ভারতীয় সংবিধানের ঐতিহাসিক ৩৭০ ধারা বাতিলের বৈধতার রায় আজ
রাজ টাইমস ডেস্ক : | প্রকাশিত: ১১ ডিসেম্বর ২০২৩ ১৩:৫১; আপডেট: ১৮ মার্চ ২০২৫ ০৫:০৩
-2023-12-11-13-50-57.jpg)
জম্মু ও কাশ্মীরের বিশেষ মর্যাদা ২০১৯ সালের আগস্টে বাতিল করা হয় ভারতের সংবিধানের ৩৭০ অনুচ্ছেদ। এরপর ওই বিশেষ অঞ্চলকে ভেঙে দুটি ইউনিয়ন টেরিটোরি বানানো হয়।
কেন্দ্রীয় সরকারের এই উদ্যোগ সাংবিধানিকভাবে বৈধ কিনা সে সম্পর্কে আজ সোমবার রায় ঘোষণার কথা ভারতের সুপ্রিম কোর্টের ৫ বিচারকের বেঞ্চে। এই বেঞ্চের নেতৃত্বে আছেন ভারতের প্রধান বিচারপতি ডি ওয়াই চন্দ্রচূড়। এ খবর দিয়েছে অনলাইন এনডিটিভি।
জম্মু ও কাশ্মীরের স্বায়ত্তশাসন বাতিল করায় কেন্দ্রীয় সরকারের ওই উদ্যোগ নিয়ে আন্তর্জাতিক মহলে তীব্র প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হয়। বিশেষ করে পাকিস্তানের সঙ্গে তাদের বিরোধ আরও তীব্র থেকে তীব্র হয়। চার বছর আগে ওই অনুচ্ছেদ বাতিল করার বিষয়কে চ্যালেঞ্জ করে আবেদনের বিষয়ে দীর্ঘদিন শুনানি করেছে আদালত।
পিটিশনকারীদের যুক্তি, কেন্দ্রীয় সরকার একতরফাভাবে অনুচ্ছেদ ৩৭০ বাতিল করতে পারে না। সুপ্রিম কোর্ট প্রশ্ন করেছে সংবিধানের ৩৭০ ধারা প্রত্যাহারের সুপারিশ কে করতে পারেন। আইন অনুযায়ী, সংবিধানের অস্থায়ী ৩৭০ ধারা বাতিল করতে হলে গঠনতন্ত্র পরিষদের (কনস্টিটিউয়েন্ট অ্যাসেম্বলি) অনাপত্তি প্রয়োজন। সেই গঠনতন্ত্র পরিষদ বিলুপ্ত হওয়ার পর কিভাবে এই ধারাটি স্থায়ী হলো, তাও জানতে চেয়েছেন আদালত।
জবাবে কেন্দ্রীয় সরকারের পক্ষে যুক্তি দেয়া হয়েছে যে, আইনি কাঠামোর অধীনেই এই সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। এতে আরও বলা হয়, জম্মু ও কাশ্মীরের মূলধারায় সন্ত্রাসবাদ হ্রাস পেয়েছে। সমান প্লেয়িং ফিল্ড সৃষ্টি হয়েছে।
সরকার বলেছে, এর ফলে গত চার বছরে ওই রাজ্যে দ্রুততার সঙ্গে উন্নয়ন হয়েছে। অনুচ্ছেদ ৩৭০ এর অধীনে জম্মু ও কাশ্মীরের অসংখ্য মানুষকে মৌলিক অধিকার বঞ্চিত রাখা হয়েছিল। এর মধ্যে আছে শিক্ষার অধিকার। সাংবিধানিক অধিকার স্বয়ংক্রিয়ভাবে ভারতের প্রতিজন নাগরিকের ওপর প্রযোজ্য।
ওদিকে আজকের এই রায়কে কেন্দ্র করে কাশ্মীর উপত্যকায় নিরাপত্তা কঠোর করা হয়েছে। সুপ্রিম কোর্ট এ নিয়ে যে রায় দেবে, তার প্রতি সম্মান দেখানোর কথা বলেছে বিজেপি। যদি বিরূপ রায় দেয় তবুও নিজের দল শান্তি বিঘ্নিত করবে না বলে প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন সাবেক মুখ্যমন্ত্রী ও ন্যাশনাল কনফারেন্স প্রধান ওমর আবদুল্লাহ।
বলেছেন, তারা আইনগত উপায়ে তাদের লড়াই অব্যাহত রাখবেন। অন্যদিকে আদালত জনগণের কাতারে থাকবে বলে আশা প্রকাশ করেছেন পিপলস ডেমোক্রেটিক পার্টির প্রধান ও সাবেক মুখ্যমন্ত্রী মেহবুবা মুফতি।
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: