9157

04/20/2025 সিরাজগঞ্জে ডুবে গেছে ৭০০ বিঘা জমির ধান

সিরাজগঞ্জে ডুবে গেছে ৭০০ বিঘা জমির ধান

নিজস্ব প্রতিবেদক

১১ এপ্রিল ২০২২ ০৩:৩১

সিরাজগঞ্জে যমুনা নদীর পানি বাড়ায় তলিয়ে যাচ্ছে তীরবর্তী নিচু জমির ফসল। গত কয়েক দিন ধরে উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে যমুনাসহ করতোয়া, বড়াল ও হুড়াসাগর নদীর পানি বাড়ছে। ফলে নদীর তীরবর্তী প্রায় সাড়ে ৭০০ বিঘা নিচু জমির বোরো ধান ডুবে গেছে।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, সদর, কাজীপুর, শাহজাদপুর ও চৌহালী উপজেলার চরাঞ্চলের নিচু জমির কাঁচা ও আধাপাকা ধান ডুবে গেছে। অনেকে কাঁচা ধান কেটে গরুকে খাওয়াচ্ছেন। অনেকে আবার আধাপাকা ধান মাড়াই করে কিছুটা চাল বের করার চেষ্টা করছেন। শাহজাদপুর উপজেলার চুনিয়াখালিপাড়া এলাকা ঘুরে দেখা যায়, শ্রমিকের অভাবে কৃষকরা বাড়ির নারী ও শিশুদের দিয়ে ধানকাটা, মাথায় করে বহন ও মাড়াই কাজে সহযোগিতা নিচ্ছেন। পুরো এলাকায় ডুবো ধানকাটার হিড়িক পড়ে গেছে।

চুনিয়াখালিপাড়া গ্রামের কৃষক ইকবাল হোসেন বলেন, প্রতিবছর সাধারণত জ্যৈষ্ঠ মাসের শেষের দিকে নদীতে পানি বাড়া শুরু হয়। কিন্তু এ বছর চৈত্র মাসের শুরুতেই হঠাৎ নদীর পানি বাড়তে হয়েছে। ফলে আমাদের অর্ধেক বছরের খাদ্যের যোগান দেওয়া বোরো ধান ডুবে গেছে। এখন দুশ্চিন্তায় দিশেহারা হয়ে পড়েছি।

একই উপজেলার সোনাতনী গ্রামের জিয়া উদ্দিন জানান, হঠাৎ নদীতে পানি বাড়ার ফলে এ এলাকার কয়েকশ বিঘা জমির ধান ডুবে গেছে। এই ধান দিয়ে তারা বছরের অর্ধেক সময় খাদ্যর চাহিদা মিটিয়ে থাকেন। ধান ডুবে যাওয়ায় তারা চরম দুশ্চিন্তায় পড়েছেন। কাঁচা ধান কেটে তারা গরুকে খাওয়াচ্ছেন। এ ক্ষতি পুষিয়ে নিতে তারা সরকারের সহযোগিতা চেয়েছেন।

এদিকে, সিরাজগঞ্জ পানি উন্নয়ন বোর্ডের পানি পরিমাপক (গেজ রিডার) আব্দুল লতিফ জানান, উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলের কারণে গত দুই সপ্তাহ ধরে যমুনায় পানি বাড়ছে। গত ২৪ ঘণ্টায় যমুনা নদীর সিরাজগঞ্জ শহর রক্ষা বাঁধ পয়েন্টে ৬০ সেন্টিমিটার পানি বেড়েছে।

সিরাজগঞ্জ কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক (ভারপ্রাপ্ত) আ জ ম আহসান শহিদ সরকার বলেন, হঠাৎ যমুনায় পানি বাড়ার ফলে জেলার নদীবেষ্টিত চার উপজেলার প্রায় সাড়ে ৭০০ বিঘা বোরো ধান ডুবে গেছে। এতে কৃষকদের বেশ ক্ষতি হয়েছে। তবে কী পরিমাণ ক্ষতি হয়েছে তা এখনো নিরূপণ করা যায়নি।

প্রকাশক ও সম্পাদক : মহিব্বুল আরেফিন
যোগাযোগ: ২৬৮, পূবালী মার্কেট, শিরোইল, ঘোড়ামারা, রাজশাহী-৬০০০
মোবাইল: ০৯৬৩৮ ১৭ ৩৩ ৮১; ০১৭২৮ ২২ ৩৩ ২৮
ইমেইল: [email protected]; [email protected]