মিয়ানমারে ভূমিকম্প: জুমার নামাজের সময় মসজিদ ধসে ২০ জন নিহত
রাজ টাইমস ডেস্ক | প্রকাশিত: ২৮ মার্চ ২০২৫ ২০:৩০; আপডেট: ৩১ মার্চ ২০২৫ ১৬:১৭

মিয়ানমারে ভয়াবহ ভূমিকম্পের পর ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি ও হতাহতের খবর পাওয়া যাচ্ছে। স্থানীয় খিত থিত সংবাদমাধ্যমের বরাতে আনাদোলু এজেন্সি জানিয়েছে, শুক্রবার জুমার নামাজের সময় মান্দালয় অঞ্চলের শোয়ে ফো শিং মসজিদে কমপক্ষে ২০ জন নিহত হয়েছেন।
একজন স্বেচ্ছাসেবক বলেছেন, আমরা যখন নামাজ পড়ছিলাম তখন মসজিদটি ধসে পড়ে। প্রায় তিনটি মসজিদ ধসে পড়েছে। সেখানে মানুষ আটকা পড়ে আছে। এখন পর্যন্ত কমপক্ষে ২০ জন মারা গেছেন। মৃতের সংখ্যা আরও বেশি হতে পারে।
স্থানীয় ইলেভেন মিডিয়া গ্রুপ জানিয়েছে, মসজিদ ছাড়াও মায়ানমারের বিভিন্ন স্থানে বৌদ্ধ মন্দির ধসে পড়ার খবর আসছে। টাউঙ্গু শহরে একটি মঠ ধসে পাঁচ জন বাস্তুচ্যুত শিশু প্রাণ হারিয়েছে।
আনাদোলু এজেন্সির খবর, ৭.৭ মাত্রার শক্তিশালী ভূমিকম্পের ১২ মিনিট পর ফের ৬.৪ মাত্রার একটি ভূমিকম্প অনুভূত হয়। সবশেষ কমপক্ষে ২৮ জন নিহতের খবর পাওয়া গেছে।
এছাড়া ভূমিকম্পের সময় মান্দালয়ের ঐতিহাসিক আভা সেতুটিও ভেঙে পড়েছে এবং ঐতিহাসিক মান্দালয় প্রাসাদটি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বলে জানা গেছে।
রাষ্ট্র পরিচালিত এমআরটিভি তাদের টেলিগ্রাম চ্যানেলে রাজ্য প্রশাসন পরিষদের এক বিবৃতির উদ্ধৃতি দিয়ে জানিয়েছে, জাতীয় দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কমিটি সাগাইং অঞ্চল, মান্দালয় অঞ্চল, ম্যাগওয়ে অঞ্চল এবং উত্তর-পূর্ব শান রাজ্য, নেপিদো কাউন্সিল এলাকা এবং বাগো অঞ্চলের ভূমিকম্পে ক্ষতিগ্রস্ত এলাকায় জরুরি অবস্থা ঘোষণা করেছে।
এমআরটিভি জানিয়েছে, ইতোমধ্যে জান্তা প্রধান মিন অং হ্লাইং ভূমিকম্পের ক্ষয়ক্ষতি পরিদর্শন করতে ভূমিকম্প-কবলিত এলাকা পরিদর্শন করেছেন। ধসে পড়া ভবনে আটকে পড়া ব্যক্তিদের সরিয়ে নেওয়ার পাশাপাশি অন্যান্য ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশ দিয়েছেন। তিনি দেশের অন্যান্য ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা পরিদর্শন অব্যাহত রাখবেন।
রাজধানী নেপিদোর একটি প্রধান হাসপাতালেও অনেক হতাহতের খবর পাওয়া গেছে। জানা গেছে, আহতরা সাগাইং অঞ্চল, মান্দালয় অঞ্চল এবং নেপিদো কাউন্সিল এলাকার সরকারি হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছেন এবং রক্তের জরুরি প্রয়োজন রয়েছে।
মিয়ানমারে বেশ কয়েকটি মন্ত্রণালয়ের ভবনও ধসে পড়ার খবর পাওয়া গেছে। যার মধ্যে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এবং শ্রম মন্ত্রণালয়ও রয়েছে। ভূমিকম্পে শহরের বিমান চলাচল নিয়ন্ত্রণ টাওয়ারের কর্মচারীরা নিহত হয়েছেন বলে জানা গেছে।
এক সংক্ষিপ্ত বিবৃতিতে জাতিসংঘের আন্তর্জাতিক শিশু জরুরি তহবিল বলেছে, তারা ভয়াবহ ভূমিকম্পে ক্ষতিগ্রস্ত শিশু এবং পরিবারের নিরাপত্তার জন্য গভীরভাবে উদ্বিগ্ন। 'পরিস্থিতি আরও খারাপ হলে আমরা প্রভাব মূল্যায়ন করতে এবং তাৎক্ষণিক সহায়তা প্রদানের জন্য অংশীদারদের সাথে কাজ করছি।'
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: