8502

04/20/2025 রাজশাহীতে শিশুকে ভুল চিকিৎসা দেওয়ার অভিযোগ

রাজশাহীতে শিশুকে ভুল চিকিৎসা দেওয়ার অভিযোগ

রাজটাইমস ডেস্ক

২ ফেব্রুয়ারি ২০২২ ১৩:৫১

রাজশাহীর একটি বেসরকারি হাসপাতালে এক শিশুকে ভুল চিকিৎসা দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। এ নিয়ে সোমবার রাতে শিশুটির বাবা থানায় লিখিত অভিযোগ করেছেন। নগরীর লক্ষ্মীপুর এলাকার রয়্যাল হাসপাতালের পরিচালক ডা. আসগার হোসেনের বিরুদ্ধে এই অভিযোগ।

ভুক্তভোগী শিশুটির নাম মো. সিফাত (৭)। রাজশাহী নগরীর বোয়ালিয়া থানার সুলতানাবাদ এলাকার রাকিবুর রহমানের ছেলে। রাকিবুর ফুটপাতের খাবারের হোটেল ব্যবসায়ী। রয়্যাল হাসপাতালে শিশুটির অবস্থা খারাপ হয়ে গেলে সোমবার বিকালে তাকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালের শিশু ওয়ার্ডে ভর্তি করা হয়।

সিফাতের চাচা মশিউর রহমান শিশুটিকে কোলে নিয়ে রয়্যাল হাসপাতাল থেকে বের হন। এ সময় অন্য আরেকজন ফেসবুকে লাইভ ভিডিও শেয়ার করেন। তাঁরা সবাইকে শিশুটির করুণ পরিণতি দেখান এবং এ জন্য হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে দুষতে থাকেন। ভিডিওতে দেখা যায়, শিশুটির পুরো শরীরে পুড়ে যাওয়ার মত ফোসকা পড়েছে।

শিশুটির চাচা মশিউর রহমান জানান, সিফাত খিচুনি রোগের রোগী। গত ৪ জানুয়ারি রয়্যাল হাসপাতালে শিশুটিকে শিশু বিশেষজ্ঞ ডা. আসগার হোসেনকে দেখান। পরে তাঁর কথামতো সেখানেই ভর্তি করা হয়। এক সপ্তাহ চিকিৎসা করানো হয়। এরপর তাকে বাড়িতে নেওয়া হয়।

বাড়ি গিয়ে ওষুধ খাওয়ার পর থেকে শিশুটি আরও খারাপ হয়ে যায়। সারাশরীরে ফোসকা পড়ে যায়। মুখ-ঠোঁটও বাদ না যাওয়ায় শিশুটির খাওয়া-দাওয়া বন্ধ হয়ে যায়। শুরু হয় রক্তবমি। পরে গত রোববার আবার শিশুটিকে রয়্যাল হাসপাতালে নিয়ে গিয়ে ভর্তি করানো হয়। কিন্তু ডা. আসগার হোসেন দিনে মাত্র একবার রোগী দেখতে যেতেন। বাধ্য হয়ে তারা রোগী রামেক হাসপাতালে নিয়ে যান। আর ভুল চিকিৎসা দেওয়ায় তারা থানায় অভিযোগ করেন।

জানতে চাইলে হাসপাতালের পরিচালক ডা. আসগার হোসেন বলেন, ‘ওষুধের পাশর্^প্রতিক্রিয়া হতেই পারে। এটাই তাই। সে কারণে শিশুটির স্টিফেন জনসন সিনড্রোম হয়েছে। এটা ঠিক হয়ে যাবে। ভুল চিকিৎসা হয়নি দাবি করে তিনি বলেন, ‘আমি এত বছর ধরে সেবা দিচ্ছি, আমার ভুল হয়নি। কিন্তু রোগীর স্বজনেরা খুব বেপরোয়া। তাঁরা হাসপাতালের বিলটা পর্যন্ত না দিয়ে চলে গেছে। তাই আমিও থানায় অভিযোগ করেছি। তাঁরা ফেসবুকে লাইভ দিয়ে সাইবার অপরাধ করেছে।’

এ বিষয়ে শিশুর চাচা মশিউর রহমান বলেন, ‘রোগী নিয়ে আসার আগে আমরা জানতে চেয়েছি কারও কোন আপত্তি আছে কি না। কিন্তু কেউ কোন আপত্তি জানায়নি। তার মানে আমরা রোগী নিয়ে চলে এলেই তারা বেঁচে যায়। প্রথমবার ভর্তি থাকার সময় সাতদিনে প্রায় ৩০ হাজার টাকা বিল নিয়েছে। এবার বিলও চায়নি। রোগী আনার সময় পরিস্থিতি কী সেটা সবাই জানিয়ে রাখার জন্যই ফেসবুকে লাইভ করা হয়েছে।’

নগরীর রাজপাড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাইদুল ইসলাম বলেন, ‘দুই পক্ষের দুটি অভিযোগ পাওয়া গেছে। একজন কর্মকর্তা তদন্ত করছেন। তদন্ত শেষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

প্রকাশক ও সম্পাদক : মহিব্বুল আরেফিন
যোগাযোগ: ২৬৮, পূবালী মার্কেট, শিরোইল, ঘোড়ামারা, রাজশাহী-৬০০০
মোবাইল: ০৯৬৩৮ ১৭ ৩৩ ৮১; ০১৭২৮ ২২ ৩৩ ২৮
ইমেইল: [email protected]; [email protected]