সপ্তাহের ব্যবধানে রিজার্ভ কমল ২৭০ মিলিয়ন ডলার

রাজ টাইমস ডেস্ক : | প্রকাশিত: ৮ ডিসেম্বর ২০২৩ ১০:৩৭; আপডেট: ২৯ এপ্রিল ২০২৪ ২১:০৮

ছবি: সংগৃহীত

দেশের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভে পতন অব্যাহত আছে। গত এক সপ্তাহের ব্যবধানে দেশের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ প্রায় ২৭০ মিলিয়ন ডলার কমেছে, যা আগের সপ্তাহের চেয়ে দ্বিগুণেরও বেশি। আগের সপ্তাহে রিজার্ভ কমার পরিমাণ ছিল প্রায় ১২০ মিলিয়ন ডলার। খবর শেয়ার বিজের। 

সর্বশেষ গত বুধবার আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) বিপিএম-৬ অনুযায়ী, দেশের রিজার্ভ কমে দাঁড়িয়েছে ১৯ দশমিক ১৩ বিলিয়ন ডলারে, যা গত ২৯ নভেম্বর ছিল ১৯ দশমিক ৪০ বিলিয়ন ডলার। আর গত ২২ নভেম্বর ছিল ১৯ দশমিক ৫২ বিলিয়ন ডলার। ফলে দুই সপ্তাহের ব্যবধানে রিজার্ভ কমেছে প্রায় ৩৯০ বিলিন ডলার।

এর আগে ২০২১ সালের আগস্টে দেশের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ বাংলাদেশ ব্যাংকের হিসেবে ৪৮ বিলিয়ন ডলার অতিক্রম করেছিল, যা ছিল দেশের ইতিহাসে সর্বোচ্চ। কিন্তু বৈদেশিক মুদ্রা আয়ের চেয়ে ব্যয় বেশি হওয়ায় রিজার্ভ কমতে শুরু এবং তা অব্যাহত আছে। ফলে কেন্দ্রীয় ব্যাংক ঘাটতি মেটাতে ব্যাংকগুলোর কাছে ডলার বিক্রি করেছে।

বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য বলছে, চলতি অর্থবছরের শুরু থেকে এখন পর্যন্ত রিজার্ভ থেকে ডলার বিক্রির পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ৫ দশমিক ৯ বিলিয়ন ডলার। সে হিসেবে প্রতি মাসে ১ দশমিক ১৮ বিলিয়ন করে ডলার বিক্রি হয়েছে। গত ২ নভেম্বর পর্যন্ত ডলার বিক্রির পরিমাণ ছিল ৪ দশমিক ৫৩ বিলিয়ন ডলার। অপর দিকে চলতি অর্থবছরের পাঁচ মাসে রিজার্ভ কমেছে ৫ দশমিক ৩৫ বিলিয়ন ডলার।

অর্থাৎ প্রতি মাসে রিজার্ভ থেকে ১ বিলিয়ন ডলারের বেশি কমছে। মূলত ডলার বিক্রির কারণে রিজার্ভের ক্ষয় থামানো যাচ্ছে না। যদিও রিজার্ভ সব সময় সব আমদানির ক্ষেত্রে ব্যবহার করা হয় না। শুধু সরকারি অতি প্রয়োজনীয় পণ্য আমদানির জন্য ডলার বিক্রি করছে বাংলাদেশ ব্যাংক।

এদিকে ডলার-সংকট, আমদানিতে নিয়ন্ত্রণের কারণে ব্যাংকে এখন ঋণপত্র খোলা উল্লেখযোগ্য পরিমাণে কমে গেছে।

বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য মতে, চলতি অর্থবছরের প্রথম চার মাসে গত বছরের একই সময়ের চেয়ে এলসি বা ঋণপত্র খোলা কমেছে ১১ দশমিক ৫২ শতাংশ। একই সময় ঋণপত্র নিষ্পত্তির পরিমাণ কমেছে ২৪ শতাংশের বেশি। মূলত ব্যাংকগুলো ডলার সংকটের কারণে নিষ্পত্তি কমে গেছে।



বিষয়:


বিশ্বজুড়ে করোনাভাইরাস
এই বিভাগের জনপ্রিয় খবর
Top