04/20/2025 জয় দিয়ে চট্টগ্রাম পর্ব শেষ করল সাকিবের বরিশাল
রাজটাইমস ডেস্ক
২ ফেব্রুয়ারি ২০২২ ১৩:৪২
জয় দিয়ে বিপিএলের চট্টগ্রাম পর্ব শেষ করেছে বরিশাল। মঙ্গলবার চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে দিনের শেষ ম্যাচে চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্সকে ১৪ রানে হারিয়েছে সাকিবের ফরচুন বরিশাল।
টস জিতে আগে ব্যাট করতে নেমে পুরো বিশ ওভার খেলতে পারেনি বরিশাল। ১৯.১ ওভারে দলটি অল আউট হয় ১৪৯ রানে। জবাবে চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্স গুটিয়ে যায় দুই বল হাতে রেখে ১৩৫ রানে।
দারুণ এই জয়ে পয়েন্ট তালিকায় শীর্ষে উঠে এসেছে সাকিবের বরিশাল। ৬ ম্যাচে চার জয়ে দলটির পয়েন্ট ৮। সাত ম্যাচে তিন জয় ও চার হারে ৬ পয়েন্ট পাওয়া চট্টগ্রাম নেমে গেছে চতুর্থ স্থানে। ৪ ম্যাচে ৬ পয়েন্ট নিয়ে দ্বিতীয় স্থানে কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্স। ৬ ম্যাচে ৬ পয়েন্ট নিয়ে তৃতীয় স্থানে মিনিস্টার গ্রুপ ঢাকা।
ব্যাট হাতে ফিফটি ও বল হাতে তিন উইকেট নেয়ায় ম্যাচ সেরা হয়েছেন সাকিব।
খুলনার পয়েন্ট চার, অবস্থান পঞ্চম। চার ম্যাচে এক জয় পাওয়া সিলেট রয়েছে সবার নিচে।
জয়ের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে ইনিংসের প্রথম ওভারেই উইকেট হারায় চট্টগ্রাম। আফগান স্পিনার মুজিব উর রহমানের বলে শূন্য হাতে সাজঘরে ফেরেন উইল জ্যাকস।
দ্বিতীয় উইকেট জুটিতে দলের হাল ধরেন আফিফ হোসেন ও শামীম হোসেন। এই জুটি দলকে নিয়ে যায় ৭০ রান পর্যন্ত। ছয় রানের ব্যবধানে এই দুজনেই ফেরেন সাজঘরে। সাকিবের বলে প্রথম বোল্ড হন ৩২ বলে তিন চার ও দুই ছক্কায় ৩৯ রান করা আফিফ হোসেন।
পরের ওভারে মেহেদী রানার বলে হৃদয়ের হাতে ক্যাচ দেন ৩০ বলে দুই চার ও এক ছক্কায় ২৯ রান করা শামীম হোসেন। এরপর সাকিব ও মুজিবের ঘূর্ণিতে দ্রুত সাজঘরে ফেরেন চট্টগ্রাম অধিনায়ক নাঈম ইসলাম (০), বেনি হাওয়েল (১), ওয়ালটন (১৬) ও আকবর আলী (০)। বল ও রানের সমীকরণ যখন দুরহ তখন ব্যাট হাতে ঝড়ো ইনিংস খেলার চেষ্টা করেন মেহেদী হাসান মিরাজ। ১৩ বলে তিন চার ও এক ছক্কায় ২৬ রান করে তিনি। সাজঘরে ফেরেন ব্রাভোর বলে বোল্ড হয়ে।
১৩ বলে দরকার চট্টগ্রামের তখন ৩২ রান। ১৯তম ওভারে মেহেদী রানাকে এক চার ও এক ছক্কা হাকিয়ে ম্যাচে আনেন উত্তেজনা। তবে একই ওভারের পঞ্চম তিনি বিদায় নেন ইরফান শুকুরের হাতে ক্যাচ দিয়ে। শেষ চট্টগ্রামের দরকার ছিল ১৮ রান। শেষ জুটিতে সেই সমীকরণ মেলাতে পারেননি নাসুম ও মৃত্যুঞ্জয় চৌধুরি। ১৯.৪ ওভারে নাসুমের আউটে জয় নিয়ে মাঠ ছাড়ে বরিশাল।
বল হাতে বরিশালের হয়ে দুর্দান্ত করেন আফগান স্পিনার মুজিব উর রহমান। ৪ ওভারে এক মেডেনে দেন মাত্র ৯ রান। উইকেট পান তিনটি। সাকব ৪ ওভারে ২৩ রানে পান তিন উইকেট। ব্রাভো ও মেহেদী রানা নেন সমান দুটি করে উইকেট।
এর আগে টস জিতে ব্যাট করতে নামে বরিশাল। দলটির হয়ে এদিন ব্যাটিং ওপেন করেন আনকোড়া তরুণ মুখ মুনিম শাহরিয়ার। তার সাথে ছিলেন ক্রিস গেইল। বরিশালের এই টোটকা কাজে লাগেনি। ২ বলে এক রান করে সাজঘরে ফেরেন মুনিম। দলীয় ৪৪ রানে ফেরেন গেইল ১৯ বলে এক চার ও তিন ছক্কায় ২৫ রান করে।
এরপর শান্ত ও সাকিব দলকে এগিয়ে নিতে থাকেন। দলীয় ৭৫ রানে ভাঙে এই জুটি। ২৯ বলে দুই চার ও এক ছক্কায় ২৮ রান করে ফেরেন শান্ত। আফিফের বলে তিনি ক্যাচ দেন উইকেটের পেছনে। এরপর তৌহিদ হৃদয়ের সাথে ভালো জুটি গড়েন সাকিব। দলীয় ১৩০ রানে সাজঘরে ফেরেন হৃদয়। ১৭ বলে দুই ছক্কায় ২২ রানে তিনি হাওয়েলের শিকার।
হৃদয়ের বিদায়ের পরই যেন মোড়ক লাগে বরিশালের ইনিংসে। বরাবর ৫০ রান করে মৃত্যুঞ্জয়ের বলে আফিফের হাতে ক্যাচ দেন বরিশাল অধিনায়ক সাকিব আল হাসান। ৩১ বলের ইনিংসে সাকিব হাঁকান সমান তিনটি করে চার ও ছক্কা।
এরপর লেজের সারির ব্যাটাররা কিছুই করতে পারেননি। একে একে সাজঘরে ফেরেন ডুয়াইন ব্রাভো (৪), ইরফান শুকুর (৫), নুরুল হাসান (০), মুজিব উর রহমান (১), শফিকুল ইসলাম (০)। ৪ বলে ৫ রানে অপরাজিত থাকেন মেহেদী হাসান রানা।
বল হাতে ঝলক দেখানে চট্টগ্রামের মৃত্যুঞ্জয়। ২ ওভারে ১২ রানে তিনি তুলে নেন চার উইকেট। এছাড়া শরিফুল দুটি, উইল জ্যাকস, আফিফ হোসেন ও বেনি হাওয়েল নেন একটি করে উইকেট।