9525

04/20/2024 প্রথম স্ত্রীকে হত্যায় দ্বিতীয় স্ত্রীসহ ৩ জনের মৃত্যুদণ্ড, স্বামীর আমৃত্যু কারাদণ্ড

প্রথম স্ত্রীকে হত্যায় দ্বিতীয় স্ত্রীসহ ৩ জনের মৃত্যুদণ্ড, স্বামীর আমৃত্যু কারাদণ্ড

রাজ টাইমস

১২ মে ২০২২ ০৬:১৮

দিনাজপুরে প্রথম স্ত্রীকে হত্যার পর লাশ গুমের উদ্দেশ্যে পুড়িয়ে আলামত নষ্ট করার মামলায় স্বামীকে আমৃত্যু কারাদণ্ড ও ২য় স্ত্রীসহ ৩ জনের মৃত্যুদণ্ডের আদেশ দিয়েছেন অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালত-৩।

বুধবার দুপুরে দিনাজপুরের অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ-৩ আদালতের বিচারক এ এস এম রেজাউল বারী এ আদেশ দেন।

দণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন দিনাজপুরের ফুলবাড়ী উপজেলার দক্ষিণ সুজাপুর গ্রামের সাধনানন্দ চৌধুরীর ২য় স্ত্রী প্রতিমা রানী চৌধুরী (৪০), সৎ ছেলে আকাশ চৌধুরী (২২) ও কাটাবাড়ী গ্রামের কার্তিক চন্দ্র মহন্তের ছেলে কাজল মহন্তকে (২৭) মৃত্যুদন্ড এবং একই মামলায় স্বামী সাধনানন্দ চৌধুরীকে (৫৮) আমৃত্যু কারাদণ্ড ও চকচকা গ্রামের রবীন্দ্রনাথ দাশের ছেলে জীবন চন্দ্র দাস (২৮) নামে এক আসামীকে ১০ বছর কারাদণ্ড ও ১ লক্ষ টাকা টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরো ৬ মাসের কারাদণ্ড প্রদান করেছেন আদালত।

এই মামলাটি পরিচালনা করেন রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী এ্যাডভোকেট আতাউর রহমান আতা ও আসামিপক্ষের আইনজীবী ছিলেন সিনিয়র এ্যাড. হামিদুল ইসলাম ও এ্যাড. জাকারিয়া হোসেন।

এ তথ্য নিশ্চিত করে রাষ্ট্রপ্রক্ষের আইনজীবী এ্যাডভোকেট আতাউর রহমান আতা বলেন, এই মামলায় আদালতের যুগান্তকারী রায় সকলের কাছে দৃষ্টান্ত হয়ে থাকবে বলে আশাবাদ ব্যাক্ত করেন।

মামলার বিবরনীতে জানা যায়, সাধনা নন্দ চৌধুরী তার প্রথম স্ত্রী দিসিস তপতী রানীর সঙ্গে সংসার পরিচালনা করার সময় ২০১৪ সালের দিকে প্রতিমা রানি চৌধুরীকে বিয়ে করেন। এরপর থেকেই তপতী রানীর সঙ্গে আলাদা থাকতেন এবং ভরণপোষণ দিতেন না। এ বিষয় নিয়ে প্রতিনিয়তই পারিবারিক কলহ লেগেই ছিল।

গত ২০১৭ সালের ৬ এপ্রিল দিবাগত রাত আনুমানিক ৯টার দিকে দিনাজপুর জেলার ফুলবাড়ী উপজেলার সুজালপুর দাদপুর মালিপাড়ায় প্রথম স্ত্রী দিসিস তপতী রানীকে তার স্বামী সাধনানন্দ চৌধুরী ও তার দ্বিতীয় স্ত্রী প্রতিমা রানী, সৎ ছেলে আকাশ চৌধুরী, কাজল মহন্ত প্রতিবেশি জীবন দাস একত্রিত হয়ে শারীরিক নির্যাতন করেন। একপর্যায়ে তাকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করেন। পরবর্তীতে লাশ গুম করার উদ্দেশ্যে পুড়িয়ে ফেলার চেষ্টা করে।

এ ঘটনায় নিহতের ছেলে শুভানন্দ চৌধুরী বাদী হয়ে ফুলবাড়ী থানায় মামলা দায়ের করেন। পরে পুলিশ তদন্ত করে অভিযোগ দেয়। মামলার ৪ জন আসামি ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন। পরে আদালতে ২ জন সাক্ষী সাক্ষ্য দেন।

প্রকাশক ও সম্পাদক : মহিব্বুল আরেফিন
যোগাযোগ: ২৬৮, পূবালী মার্কেট, শিরোইল, ঘোড়ামারা, রাজশাহী-৬০০০
মোবাইল: ০৯৬৩৮ ১৭ ৩৩ ৮১; ০১৭২৮ ২২ ৩৩ ২৮
ইমেইল: [email protected]; [email protected]