992

03/16/2025 দেশে মহামারী পরিস্থিতি আবারো অবনতির শঙ্কা

দেশে মহামারী পরিস্থিতি আবারো অবনতির শঙ্কা

রাজটাইমস ডেস্ক

২১ সেপ্টেম্বর ২০২০ ১৮:৩২

বিশ্ব মহামারী করোনাভাইরাসের দ্বিতীয় ঢেউয়ের প্রকোপে পর্যুদস্ত পশ্চিমাবিশ্ব। আর আশংকায় রয়েছে ইউরোপের দেশগুলো। কিন্তু এই আশংকার বাইরে নাই বাংলাদেশও।

দেশের এমন আশংকার বার্তাই দিয়েছেন কোভিড-১৯ জাতীয় কারিগরি পরামর্শক কমিটি। রবিবার (২০ সেপ্টেম্বর) সভাশেষে রাতে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এই শঙ্কার কথা জানানো হয়েছে।

স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করতে পূর্ণ প্রস্তুতি রাখতে সরকারকে পরামর্শ দিয়ে কমিটির পাঠানো সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, দ্বিতীয় দফায় করোনাভাইরাস সংক্রমণের মধ্যেই বিভিন্ন দেশের সঙ্গে যোগাযোগ উন্মুক্ত হচ্ছে। কিন্তু স্বাস্থ্যবিধি মানার ক্ষেত্রে জনগণের মধ্যে শৈথিল্য দেখা যাচ্ছে। এসব কারণে আমাদের দেশেও পুনরায় করোনা সংক্রমণের আশঙ্কা রয়েছে। দ্বিতীয় দফার সংক্রমণ প্রতিরোধের পাশাপাশি সংক্রমণ হলে

জাতীয় পরামর্শক কমিটি তাদের পাঠানো বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করেন, গত কয়েক সপ্তাহ ধরে দেশে সংক্রমণের হার নিম্নমুখী হলেও ‘স্বস্তির’ জায়গায় পৌঁছেনি। কোভিড-১৯ চিকিৎসায় নিবেদিত কিছু হাসপাতালে শয্যা খালি থাকছে। অন্যদিকে অন্য রোগে আক্রান্ত মানুষের সংখ্যা রোজ বাড়ছে। এমতাবস্থায় অন্যান্য রোগের চিকিৎসাসেবা নিশ্চিত করা, অর্থ সাশ্রয় করতে কোভিড-১৯ হাসপাতালের অব্যবহৃত শয্যা সংকোচনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার।

দেশের আইসোলেশন সেন্টারগুলো পুরোপুরি বন্ধ না করতে পরামর্শ জাতীয় পরামর্শক কমিটির। এ ক্ষেত্রে কমিটির পরামর্শ হচ্ছে- শয্যা সংখ্যা সংকোচন করা হলেও পুরোপুরি বন্ধ না করা। ভবিষ্যতে প্রয়োজন হলে যাতে পুনরায় এসব আইসোলেশন সেন্টার ব্যবহার করা যায়, সেই প্রস্তুতি নিয়ে রাখতে হবে।

দ্বিতীয় দফায় করোনা ঢেউ মোকাবেলায় প্রথম পদক্ষেপে দ্রুত সবাইকে সনাক্তের আওতায় আনা, এমনটাই মনে করছে জাতীয় কারিগরি পরামর্শক কমিটি। দ্বিতীয় দফার সংক্রমণ দ্রুত নির্ণয়ের জন্য আরও বেশি পরিমাণে পরীক্ষা করার তাগিদ দিয়েছে তারা। এ অবস্থায় কোভিড ১৯-এর নমুনা পরীক্ষার জন্য জনগণকে উদ্বুদ্ধ করার জন্য পদক্ষেপ নিতে বলে কমিটি। সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়া প্রতিরোধ করতে সংক্রমিত ব্যক্তিকে দ্রুত চিহ্নিত করে আইসোলেশন নিশ্চিত করার কথা বলেছে।

বিদেশ থেকে আসা প্রবাসীদের জন্য সুনির্দিষ্ট নিয়ম তৈরীর বিষয়ে তাগিদ দেয় কমিটি। কমিটির মতে, সংক্রমণ প্রতিরোধে দেশে ঢোকার স্থানগুলোতে কার্যক্রম জোরদার করতে হবে। বিদেশ ফেরতদের স্ক্রিনিং, প্রাতিষ্ঠানিক ও হোম কোয়ারেন্টিন নিশ্চিত করার জন্য ব্যবস্থা করতে হবে। এ ব্যাপারে করোনাট্রেসার অ্যাপ ব্যবহারের কথা বলা হয়েছে।

উল্লেখ্য, বিশ্ব মহামারী করোনাভাইরাস সর্বপ্রথম দেশে সনাক্ত হয় গত ৮ মার্চ। প্রথম মৃত্যু হয় ১৮ মার্চ। রোববার পর্যন্ত দেশে করোনা শনাক্ত রোগীর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৩ লাখ ৪৮ হাজার ৯১৬ জনে। মারা গেছে ৪ হাজার ৯৩৯ জন।
খবর-যুগান্তর

  • এসএইচ

 

প্রকাশক ও সম্পাদক : মহিব্বুল আরেফিন
যোগাযোগ: ২৬৮, পূবালী মার্কেট, শিরোইল, ঘোড়ামারা, রাজশাহী-৬০০০
মোবাইল: ০৯৬৩৮ ১৭ ৩৩ ৮১; ০১৭২৮ ২২ ৩৩ ২৮
ইমেইল: [email protected]; [email protected]