হামাসের সাথে বন্দী বিনিময় চুক্তি প্রত্যাখ্যান ইসরাইলের
রাজ টাইমস ডেস্ক : | প্রকাশিত: ১৮ নভেম্বর ২০২৩ ১০:০২; আপডেট: ১৭ মার্চ ২০২৫ ১৯:৪১

কাতারের মধ্যস্থতায় হামাস ও ইসরাইলের মাঝে একটি চুক্তির আলোচনা চলছে। ওই চুক্তি অনুযায়ী হামাস ৫০ ইসরাইলি বন্দীকে মুক্তি দেবে। অপরদিকে ইসরাইলও কিছু ফিলিস্তিনি নারী ও শিশুদের মুক্তি দেবে। তবে এ বন্দী বিনিময় চুক্তি প্রত্যাখ্যান করেছে ইসরাইল।
শনিবার (১৮ নভেম্বর) কাতারভিত্তিক গণমাধ্যম আল-জাজিরার এক প্রতিবেদনে এমন তথ্য জানানো হয়েছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, কাতারের মধ্যস্থতায় হামাস ও ইসরাইলের মাঝে যে বন্দী বিনিময় চুক্তির আলোচনা চলছিল ইসরাইলি মন্ত্রিসভা শুক্রবার সেটি প্রত্যাখ্যান করেছে।
প্রতিবেদনে আরো বলা হয়েছে, ইসরাইলি মন্ত্রিসভা এমন কোনো চুক্তিতে সম্মত হতে অস্বীকার করেছে যা পরিবারের সদস্যদের বিচ্ছেদ দেখতে পাবে। তবে ৭০ থেকে ৮০ জন বন্দীকে মুক্তির আলোচনা তারা এখনো বিবেচনাধীন রেখেছে।
নেসেট (ইসরাইলি মন্ত্রিসভা) দাবি করেছে যে- হামাসের প্রধান ইয়াহিয়া সিনওয়ার আল-শিফা হাসপাতালে ইসরাইলের পদক্ষেপের ফলে আলোচনা বন্ধ করে দিয়েছেন।
এদিকে ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষের সর্বশেষ পরিসংখ্যান অনুসারে, গাজা উপত্যকায় ইসরাইলি হামলার কমপক্ষে ১২ হাজার ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে, যার মধ্যে ৮ হাজারের বেশি শিশু এবং নারী। আহত হয়েছে ২৮ হাজারেরও বেশি।
গত মাস থেকে অবরুদ্ধ ছিটমহলে ইসরাইলের অবিরত বিমান ও স্থল হামলায় হাসপাতাল, মসজিদ এবং গির্জাসহ হাজার হাজার ভবন ক্ষতিগ্রস্ত বা ধ্বংস হয়েছে।
ইসরাইলি সরকারি পরিসংখ্যান অনুসারে, ইতোমধ্যে ১ হাজার ২০০ ইসরাইলি নিহত হয়েছে।
উল্লেখ্য, গাজাভিত্তিক ফিলিস্তিনি প্রতিরোধ আন্দোলন হামাস ইসরাইলের বিরুদ্ধে সামরিক অভিযান শুরু করেছে বলে ঘোষণা করে। এর প্রতিরোধে পাল্টা হামলা শুরু করে ইসরাইল।
এক বিবৃতিতে হামাসের সামরিক শাখার প্রধান মোহাম্মদ দেইফ বলেন, গত শনিবার (৭ অক্টোবর) সকালে ইসরাইলে পাঁচ হাজার রকেট বর্ষণের মাধ্যমে ‘অপারেশন আল-আকসা স্ট্রম’ শুরু হয়েছে। এ সময় ইসরাইল গাজা থেকে অনুপ্রবেশের কথা স্বীকার করে।
বস্তুত, ১৯৫৩ সালের পর এই প্রথম এত বড় মাত্রার যুদ্ধ শুরু হয়েছে মধ্যপ্রাচ্যের আল আকসা অঞ্চলে।
সূত্র : আল-জাজিরা
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: