ইউক্রেনের বিভিন্ন দূতাবাসে ‘রক্তাক্ত প্যাকেজ’

ডেস্ক নিউজ | প্রকাশিত: ৯ ডিসেম্বর ২০২২ ০৪:৫৮; আপডেট: ১৭ এপ্রিল ২০২৪ ০১:১১

সম্প্রতি কিয়েভের একাধিক বিদেশি দূতাবাসে একটি পার্সেল পাওয়া গেছে। যার ভেতর মিলেছে রক্তাক্ত দেহাংশ। বুধবার (৭ ডিসেম্বর) ইউক্রেনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী দিমিত্রো কুলেবা জানান, বিভিন্ন দেশের দূতাবাসে এমন ৩১টি প্যাকেজ পাওয়া গেছে। প্রাথমিক পরীক্ষায় জানা গেছে, এগুলো জার্মানি থেকে গেছে।

জার্মানভিত্তিক সংবাদমাধ্যম ডয়চে ভেলের খবরে বলা হয়েছে, প্রতিটি প্যাকেটের ভেতর পশুর চোখ ও দেহাংশ পাওয়া গেছে। চোখগুলি যাতে পচে না যায়, সেজন্য একটি তরল রাসায়নিক ব্যবহার করা হয়েছে। কেবলমাত্র ইউরোপীয় দেশের দূতাবাসগুলিতেই এই প্যাকেজ পাঠানো হয়েছে।

ইউক্রেনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী গণমাধ্যমকে জানান, প্রতিটি প্যাকেজেই প্রেরকের একই ঠিকানা দেওয়া হয়েছে। দক্ষিণ-পশ্চিম জার্মানির বাডেন রাজ্যের একটি টেসলা ডিলারশিপের ঠিকানা ব্যবহার করেছে প্রেরক। পোস্ট অফিসের মারফত ওই প্যাকেজগুলি পাঠানো হয়েছে।

তিনি বলেন, যিনি বা যারা এটি পাঠিয়েছেন- তারা জানতো ওই পোস্ট অফিসে কোন ক্লোজ সার্কিট ক্যামেরা নেই। শুধু তা-ই নয়, প্যাকেজগুলোতে কোনরকম হাতের ছাপ বা ডিএনএ’র নমুনা যাতে না থাকে, তার ব্যবস্থাও করা হয়। ফলে প্যাকেটগুলো পরীক্ষা করে কোন তথ্যই পাওয়া যাচ্ছে না।

জানা যায়, এখনো পর্যন্ত ১৫টি দেশ ৩১টি প্যাকেজ পেয়েছে। এরমধ্যে অস্ট্রিয়া একটি, ভ্যাটিকান একটি, ডেনমার্ক একটি, স্পেন পাঁচটি, ইটালি চারটি, কাজাখস্তান একটি, নেদারল্যান্ডস একটি, পোল্যান্ড ছয়টি, পর্তুগাল দুইটি, রোমানিয়া দুইটি, অ্যামেরিকা একটি, হাঙ্গেরি দুইটি, ফ্রান্স একটি, ক্রোয়েশিয়া একটি এবং চেক রিপাবলিক দুইটি প্যাকেজ পেয়েছে।

যে সমস্ত দেশের দূতাবাসে এই প্যাকেজ গেছে, সেই দেশগুলোর পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের সঙ্গে কথা বলেছেন বলে জানান ইউক্রেনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী দিমিত্রো কুলেবা। তাছাড়া রাশিয়ার আক্রমণের সঙ্গে এর কোন সম্পর্ক আছে কি না, তাও খতিয়ে দেখা হচ্ছে।

ফরেনসিক বিশেষজ্ঞ এবং গোয়েন্দারা এর তদন্ত শুরু করেছে বলে জানিয়েছে ইউক্রেন। কিছুদিন আগেই ইউক্রেনের স্পেন দূতাবাসে একটি চিঠি বোমা উদ্ধার করা হয়েছিল। তারপরেই ঘটলো এই ঘটনা।

সূত্র: একাত্তর অনলাইন। 



বিষয়:


বিশ্বজুড়ে করোনাভাইরাস
এই বিভাগের জনপ্রিয় খবর
Top