963

09/20/2024 মানবসম্পদ সূচকে বিপর্যয় বাংলাদেশের

মানবসম্পদ সূচকে বিপর্যয় বাংলাদেশের

রাজটাইমস ডেস্ক

১৮ সেপ্টেম্বর ২০২০ ২০:১১

মানবসম্পদ সূচকে বিপর্যয় হয়েছে বাংলাদেশের। বিশ্বব্যাংকের করা এই সূচকে পূর্বের দুই বছরের তুলনায় দশমিক শূন্য দুই পয়েন্ট অবনতি হয়েছে।

বিশ্বব্যাংকের উদ্যোগে ‘দ্য হিউম্যান ক্যাপিটাল ইনডেক্স’ তৈরি করা হয়ে থাকে। সংস্থাটি পরবর্তী প্রজন্মের উৎপাদনশীলতার বিষয়ে ধারণা পেতে এই সূচক তৈরী করে।

সূচক তৈরীতে তারা শিশুর জন্ম পরবর্তী সম্ভাবনাকে ভিত্তি ধরা হয়। শিশুর শিক্ষার সুযোগ, স্বাস্থ্যসেবা এবং টিকে থাকার সক্ষমতার ভিত্তিতে ভবিষ্যতে তার উৎপাদনশীলতা এবং আয়ের সম্ভাবনা নির্ধারণ করা হয় এর মাধ্যমে।

কোন দেশের শিশুকে যদি পূর্ণ উৎপাদনশীলতা কাজে লাগাতে সক্ষম হিসেবে বিবেচনা করা হয় তখন তার স্কোর ধরা হয়। সূচকের মান শূন্য থেকে এক পর্যন্ত।

বৃহস্পতিবার (১৭ সেপ্টেম্বর) সংস্থাটি তাদের প্রতিবেদন প্রকাশ করে। প্রকাশিত প্রতিবেদনের সূচকে ২০১৮ সালের বাংলাদেশের পয়েন্ট দশমিক ৪৮ কমে দশমিক ৪৬ এ নেমেছে। অর্থাত্ একটি শিশু তার উৎপাদনশীলতার অর্ধেকেরও কম ব্যবহারে সক্ষম হবে। দুই বছরে অবস্থার আরো অবনতি হয়েছে।

বিশ্ব মহামারী করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাবের বড় এক প্রভাব পড়ে সূচকে। করোনার সময়কালে দেশে শিশুদের খর্বাকায় হওয়ার প্রবণতা বেড়ে যেতে পারে বলেও প্রতিবেদনে আশঙ্কা প্রকাশ করা হয়েছে। এছাড়া আরো দশমিক শূন্য এক পয়েন্ট অবনতি হওয়ার আশঙ্কা করছে সংস্থাটি।

মানবসম্পদ সূচক নিয়ে এবারের প্রতিবেদনটি ‘দ্য হিউম্যান ক্যাপিটাল ইন দ্য টাইম অব কোভিড-১৯’ শিরোনামে প্রকাশিত হয়। প্রতিবেদনে পাঁচ বছরের কম বয়সি শিশু মৃত্যুহার, শিশুদের স্কুলে যাওয়ার গড় সময়, শিক্ষার মান, ঝরে পড়া রোধ, শিশুদের সঠিক আকারে বেড়ে ওঠার হার এমন মানদণ্ড ব্যবহার করা হয়েছে সূচক তৈরির ক্ষেত্রে।

দক্ষিণ এশিয়া অন্যান্য দেশসমূহের মধ্যে ভারতে এ হার ৪৯ শতাংশ আর পাকিস্তানে ৪১ শতাংশ। তবে শ্রীলঙ্কা ও নেপালে এ হার যথাক্রমে ৬০ ও ৫০ শতাংশ। এ তালিকায় শীর্ষে রয়েছে সিঙ্গাপুর, হংকং, জাপান, কোরিয়া, কানাডা ও ফিনল্যান্ড। তাদের পয়েন্ট দশমিক ৮৯ থেকে ৮০ পর্যন্ত। তালিকায় নিচের দিকে রয়েছে মধ্যআফ্রিকা প্রজাতন্ত্র, চাদ, দক্ষিণ সুদান, নাইজার ও মালি। তাদের পয়েন্ট দশমিক ৩২ থেকে ৩৩-এর মধ্যে। সূচকে পিছিয়ে পড়লেও বাংলাদেশের স্কুলে ভর্তির হার, ঝরে পড়া রোধ, শিশু মৃত্যুর হার কমে আসার বিষয়ে প্রশংসা করা হয়েছে প্রতিবেদনে।

প্রতিবেদনে আরো উল্লেখ করা হয়, মহামারী প্রভাবে স্বাস্থ্য ও শিক্ষা খাতে গত এক দশকের অর্জন হুমকির মুখে পড়েছে, বিশেষ করে দরিদ্র দেশগুলোতে। বিশ্বব্যাংকের প্রেসিডেন্ট ডেভিড ম্যালপাস এক বার্তায় উল্লেখ করেন, অতিমারির প্রভাবে দরিদ্র পরিবারগুলো বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ফলে অনেকেরই খাদ্য নিরাপত্তা এবং দারিদ্র্যের ঝুঁকিতে রয়েছে। গত এক দশক ধরে মানব উন্নয়ন, স্বাস্থ্য খাতের অর্জন, স্কুলে ভর্তির হার বৃদ্ধি, খর্বাকায় শিশুর হার কমে আসার যে অর্জন রয়েছে সেগুলো ঝুঁকিতে রয়েছে। এ ক্ষতি কাটিয়ে উঠতে মানব উন্নয়নে বিনিয়োগ বাড়াতে হবে।

মহামারীর প্রভাবে ক্ষতিগ্রস্থ পরিবারগুলো পাশে দাড়ানোর তাগিদ দিয়ে প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়, করোনার প্রভাবে বিশ্বব্যাপী ১০০ কোটি শিশু এখন শিক্ষা কার্যক্রমের বাইরে রয়েছে। বহু শিশু আর স্কুলে ফিরে যেতে পারবে না। বিশ্বের বিভিন্ন দেশের মানুষ কর্মহীন হয়েছে। এ পরিস্থিতিতে মানব উন্নয়ন করতে স্বাস্থ্যসেবার আওতা বাড়ানোর তাগিদ দিয়েছে বিশ্বব্যাংক। খবর-যুগান্তর

  • এসএইচ

 

 

প্রকাশক ও সম্পাদক : মহিব্বুল আরেফিন
যোগাযোগ: ২৬৮, পূবালী মার্কেট, শিরোইল, ঘোড়ামারা, রাজশাহী-৬০০০
মোবাইল: ০৯৬৩৮ ১৭ ৩৩ ৮১; ০১৭২৮ ২২ ৩৩ ২৮
ইমেইল: [email protected]; [email protected]