8547

09/20/2024 তুরস্কের মসজিদে ইসরায়েলি ধর্মযাজক!

তুরস্কের মসজিদে ইসরায়েলি ধর্মযাজক!

ডেক্স রির্পোট

৫ ফেব্রুয়ারি ২০২২ ০৩:১৮

গত কয়েকদিন ধরেই তুরস্কে ভারি তুষারপাত হচ্ছে। যার কারণে ইউরোপের ব্যস্ততম ইস্তানবুল বিমানবন্দর বন্ধ রয়েছে। প্রবল তুষারঝড়ে জনজীবন বিপর্যস্ত হয়ে পড়ে। এ সময় শত শত মানুষ মসজিদে আশ্রয় নেন। এদের মধ্যে এক ইসরায়েলের এক ধর্মযাজকও ছিলেন। এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানায় তুর্কি বার্তা সংস্থা আনাদুলো এজেন্সি।

ইসরায়েল এলবাউম নামের ওই ইহুদী ধর্মযাজক মূলত কোশার খাবারের নিয়ন্ত্রক হিসেবে ইস্তানবুলে কাজ করছিলেন। বিভিন্ন কোম্পানি ইহুদি আইন মেনে চলছে কিনা তা যাচাই করছিলেন তিনি। এই কাজটা অনেকটা মুসলিমদের হালাল খাবারের মানদণ্ড যাচাইয়ের মতোই।

কাজ শেষ করে ৬২ বছর বয়সী এই ধর্মযাজকের ফ্লাইট ধরার কথা ছিল। কিন্তু প্রচণ্ড তুষারঝড়ে রাস্তায় রাস্তায় যানজট শুরু হয়। খারাপ আবহাওয়ার কারণে ইস্তানবুল বিমানবন্দরও বন্ধ করে দেওয়া হয়। আটকে পড়ায় ইস্তানবুল বিমানবন্দরের কাছাকাছি অবস্থিত আলি কুসকু মসজিদে নিয়ে যান সেনারা।

রাতভর ওই মসজিদে থাকার অভিজ্ঞতার কথা আনাদোলু এজেন্সিকে জানিয়েছেন এলবাউম। তিনি বলেন, আরও অনেকের সঙ্গে মধ্যরাত ৪টার দিকে তিনি ওই মসজিদে আশ্রয় নেন। সে সময় প্রচণ্ড ঠান্ডা ছিল। অন্যদের মতো আমাকেও মসজিদে জুতা খুলে প্রবেশ করতে হয়েছিল। তবে সেখানকার কার্পেট বেশ উষ্ণ ছিল। লোকজন আমার দিকে তাকিয়েছিল কারণ আমি তাদের চেয়ে কিছুটা ভিন্ন। তবে কেউ কিছু বলেনি এবং তারা হাসিমুখে আমার দিকে তাকিয়ে ছিলো। সবকিছুই খুব ভালো ছিল।

আনাদুলো এজেন্সি জানায়, অন্যরা যখন ঘুমাচ্ছিল তখন তিনিও কিছু সময় বিশ্রাম নেন। ফজরের সময় মুসলিমরা যখন নামাজ আদায় করছিলেন তিনিও তখন প্রার্থনা সেরে নেন।

তিনি বলেন, আমরা একই সৃষ্টিকর্তার প্রার্থনা করেছি। তাই আমি মনে করি এটা কোনো সমস্যা নয়। বরং একসঙ্গে থাকা, প্রার্থনা করা, নাচগান করা এবং একসঙ্গে হাসা সুন্দর একটি বিষয়।

সূত্র: ইত্তেফাক। 

প্রকাশক ও সম্পাদক : মহিব্বুল আরেফিন
যোগাযোগ: ২৬৮, পূবালী মার্কেট, শিরোইল, ঘোড়ামারা, রাজশাহী-৬০০০
মোবাইল: ০৯৬৩৮ ১৭ ৩৩ ৮১; ০১৭২৮ ২২ ৩৩ ২৮
ইমেইল: [email protected]; [email protected]