রাজশাহীতে জামায়াত-শিবিরের ১১ নেতাকর্মী নিহত, দাবি আমিরের
নিজস্ব প্রতিনিধি | প্রকাশিত: ৩১ আগস্ট ২০২৪ ১৬:২০; আপডেট: ১২ এপ্রিল ২০২৫ ১১:৪৮

স্বৈরাচার শেখ হাসিনার শাসনামলে রাজশাহীতে জামায়াতে ইসলামী ও ইসলামী ছাত্রশিবিরের ১১ নেতাকর্মীর মৃত্যু হয়েছে বলে দাবি করেছেন রাজশাহী মহানগর জামায়াতের আমীর ড. মাওলানা কেরামত আলী।
শনিবার (৩১ আগস্ট) দুপুরে রাজশাহী নগরীর একটি মিলনায়তনে রাজশাহীতে কর্মরত গণমাধ্যম কর্মীদের সাথে মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
জামায়াতের আমির বলেন, বিগত স্বৈরাচার শেখ হাসিনার শাসনামলে সবচেয়ে বেশি জুলুম ও নির্যাতনের শিকার হয়েছে জামায়াতে ইসলামী ও ছাত্রশিবিরের জনশক্তি। আমরা কোনো প্রতিবাদ করতে পারি নি। এমন কি কেউ মারা গেলে জানাযার নামাজটাও পড়তে দেওয়া হয় নি। আমাদের লোকজন যে কান্না করবে সেই স্বাধীনতাটুকুও ছিল না। দেশের পটভূমি পরিবর্তন হওয়ার পর রাজনৈতিকভাবে প্রতিশোধ নিলে আমাদেরই বেশি প্রতিশোধ নেওয়া উচিত। কিন্তু জামায়াতে ইসলামী প্রতিহিংসার রাজনীতি করে না।
তিনি আরও বলেন, জামায়াত প্রতিশোধ নিতে চাই না। ছাত্র-জনকার গণঅভ্যুত্থানের বিনিময়ে আমরা স্বৈরাচার হটাতে সক্ষম হয়েছি। এখন দেশ গড়ার সময়। জামায়াত দেশ গঠনে কাজ করছে।
এসময় মহানগর জামায়াতের সেক্রেটারি ইমাজ উদ্দিন মন্ডল, নায়েবে আমির অধ্যক্ষ সিদ্দিক হোসেন, এডভোকেট আবু মোহাম্মদ সেলিম বারের সাবেক সহ-সভাপতি সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দেন।
তাঁরা বলেন, কোন নিরাপরাধ মানুষ যেন মামলায় না জড়ায়, আমরা সেদিকে সজাগ দৃষ্টি রাখছি। আমরা প্রতিহিংসার রাজনীতি করি না। কোনো ধরনের অন্যায় ও লুটের সঙ্গে আমাদের নেতা-কর্মীদের সর্ম্পক নেই। আগামীতে অনেক কাজ আছে। আগামীতে জনগণকে ভোটের অধিকার ফিরিয়ে দিতে চায় জামায়াত। আমরা নতুন প্রজন্মকে ন্যায় ও সত্য সম্পর্কে জানাতে ও চেনাতে চাই।
নগর জামায়াতের মিডিয়া ও প্রচার সম্পাদক অধ্যাপক সারোয়ার জাহান প্রিন্সের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রশিবিরের সভাপতি আব্দুল মোহাইমিন, রাজশাহী মহানগর ছাত্রশিবিরের সভাপতি সিফাত আলমসহ রাজশাহীতে কর্মরত প্রিন্ট, অনলাইন ও ইলেট্রোনিক মিডিয়ায় কর্মরত সাংবাদিকবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: