পাকিস্তানকে ১ হাজার ৩০০ কোটি ডলার দেবে চীন-সৌদি

রাজটাইমস ডেস্ক | প্রকাশিত: ৬ নভেম্বর ২০২২ ০৩:৩১; আপডেট: ৬ নভেম্বর ২০২২ ০৫:০৩

ছবি: সংগৃহীত

চলতি ২০২২-২৩ অর্থবছরে পাকিস্তানকে ১ হাজার ৩০০ কোটি ডলারের ঋণ ও সহায়তা দেবে বলে আশ্বাস দিয়েছে দেশটির দুই পুরোনো মিত্র চীন ও সৌদি আরব। পাকিস্তানের অর্থমন্ত্রী ইশাক দার শুক্রবার এক বিবৃতিতে এই তথ্য জানিয়েছেন।

  • বিবৃতিতে উল্লেখ করা হয়েছে, এই ১ হাজার ৩০০ কোটি ডলারের মধ্যে ৫৭০ কোটি ডলার ঋণ হিসেবে প্রদান করা হবে, আর বাকি অর্থ পাকিস্তানকে দেওয়া হবে আর্থিক সহায়তা হিসেবে।

পাকিস্তানের অর্থনীতিবিদদের মতে, চলতি অর্থ বছরে সরকার যে পরিমাণ বৈদেশিক বিনিয়োগ আসতে পারে বলে ধারণা করেছিল, শতকরা হিসেবে এই অর্থের পরিমাণ তার ৩৮ শতাংশ।

চীনের কাছে পাকিস্তানের বকেয়া ‍ঋণ জমেছে ৭৩০ কোটি ডলার। গত ২ নভেম্বর চীন সফরে গিয়ে পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ শরিফ বকেয়া ঋণ পরিশোধের মেয়াদ বাড়ানো এবং আরও ১৫০ কোটি ডলার নতুন ‍ঋণের আবেদন করেন চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের কাছে।

পাক প্রধানমন্ত্রীর আবেদনে সাড়া দিয়ে শি জিনপিং ঋণ পরিশোধের মেয়াদ বাড়িয়েছেন বলে উল্লেখ করা হয়েছে অর্থ মন্ত্রণালয়ের বিবৃতিতে, সেই সঙ্গে ১৫০ কোটি ডলার ‍ঋণসহ ৬শ’ কোটি টাকার সহয়তা প্রদান করা হবে বলে শেহবাজকে আশ্বাস দিয়েছেন জিনপিং।

এছাড়া সম্প্রতি সৌদি সরকারের কাছে ৩০০ কোটি ডলার ঋণ চেয়েছিল পাকিস্তানের অর্থমন্ত্রী। সেই আবেদনেও সাড়া মিলেছে। দেশটির সরকারের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, পাকিস্তানকে মোট ৬৬০ কোটি ডলার প্রদান করবে সৌদি। তার মধ্যে ২৪০ কোটি ডলার ঋণ ও ৪২০ কোটি ডলার সহায়তা হিসেবে প্রদান করা হবে।

বিদেশি মুদ্রার মজুত কমে যাওয়ায় চলতি বছরের শুরু থেকেই নড়বড়ে অবস্থায় ছিল পাকিস্তানের অর্থনীতি। উপরন্তু গত বর্ষায় ব্যাপক বর্ষণ ও তার প্রভাবে দেশটির উত্তর দিকের পার্বত্য অঞ্চলের হিমবাহ গলে ভয়াবহ বন্যার কবলে পড়ে দেশটি। ইতিহাসে এত বড় প্রাকৃতিক দুর্যোগ এর আগে দেখেনি পাকিস্তান।

গত জুন মাসে শুরু হওয়া এই মহাদুর্যোগে দেশটির এক তৃতীয়াংশের বেশি এলাকা পানিতে তলিয়ে যায়, নিহত হন প্রায় ২ হাজার মানুষ।

এছাড়া বন্যায় লাখ লাখ হেক্টর জমির ফসল নষ্ট হয়েছে, মারা গেছে হাজার হাজার গবাদিপশু, বাঁধ ও অন্যান্য সরকারি স্থাপনারও ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। সরকারি হিসেবেই বন্যায় ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ ছাড়িয়েছে ৩ হাজার কোটি ডলার।

দীর্ঘদিনের সামরিক শাসন, প্রশাসনিক অব্যবস্থাপনা ও অনিয়মের কারণে ২০১৭ সাল থেকেই পাকিস্তানের অর্থনীতিতে দুরাবস্থা চলছিল। সংকট কাটিয়ে উঠতে ওই সময় থেকেই চীনের কাছ থেকে ‍ঋণ নেওয়া শুরু করে দেশটির সরকার। তার আগেও অবশ্য বিভিন্ন সময়ে চীনের কাছ থেকে আর্থিক ঋণ নিয়েছে পাকিস্তান।

দীর্ঘদিনের সামরিক শাসন, প্রশাসনিক অব্যবস্থাপনা ও অনিয়মের কারণে ২০১৭ সাল থেকেই পাকিস্তানের অর্থনীতিতে দুরাবস্থা চলছিল। সংকট কাটিয়ে উঠতে ওই সময় থেকেই চীন ও সৌদির কাছ থেকে ‍ঋণ নেওয়া শুরু করে দেশটির সরকার। তার আগেও অবশ্য বিভিন্ন সময়ে এ দুই দেশের কাছ থেকে আর্থিক ঋণ নিয়েছে পাকিস্তান।

সূত্র : দ্য এক্সপ্রেস ট্রিবিউন / এনএ




বিশ্বজুড়ে করোনাভাইরাস
এই বিভাগের জনপ্রিয় খবর
Top