সপ্তাহের ব্যবধানে ১০-১৫ টাকা বেড়েছে সবজির দাম

রাজ টাইমস | প্রকাশিত: ২৭ অক্টোবর ২০২৩ ২০:৩৬; আপডেট: ২ মে ২০২৪ ১২:০৮

ছবি: সংগৃহীত

সপ্তাহের ব্যবধানে রাজশাহীর কাঁচাবাজারে ১০-১৫ টাকা বেড়েছে সবজির দাম। পেঁয়াজের দাম বেড়েছে ৫ টাকা। শুক্রবার (২৭ অক্টোবর) নগরীর বিভিন্ন বাজারে এ চিত্র দেখা গেছে।

নগরীর সাহেব বাজার, সাগরপাড়া, নিউমার্কেট ও শালবাগান বাজারে দেখা যায়, কেজিতে ৫ টাকা বেড়ে দেশি পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ১০০ টাকায়। একইভাবে কেজিতে ২০ টাকা বেড়ে কাঁচা মরিচ বিক্রি হচ্ছে ১৪০ টাকায়। আলু বিক্রি হচ্ছে ৫৫ টাকা কেজি দরে, আদা ২০০ টাকা। কেজিতে ১০ টাকা বেড়ে রসুন বিক্রি হচ্ছে ১৯০-২০০ টাকায়।

গত সপ্তাহের চেয়ে ১০-৫ টাকা বেশি দামে বিক্রি হচ্ছে সব ধরনের সবজি। শুক্রবার করলা ৬০ টাকা, কচু ৭০ টাকা, লাউ ৫৫ টাকা, পেঁপে ৬৫ টাকা, মিষ্টি কুমড়া ৬০ টাকা, ঢ্যাঁড়স ৭৫, শসা ৮০ টাকা, বরবটি ৬০ টাকা, সজনে ৬০ টাকা, ঝিঙে ৬০ টাকা, বেগুন ও ফুলকপি ৮০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

সাহেব বাজারের বিক্রেতা মুসা ইসলাম বলছেন, সরবরাহ কম হওয়ায় বাজারে এর প্রভাব পড়েছে। বেশি দামে কিনতে হয় বলে আমাদের বেশি দামে বিক্রি করতে হয়।

মাস্টারপাড়া কাঁচা বাজারের পাইকারি ব্যবসায়ী মো. সুজন বলেন, বাজারে সব ধরনের সবজির দাম বেড়েছে। সেই সঙ্গে বেড়েছে আদা, রসুন ও পেঁয়াজের দাম। চাহিদার তুলনায় সরবরাহ কম থাকায় বেশি দামে কিনতে হচ্ছে।

নগরী নিউ মার্কেটে আসা নুর ইসলাম নামের এক ক্রেতা জানান, আমরাতো জিম্মি হয়ে গেছি। যে যেভাবে পাচ্ছেন পণ্যের দাম বৃদ্ধি করছেন। যৌক্তিক কোনো কারণ ছাড়াই হু হু করে দাম বাড়ছে সাধারণ পণ্যের।

তবে অপরিবর্তিত রয়েছে মাছের দাম। প্রতিকেজি পাঙাশ বিক্রি হচ্ছে ২৫০-৩০০ টাকা, রুই ৩৫০-৪০০ টাকা, কাতল ৪০০ টাকা, সিলভার কার্প ২৫০ টাকা, কই ৫৫০ টাকা, বড় তেলাপিয়া ৩০০ টাকা, ইলিশ ৫০০-১৬০০ টাকায়, বাগদা চিংড়ি ৯০০ টাকা, গলদা চিংড়ি ১২০০ টাকা, বোয়াল ৭৫০ টাকা, টেংরা ৬০০ টাকা, পাবদা ৬০০ টাকা, শিং ৬০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

এ সপ্তাহে ২০ টাকা বেড়ে বয়লার মুরগি বিক্রি হচ্ছে ১৮০ টাকায়। সোনালী মুরগি ৩০০ টাকা, দেশি মুরগি ৪৭০ টাকা কেজি বিক্রি হচ্ছে। পাতিহাঁস বিক্রি হচ্ছে ৪৫০ টাকা। এ সপ্তাহে মুরগির লাল ডিম ৫২ টাকা হালি, সাদা ডিম ৪৮ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। গরুর মাংস প্রতিকেজি বিক্রি হচ্ছে ৭৫০ টাকা, খাসির মাংস এক হাজার ৫০ টাকা।

জেলা বাজার মনিটরিং কর্মকর্তা আফ্রিন হোসেন বলেন, সবজি ও পেঁয়াজ, আদা ও রসুনের দাম বেড়েছে। মূলত সরবরাহ না থাকায় দাম বেড়েছে বলে জানিয়েন ব্যবসায়ীরা। আমরা মনিটরিং করছি। আশা করছি সব কিছুর দাম স্বাভাবিক হবে।



বিষয়:


বিশ্বজুড়ে করোনাভাইরাস
এই বিভাগের জনপ্রিয় খবর
Top