ভারত বিরোধিতায় মালদ্বীপের প্রেসিডেন্টের চমক
রাজ টাইমস ডেস্ক : | প্রকাশিত: ২১ নভেম্বর ২০২৩ ১০:৪৫; আপডেট: ১৭ মার্চ ২০২৫ ২২:৫৬
-2023-11-21-10-45-17.jpg)
২০১৮ সালের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের পরে এমডিএ ত্যাগ করেন মুইজ্জু। যোগ দেন বিদায়ী প্রেসিডেন্টের দল প্রগ্রেসিভ পার্টি অব মালদ্বীপসে (পিপিএম)। ২০১৯ সালে তাকে ভাইস প্রেসিডেন্ট নিয়োগ করা হয়। ইলেকশন্স ডিপার্টমেন্টের প্রধানও করা হয় তাকে। খবর মানবজমিনের।
এরপর ২০২১ সালে তখনকার ক্ষমতাসীন মালদ্বীভিয়ান ডেমোক্রেটিক পার্টির প্রার্থীকে পরাজিত করে রাজধানী মালের মেয়র নির্বাচিত হন। ওদিকে সাবেক প্রেসিডেন্ট ও বিরোধীদলীয় নেতা আবদুল্লাহ ইয়ামিন অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে অভিযুক্ত হন চমকে দিলেন মালদ্বীপের নতুন প্রেসিডেন্ট মোহামেদ মুইজ্জু।
প্রেসিডেন্ট হিসেবে শুক্রবার ১৭ই নভেম্বর শপথ নেয়ার পরই এই চমক দেখিয়েছেন তিনি। তার শপথ অনুষ্ঠানে যোগ দিয়েছিলেন ভারতের কেন্দ্রীয় মন্ত্রী কিরেন রিজিজু। এক ফাঁকে তার সঙ্গে বৈঠক করেছেন প্রেসিডেন্ট মুইজ্জু। এ সময় রিজিজুকে সাফ জানিয়ে দিয়েছেন মালদ্বীপ থেকে ভারতীয় সেনাদের প্রত্যাহার করতে হবে।
মুইজ্জু চীনপন্থি বলে তার পরিচিতি আছে। নির্বাচনের আগে তিনি ‘বিদেশি সেনাদের’ প্রত্যাহারের অঙ্গীকার করেছিলেন। সেই বিষয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে ভারতকে জানিয়ে দিলেন। এটা তিনি করবেন, তবে এত তাড়াতাড়ি এমন পদক্ষেপ নেবেন, তা হয়তো অনেকেই প্রত্যাশা করেননি। তার এমন অনুরোধ জানানোর ফলে বিষয়টি বিশ্বজুড়ে সংবাদ শিরোনাম হয়েছে। ভূরাজনৈতিক ক্ষেত্রে যখন বিশ্বজুড়ে নতুন মেরূকরণ হচ্ছে, তখন তার এ আনুষ্ঠানিক অনুরোধ যথেষ্ট গুরুত্ব বহন করে।
শনিবার তার অফিস থেকে ভারতীয় সেনা প্রত্যাহারের অনুরোধের কথা জানানো হয়। এদিনই আরও চমকে দেয়ার মতো খবর পাওয়া যায়। তা হলো, প্রেসিডেন্ট মুইজ্জুর সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেছেন চীনা প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের বিশেষ দূত শেন ইকিন। মুইজ্জুর অফিস থেকে দেয়া বিবৃতিতে বলা হয়েছে, মিস ইকিন প্রেসিডেন্ট মুইজ্জুর সফল অভিষেকে অভিনন্দন জানিয়েছেন। আস্থা প্রকাশ করেছেন যে, তার প্রেসিডেন্সির মেয়াদে দুই দেশের সম্পর্ক আরও শক্তিশালী হবে।
এতে আরও বলা হয়, সাক্ষাতে চীন সরকারকে বছরের পর বছর মালদ্বীপের আর্থসামাজিক উন্নয়নে অবদান রাখার জন্য ধন্যবাদ জানিয়েছেন প্রেসিডেন্ট মুইজ্জু। তিনি আরও বলেছেন, এদিনটি দুই দেশের মধ্যে অভিন্ন ঐতিহাসিক বন্ধুত্বের নতুন একটি অধ্যায়ের সূচনা হলো। পারস্পরিক স্বার্থের ক্ষেত্রগুলোতে অব্যাহত সহযোগিতার আস্থা প্রকাশ করেন তিনি। এর মধ্যে আছে আঞ্চলিক সহযোগিতা, অর্থনৈতিক সহযোগিতা, জনগণের সঙ্গে জনগণের সম্পর্ক।
এর মধ্যদিয়ে তিনি ভারতীয় বলয়ের বাইরে চলে যাওয়ার ইঙ্গিত দিয়েছেন। মালদ্বীপকে চীনের সঙ্গে আষ্টেপৃষ্ঠে বন্ধনে আবদ্ধ করার খায়েশ প্রকাশ করেছেন। কিন্তু ভারতের নিকট প্রতিবেশী মালদ্বীপ। সে ভারতের বলয় থেকে বেরিয়ে এসে চীনকে বেছে নিয়েছে। মুইজ্জু চীনপন্থি। এটা ভারত খুব ভালোভাবেই জানে। তাই তার শপথ অনুষ্ঠানে যাননি ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি।
তিনি তার পরিবর্তে পাঠিয়েছিলেন বিজ্ঞানবিষয়ক মন্ত্রী কিরেন রিজিজুকে। কেন মোদি যাননি সে বিষয়ে ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় কোনো ব্যাখ্যা দেয়নি। তবে তাদের বক্তব্য ‘প্রতিবেশীই প্রথম’ মালদ্বীপের ক্ষেত্রেও এটা সমানভাবে প্রযোজ্য। কিরেন রিজিজুকে মালদ্বীপে পাঠানোর আগে ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে বিবৃতিতে বলা হয়, তাদের আশা দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক আরও উন্নত হবে।
এখানে উল্লেখ্য, মালদ্বীপের নতুন প্রেসিডেন্ট মুইজ্জু সাউথ ব্লকের কাঁটা হয়ে উঠতে চলেছেন, তা ভারতের কাছে স্পষ্ট হয়ে ওঠে। নির্বাচনী প্রচারণায় মুইজ্জু আগেই বুঝিয়ে দিয়েছেন যে, ভারত প্রথম এমন নীতি নিয়ে আগের প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম সোলিহর মতো তিনি সরকার পরিচালনা করবেন না।
ভারতের যেমনটা ধারণা হয়েছিল, প্রেসিডেন্ট মুইজ্জু প্রথম সাক্ষাতে সেটারই প্রতিফলন ঘটিয়েছেন। এখন ভারতীয় সেনাদের তার দেশ থেকে প্রত্যাহারের অনুরোধের প্রেক্ষিতে ভারতের কী প্রতিক্রিয়া হয় এবং পানি কোথায় গিয়ে গড়ায় তা দেখার বিষয়। ওদিকে প্রেসিডেন্ট হিসেবে আন্তর্জাতিক মিডিয়ার কাছে দেয়া প্রথম সাক্ষাৎকারে মুইজ্জু বলেছেন, তার সরকার পরিষ্কার, স্বচ্ছ এবং জবাবদিহিমূলক হবে। বিচার বিভাগের ওপর রাজনৈতিক প্রভাবের দীর্ঘমেয়াদি সমস্যার কথা স্বীকার করেন তিনি।
প্রতিশ্রুতি দেন দেশের বিচার বিভাগ হবে অবাধ ও সুষ্ঠু। নির্বাচনে বিজয়ী হওয়ার পর তার প্রথম কাজ হলো কারাবন্দি সাবেক প্রেসিডেন্ট আবদুল্লাহ ইয়ামিনকে মুক্ত করা। ২০২২ সালের ডিসেম্বরে তিনি অর্থ পাচারের অভিযোগে অভিযুক্ত হয়ে জেলে যান। মারাত্মক অনিয়মের অভিযোগ আছে ইয়ামিন সরকারের বিরুদ্ধে। এর মধ্যে আছে রাজনৈতিক বিরোধীদের ইচ্ছেমতো গ্রেপ্তার, সমালোচক ও বাক স্বাধীনতার বিরুদ্ধে ব্যাপক দমনপীড়ন।
কেন তিনি ভারতের সেনাদের চলে যেতে বলছেন: ব্লুমবার্গকে একবার তিনি বলেছেন, মালদ্বীপকে তিনি পুরোপুরি স্বাধীন জাতি হিসেবে গড়ে তুলতে চান। পারস্পরিক সুবিধার ভিত্তিতে দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক চায় তার দেশ। তার দেশে ভারতীয় কিছু সেনা থাকার ফলে মালদ্বীপের সার্বভৌমত্বের জন্য তা হুমকি বলে তিনি মনে করেন। এ জন্য তার দল অনেক বছর ধরে ‘ইন্ডিয়া আউট’ কৌশল অবলম্বন করছে।
নির্বাচনে বিজয়ের পর তিনি সমর্থকদের সমাবেশে বলেছেন, মালদ্বীপে বিদেশি সেনাদের দেখতে চায় না দেশের জনগণ। তার ভাষায়- ‘জনগণ আমাদেরকে বলে দিয়েছে তারা বিদেশি সেনাদের দেখতে চায় না’। তাই তিনি জয়ের পর পরই রাজধানী মালেতে ভারতীয় রাষ্ট্রদূতের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন এবং তাকে পরিষ্কারভাবে জানিয়ে দেন, ভারতীয় প্রতিজন সেনাসদস্যকে প্রত্যাহার করা উচিত। কিন্তু দীর্ঘদিন মালদ্বীপে ভারতের উপস্থিতি আছে।
১৯৮৮ সালে সেখানে সামরিক অভ্যুত্থান চেষ্টা হয় তখনকার প্রেসিডেন্ট মামুন আবদুল গাইয়ুমের বিরুদ্ধে। এ জন্য প্রেসিডেন্ট গাইয়ুম ভারতের তখনকার প্রধানমন্ত্রী রাজীব গান্ধীর কাছে সহায়তা চান। রাজীব গান্ধী তখন অপারেশন ক্যাকটাস মালদ্বীপের মাধ্যমে সেই অভ্যুত্থানকে বানচাল করে দেন। এই অভিযানে আগ্রা থেকে ৩০০ সেনা পাঠানো হয় দ্রুততার সঙ্গে। তারা গিয়ে কয়েক ঘণ্টার মধ্যে সরকারকে পুনর্বহাল করে।
ভারতের এই উদ্যোগের প্রশংসা করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের তখনকার প্রেসিডেন্ট রোনাল্ড রিগ্যান, বৃটিশ প্রধানমন্ত্রী মার্গারেট থ্যাচার সহ পশ্চিমা নেতারা। পরে সেখানে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে ভারতীয় সেনাদের প্রত্যাহার করা হয়। কিন্তু সাবেক প্রেসিডেন্ট আবদুল্লাহ ইয়ামিনের অধীনে চীনের দিকে ঝুঁকে পড়ে মালদ্বীপ। চীনের বেল্ট অ্যান্ড রোড ইনিশিয়েটিভে যোগ দেয় তারা। এর অর্থ সেখানে রেলপথ, বন্দর এবং মহাসড়ক নির্মাণ করে চীন। এর মধ্যদিয়ে বাণিজ্য বিস্তৃত হয়। এশিয়া, আফ্রিকা এবং ইউরোপে প্রভাব ছড়িয়ে দেয় বেইজিং।
ভারত মহাসাগরে একবিংশ শতাব্দীতে মেরিটাইম সিল্ক রোড পরিকল্পনায় বড় একটি অংশীদার হিসেবে মালদ্বীপকে দেখতে থাকে বেইজিং। এ জন্য তারা মালদ্বীপকে শত শত কোটি ডলার ঋণ দেয়। অবকাঠামো এবং উন্নয়ন প্রকল্পের জন্য ঋণ দেয়। ফলে চীনের দিকে ঝুঁকে পড়ে দেশটি। এ নিয়ে ভারত ও চীনের মধ্যে অন্যরকম এক লড়াই চলতে থাকে।
একনজরে মুইজ্জু
মোহামেদ মুইজ্জু গত ১৭ই নভেম্বর শপথ গ্রহণ করে মালদ্বীপের নতুন প্রেসিডেন্ট হন। এর আগে দীর্ঘ সময় তিনি গৃহায়ন বিষয়ক মন্ত্রী ছিলেন। রাজধানী মালেতে মেয়রের দায়িত্ব পালন করেছেন। এবার প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে তাকে মনোনয়ন দেয় পিপলস ন্যাশনাল কংগ্রেস দল। নির্বাচনে তিনি ক্ষমতাসীন প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম মোহামেদ সোলিহকে পরাজিত করেন। নির্বাচনের ফল প্রকাশ হওয়ার পর পরাজয় স্বীকার করে তাকে অভিনন্দন জানান প্রেসিডেন্ট সোলিহ। ইউনিভার্সিটি অব লন্ডন থেকে স্ট্রাকচারাল ইঞ্জিনিয়ারিংয়ে ব্যাচেলর ও মাস্টার্স ডিগ্রি সম্পন্ন করেছেন প্রেসিডেন্ট মুইজ্জু।
ইউনিভার্সিটি অব লিডস থেকে সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিংয়ে অর্জন করেন পিএইচডি। সাবেক প্রেসিডেন্ট ওয়াহিদের অধীনে আদালত পার্টির সদস্য হিসেবে তিনি ২০১২ সালে গৃহায়ন বিষয়ক মন্ত্রীর দায়িত্ব নেন। ২০১৩ সালে প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের পর নতুন প্রেসিডেন্ট আবদুল্লাহ ইয়ামিনের প্রশাসনের অধীনেও তিনি গৃহায়ন বিষয়ক মন্ত্রীর দায়িত্বে বহাল থাকেন। এ সময়ের মধ্যে তিনি মালদ্বীপস ডেভেলপমেন্ট এলায়েন্সের (এমডিএ) সদস্য হন। এই দলটি তখন সরকারের সঙ্গে জোট গঠন করে।
পরে গৃহায়ন ও পরিবেশ বিষয়ক মন্ত্রণালয়কে পুনর্গঠন করা হয়। পাঁচ বছর মেয়াদে এর নাম দেয়া হয় গৃহায়ন ও অবকাঠামো বিষয়ক মন্ত্রণালয়। এ মন্ত্রণালয়ের অধীনে সিনামালে ব্রিজ সহ অনেক অবকাঠামো প্রকল্প দেখাশোনা করেন তিনি। সিনামালে ব্রিজটি রাজধানী মালেকে সংযুক্ত করেছে হুলহুলে দ্বীপে অবস্থিত ভেলানা আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের সঙ্গে। মালদ্বীপের ইতিহাসে এটাই প্রথম আন্তঃদ্বীপ সংযোগকারী সেতু। মন্ত্রী হিসেবে বাকি সময় তিনি আরও অনেক অবকাঠামো বিষয়ক প্রকল্প সম্পন্ন করেন। এর মধ্যে আছে বহু বন্দর, জেটি, পার্ক, মসজিদ, সরকারি ভবন, স্পোর্টস ফ্যাসিলিটি এবং সদক।
২০১৮ সালের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের পরে এমডিএ ত্যাগ করেন মুইজ্জু। যোগ দেন বিদায়ী প্রেসিডেন্টের দল প্রগ্রেসিভ পার্টি অব মালদ্বীপসে (পিপিএম)। ২০১৯ সালে তাকে ভাইস প্রেসিডেন্ট নিয়োগ করা হয়। ইলেকশন্স ডিপার্টমেন্টের প্রধানও করা হয় তাকে। এরপর ২০২১ সালে তখনকার ক্ষমতাসীন মালদ্বীভিয়ান ডেমোক্রেটিক পার্টির প্রার্থীকে পরাজিত করে রাজধানী মালের মেয়র নির্বাচিত হন। ওদিকে সাবেক প্রেসিডেন্ট ও বিরোধীদলীয় নেতা আবদুল্লাহ ইয়ামিন অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে অভিযুক্ত হন। ফলে পিপলস ন্যাশনাল কংগ্রেসের প্রার্থী হিসেবে প্রেসিডেন্ট পদে মনোনয়ন দেয়া হয় মোহামেদ মুইজ্জুকে। পিপলস ন্যাশনাল কংগ্রেস হলো বিরোধী জোটের একটি অংশ।
নির্বাচনে তার রানিংমেট বা ভাইস প্রেসিডেন্ট প্রার্থী করা হয় এমপি হোসেন মোহামেদ লতিফকে। নির্বাচনের প্রথম রাউন্ডে মোহামেদ মুইজ্জু শতকরা ৪৬.০৬ ভাগ ভোট পান। কিন্তু শতকরা ৫০ ভাগ বা তার বেশি ভোট না পাওয়ায় নির্বাচন দ্বিতীয় রাউন্ডে গড়ায়। সেই নির্বাচন হয় ৩০শে সেপ্টেম্বর। এতে ক্ষমতাসীন প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম সোলিহকে পরাজিত করে প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হন মুইজ্জু। তিনি পান শতকরা ৫৪.০৪ ভাগ ভোট। অন্যদিকে ইব্রাহিম সোলিহ পান শতকরা ৪৬.০৪ ভাগ। এরপর ১৭ই নভেম্বর শপথ নিয়ে তিনি দেশটির ৮ম প্রেসিডেন্ট হিসেবে কার্যক্রম শুরু করেন।
নির্বাচনী প্রচারণার শুরু থেকেই তিনি মালদ্বীপকে ভারতের প্রভাব থেকে বের করে আনার ওপর জোর দেন। দায়িত্ব নেয়ার আগে এক সাক্ষাৎকারে তিনি বলেছেন, মালদ্বীপ থেকে ভারতের সব সেনাসদস্যের চলে যাওয়া উচিত।
তার প্রতি মানবাধিকারকে অগ্রাধিকার দিয়ে তা সুরক্ষিত রাখতে এবং মানবাধিকারকে অনুমোদন দিতে অনরোধ করেছে আন্তর্জাতিক মানবাধিকার বিষয়ক সংগঠন হিউম্যান রাইটস ওয়াচ। এ বিষয়ে তারা প্রেসিডেন্ট মুইজ্জুকে একটি চিঠি লিখেছে। এতে বলা হয়েছে, সাতটি গুরুত্বপূর্ণ খাতে মানবাধিকারের প্রতি প্রতিশ্রুতি রক্ষা করা উচিত নতুন সরকারের।
এগুলো হলো- দ্বীপরাষ্ট্রের সম্প্রদায়কে রক্ষা করতে মালদ্বীপের পরিবেশ বিষয়ক আইনকে শক্তিশালী এবং তার প্রয়োগ করা। শান্তিপূর্ণ মত প্রকাশের জন্য সমাবেশের স্বাধীনতা বিষয়ক আইন এবং ‘এভিডেন্স অ্যাক্ট’ আন্তর্জাতিক মানবাধিকারের মানদণ্ড অনুযায়ী সংশোধন করা। সমকামিতাকে অপরাধ হিসেবে গণ্য করে মালদ্বীপের ২০১৪ সালের দণ্ডবিধি বাতিল করা।
বিচার বিভাগের স্বাধীনতাকে শক্তিশালী করতে সমালোচিত আইনকে সংস্কার করা এবং অতীতের অপরাধের কারণে দীর্ঘ প্রতীক্ষিত জবাবদিহিতাকে নিশ্চিত করা।
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: