গাজার সুড়ঙ্গে সাগরের পানি ঢোকানো শুরু ইসরাইলের

রাজ টাইমস ডেস্ক : | প্রকাশিত: ১৩ ডিসেম্বর ২০২৩ ০৯:০৮; আপডেট: ১৩ মে ২০২৫ ১৮:১৯

- ছবি - ইন্টারনেট

ইসরাইলি সামরিক বাহিনী গাজা উপত্যকার ফিলিস্তিনি প্রতিরোধ আন্দোলন হামাসের সুড়ঙ্গগুলোতে সাগরের লোনা পানি ঢোকানো শুরু করেছে। পরিচয় প্রকাশ না করা মার্কিন কর্মকর্তাদের উদ্ধৃতি দিয়ে ওয়াল স্ট্রিট জার্নাল এ খবর প্রকাশ করে বলেছে, প্রক্রিয়াটি সম্পন্ন করতে কয়েক সপ্তাহ লাগবে।

বাইডেন প্রশাসনের কয়েকজন কয়েকজন কর্মকর্তা বলেছেন, পানি প্রবেশ করানোর ফলে সুড়ঙ্গগুলো ধ্বংস করা সহজ হবে। ইসরাইল মনে করে, হামাস তাদের হাতে আটক পণবন্দীদের এসব সুড়ঙ্গে আটকে রেখেছে। এছাড়া এখানে তাদের যোদ্ধঅ ও অস্ত্র শস্ত্রও মজুত রয়েছৈ। অনেকে আশঙ্কা করেছেন যে সাগরের নোনা পানি প্রবেশ করানোর ফলে গাজার মিঠা পানির সরবরাহ ঝুঁকির মধ্যে পড়ে যাবে।

গাজার সুড়ঙ্গগুলোতে লবণাত্মক পানি প্রবেশ করানোর জন্য গত মাসে ইসরাইলি বাহিনী পাঁচটি বিশাল পাম্প স্থাপন করে। এগুলোর দুটি দিয়ে পানি ঢোকানোর কাজ শুরু করা হয়েছে বলে মার্কিন কর্মকর্তারা জার্নালকে জানিয়েছেন।

ওই কর্মকর্তারা বলেন, প্রথম পাম্পটি বসানো হয়েছে আল-শাথি উদ্বাস্তু ক্যাম্পের উত্তরে। এসব পাম্পের প্রতিটি হাজার হাজার কিউবিক মিটার পানি সুড়ঙ্গগুলোতে ঢোকাতে সক্ষম।

উল্লেখ্য, ২০১৫ সালে মিসর গাজা উপত্যকা এবং সিনাই উপদ্বীপের মধ্যকার সুড়ঙ্গগুলোতে সাগরের পানি ঢুকিয়েছিল। এর ফলে সেখানকার মাটির ভয়াবহ ক্ষতি হয়েছিল, ফসল ফলানো প্রায় শেষ হয়ে গিয়েছিল।

এদিকে সাগরের পানি ঢোকানো হলেই যে ইসরাইলি বাহিনী তাদের কার্যসিদ্ধি করতে পারবে, তা নয়। কারণ সুড়ঙ্গগুলোর প্রকৃতি এবং কাঠামো এখনো স্পষ্ট নয়।

তাছাড়া সুড়ঙ্গগুলো পানিতে ভাসাতে কয়েক সপ্তাহ সময় লাগবে। ফলে হামাসের যোদ্ধারা পণবন্দীদের নিয়ে অন্য কোথাও সরে যাওয়ার সুযোগ পাবে।



বিশ্বজুড়ে করোনাভাইরাস
এই বিভাগের জনপ্রিয় খবর
Top