পুঠিয়ায় টিএসপি সারের কৃত্রিম সংকট; দ্বিগুন দামে বিক্রি

নিজস্ব প্রতিবেদক | প্রকাশিত: ১৮ নভেম্বর ২০২০ ০১:০৪; আপডেট: ১৮ নভেম্বর ২০২০ ০১:০৬

 

রাজশাহীর পুঠিয়ায় চলতি মৌসুমের শুরুতে ট্রিপুল সুপার ফসফেট (টিএসপি) সারের কৃত্রিম সংকট দেখা দিয়েছে। কৃষকদের অভিযোগ ব্যবসায়িরা দোকান গুলোতে সার না থাকলেও দ্বিগুন মূল্যে গোপন স্থান থেকে সরবরাহ করছেন। তবে ডিলারগণ বলছেন বর্তমানে কৃষকের চাহিদা অনুসারে আমরা সার বরাদ্দ পাচ্ছি না। যার কারণে গত দু’মাস থেকে বাজারে টিএসপি সার সংকট দেখা দিয়েছে।

উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর অফিস সূত্রে জানা গেছে, পৌরসভাসহ উপজেলার ৬টি ইউনিয়ন এলাকায় বিসিআইসি সার ডিলার রয়েছে ৮ জন। আর বিএডিসি ডিলার আছে ১৩ জন। এছাড়া সাব সার ডিলার ও খুচরা বিক্রেতা রয়েছেন আরো প্রায় ৫’শতাধিক। সরকার কৃষক পর্যায়ে ডিএপি সারে ভূর্তুকি দেয়ার পর থেকে টিএসপি আমদানী কমে গেছে বলে ধারনা করছেন কৃষি বিভাগ। তবে চলতি নভেম্বরে উপজেলায় টিএসপির চাহিদা ছিল প্রায় দেড় হাজার মে.টন। আর বরাদ্দ হয়েছে মাত্র ১২৭ মে.টন।

জিউপাড়া এলাকার আলুচাষি রফিকুল ইসলাম বলেন, এখন আলু, পেয়াজ, রসুন, গমসহ বিভিন্ন রবি শস্য উৎপাদনের মৌসুম শুরু হয়েছে। শুরুতেই বাজারে টিএসপির সংকট দেখা দেয়ায় কৃষকদের মাঝে চরম হতাশা দেখা দিয়েছে। সরকার নির্ধারিত ৫০ কেজি বস্তার মূল্য এক হাজার ১০০ টাকা। আর ডিলাররা টিএসপি সার সরবরাহ বন্ধ বললেও অতি গোপনে প্রতি বস্তা আমদানীকৃত টিএসপি এক হাজার ৯০০ থেকে ২ হাজার ১০০ টাকায় বিক্রি করছেন। অপরদিকে ডিএপি সারে ভূর্তুকি মূল্য ৮০০ টাকা হলেও বর্তমানে বিক্রি হচ্ছে ৯৫০ টাকা থেকে এক হাজার টাকায়। আর দেশে উৎপাদিত টিএসপি সার বরাদ্দ হলেও কৃষক কখনোই তা পায় না।

রাজশাহী জেলা সার ডিলার সমিতির সভাপতি ওসমান আলী বলেন, বর্তমানে চাহিদা অনুসারে আমাদের টিএসপি বরাদ্দ দেয়া হচ্ছে না। আগে আমদানীকৃত বিভিন্ন দেশের টিএসপির সরবরাহ থাকলেও এখন শুধুমাত্র বিএডিসির নামমাত্র সার পাচ্ছি। এখন কৃষকদের বিভিন্ন ফসল বপনের সময়। সে অনুসারে প্রতিদিন একজন সার ডিলারের টিএসপির চাহিদা প্রায় ৩০ টন। আর আমরা সপ্তাহে পাচ্ছি মাত্র ৫ থেকে ৭ টন। এতে করে প্রতিটি গ্রামে মাত্র ২/৩ বস্তা টিএসপি সার দেয়া সম্ভব। আর খুচরা সার বিক্রেতারা বেশী দামে বিক্রি করছে কিনা সেটা আমার জানা নেই। তবে ডিলারদের সরকার নির্ধারিত দামের চেয়ে বেশী নেয়ার কোনো সুযোগ নেই।

উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা শামসুনাহার ভূঁইয়া বলেন, বর্তমানে বাজারে টিএসপির সরবরাহ একটু কম। তবে কৃষকরা টিএসপির পরিবর্তে ডিএপি সার ব্যবহার করতে পারেন। ডিএপি সার টিএসপির চেয়ে কার্য ক্ষমতা অনেক বেশী। তবে বাজারে টিএসপি সারের সংকট দেখিয়ে ডিলাররা যাতে বেশী দাম না নেয় সে বিষয়ে সার্বক্ষনিক আমাদের মাঠ কর্মকর্তারা তদারকি করছেন।

কাফি



বিষয়:


বিশ্বজুড়ে করোনাভাইরাস
এই বিভাগের জনপ্রিয় খবর
Top