গাজায় ইসরাইলের নতুন করে হামলা ‘অগ্রহণযোগ্য’: ইইউ
রাজটাইমস ডেস্ক | প্রকাশিত: ১৯ মার্চ ২০২৫ ২১:১০; আপডেট: ২০ মার্চ ২০২৫ ০২:৪৮

গাজায় ইসরাইলের নতুন করে হামলা ‘অগ্রহণযোগ্য’ বলে উল্লেখ করেছেন ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) পররাষ্ট্রনীতি বিষয়ক প্রধান কাজা কালাস। মঙ্গলবার ইসরাইলের পররাষ্ট্রমন্ত্রী গিডিয়ন সা’রের সঙ্গে এক কথোপকথনে তিনি এ কথা বলেন।
বুধবার বার্তা সংস্থা এএফপি এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে।
প্রতিবেদন অনুযায়ী, গত ১৯ জানুয়ারি ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাসের সঙ্গে সাময়িক যুদ্ধবিরতির চুক্তির করে ইসরাইল। গত ১ মার্চ সেই চুক্তির মেয়াদ শেষ হয়। নতুন করে যুদ্ধবিরতি চুক্তি নিয়ে আলোচনায় না গিয়ে গাজায় আবারও অভিযান শুরু করে ইসরাইলি বাহিনী। এরই জেরে মঙ্গলবার গাজা উপত্যকায় ব্যাপক বিমান হামলা চালায় ইসরাইল।
হামাস-নিয়ন্ত্রিত অঞ্চলের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, যুদ্ধবিরতির মেয়াদ বাড়ানোর আলোচনা ভেস্তে যাওয়ার পর ইসরাইলের বোমা হামলায় দুদিনে প্রায় সাড়ে ৪০০ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। যাদের মধ্যে অধিকাংশই নারী ও শিশু। এছাড়া আহত হয়েছেন কয়েকশ জন।
এর আগে মঙ্গলবার রাতে ইসরাইলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেছেন, ‘এই হামলা কেবল শুরু। হামাসের সঙ্গে ভবিষ্যতে আলোচনা কেবল হামলার মাধ্যমেই হবে।’
এ বিষয়ে ইউরোপীয় ইউনিয়নের পররাষ্ট্রনীতিবিষয়ক প্রধান কাজা কালাস বলেন, তিনি মঙ্গলবার এক কথোপকথনে ইসরাইলের পররাষ্ট্রমন্ত্রী গিডিয়ন সারকে জিজ্ঞাসা করেছেন, ‘আপনি কেন এটি করছেন?’
কালাস জানান, তিনি এই হামলাকে ‘অগ্রহণযোগ্য’ বলে বার্তা দিয়েছেন। এতে তিনি বিশেষভাবে ‘বেসামরিক মানুষের প্রাণহানির’ কথা উল্লেখ করেছেন।
কালাস আরও জানান, আগামী রোববার তিনি মিসরে যাবেন এবং ‘আরব কুইন্ট’-এর সঙ্গে চলমান পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা করবেন। যে আলোচনায় অংশ নেবে মিসর, জর্ডান, কাতার, সৌদি আরব ও সংযুক্ত আরব আমিরাত।
একই সঙ্গে ইসরাইলের ওপর কূটনৈতিক চাপ বাড়ানোর প্রয়োজন রয়েছে বলেও জানান ইউরোপীয় ইউনিয়নের পররাষ্ট্রনীতিবিষয়ক প্রধান।
২০২৩ সালের ৭ অক্টোবরের হামলায় হামাসের হাতে জিম্মি হওয়া ব্যক্তিদের ফিরিয়ে না দেওয়া পর্যন্ত ইসরাইল লড়াই চালিয়ে যাওয়ার প্রতিজ্ঞা করে। সেই থেকে ইসরাইলের অব্যাহত হামলায় গাজায় এ পর্যন্ত প্রায় ৬২,০০০ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন, যাদের বেশিরভাগই নারী ও শিশু। আহত হয়েছেন ১১২,০০০-র বেশি।
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: