নগরীর হোসেনিগঞ্জ এলাকার আলতাফ এর মেসে গলায় ফাঁস দিয়ে এক সুরাইয়া (১৮) নামের এক শিক্ষার্থী আত্মহত্যা করেছে। শনিবার দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে এ ঘটনা ঘটে। প্রেম ঘটিত কারণে সে আত্মহত্যা করেছে বলে পুলিশ ধারনা করছে। সুরাইয়া নওগাঁ জেলার নিয়ামতপুর উপজেলার বালহর এলাকার শহিদুল ইসলামের কণ্যা। সে নিউরন প্লাস কোচিং সেন্টারে বিএসসি ভর্তি কোচিং করছে। তার রোল নম্বর ২০২১৭৩ ও ব্যাচ নম্বর বি-২।

তার রুম মেট উন্মে জান্নাত ফেরদৌসি ও শ্যামলী আখতার বলেন চলতি বছরের জানুয়ারী মাসের ৮ তারিখে কোচিং এর লোকজন সুরাইয়াকে ওই মেসে রেখে যান। সে তেমন কারো সঙ্গে কথা বলতো না। আবার মাঝে মধ্যে রেগে যেতো। সুরাইয়ার একই এলাকার ছেলে শামীমের সঙ্গে সম্পর্ক ছিলো। ছেলেটি রাজশাহী নিউমার্কেট এলাকার একটি মেসে থাকে ও রাজশাহী ইউনিভাসির্টি ভর্তি কোচিং করছে।

উন্মে জান্নাত আরো জানায়, গতকাল দুপুর ১২টার দিকে তিনি পাশের রুমে ঘুমাতে যান। হঠাৎ করে শামীম ফোন দিয়ে জানায় যে সুরাইয়া আত্মহত্যা করেছে। এসময় তারাসহ মেসের কয়েজন দৌড়ে এসে দরজা ধাক্কা দিলেও সুরাইয়া দরজা খুলেনি। পরে তারা ফায়ার সার্ভিস ও পুলিশকে খবর দেয়। খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স রাজশাহী সদর দপ্তরের একটি টিম ঘটনাস্থলে পৌছে দরজা ভেঙ্গে ফ্যানের সঙ্গে ঝুলন্ত অবস্থায় সুরাইয়াকে উদ্ধার করে পুলিশের নিকট হস্তান্তর করে। পরে পুলিশ ফায়ার সার্ভিসের সহযোগীতায় রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যায়। বর্তমানে তার লাশ শোবাগারে রয়েছে। তার পরিবারের লোকজন আসলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে জানান বোয়ালিয়া থানা পুলিশ।