার ঝুঁকিতে রয়েছে। দেশীয় প্রতিষ্ঠানগুলো দেউলিয়া হয়ে গেলে তাদের অর্থায়ন করা দেশের ৯০ থেকে ৯৫ শতাংশ ব্যাংক এবং আর্থিক প্রতিষ্ঠানও খেলাপি ঋণের কারণে মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে। চিঠিতে আরো বলা হয়, গত তিন মাস ধরে দেশের ইস্পাত ও সিমেন্ট উৎপাদনকারী কোম্পানিসমূহ সিন্ডিকেট করে অযৌক্তিকভাবে রড ও সিমেন্টের মূল্য বাড়িয়ে চলেছে। এই লাগামহীন মূল্যবৃদ্ধি শুধু নির্মাণ ও আবাসন শিল্পের ওপরই বিরূপ প্রভাব ফেলছে তা নয়, বরং সামগ্রিকভাবে সরকারের বিভিন্ন উন্নয়ন কর্মকাণ্ডকেও ব্যাপকভাবে বাধাগ্রস্ত করছে।

ঠিকাদাররা বলছেন, এমএস রড, স্টোন চিপস, গ্রিল, ইলেকট্রিক ক্যাবলসহ বিভিন্ন নির্মাণ উপকরণ, শ্রম মজুরি ও জ্বালানি তেলের দাম বৃদ্ধির কারণে নির্ধারিত সময়ে অনেক সরকারি প্রকল্পের বাস্তবায়ন অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে। সরকারি তহবিলে যেসব প্রকল্প বাস্তবায়ন হয়, সেখানে পণ্যমূল্য নির্ধারিত থাকে। ফলে প্রকল্প বাস্তবায়নকালে কোনো পণ্যের দাম বেড়ে গেলে মূল্য সমন্বয় করা হয় না। যদিও বিদেশি তহবিলের কাজে মূল্য সমন্বয় করার সুযোগ থাকে। চলমান নির্মাণকাজে ঠিকাদারদের ক্ষতি পুষিয়ে নিতে মূল্য সমন্বয় করা দরকার। বর্তমান চলমান কাজগুলো যেহেতু ফিক্সড রেট কন্ট্রাক্টে সম্পাদিত হয়, তাই বিশেষ ব্যবস্থায় প্রজ্ঞাপন জারি করে প্রাইস অ্যাডজাস্টমেন্ট চালু করা যেতে পারে। বর্তমান বাজারদর অনুযায়ী সব সরকারি দরপত্রের রেট শিডিউল হালনাগাদ করা প্রয়োজন বলেও দাবি করেন তারা।

প্রকাশক ও সম্পাদক : মহিব্বুল আরেফিন
যোগাযোগ: ২৬৮, পূবালী মার্কেট, শিরোইল, ঘোড়ামারা, রাজশাহী-৬০০০
মোবাইল: ০৯৬৩৮ ১৭ ৩৩ ৮১; ০১৭২৮ ২২ ৩৩ ২৮
ইমেইল: [email protected]; [email protected]