ইয়েমেনে অভিবাসী আশ্রয়কেন্দ্রে মার্কিন হামলায় নিহত ৬৮

রাজ টাইমস ডেস্ক | প্রকাশিত: ২৮ এপ্রিল ২০২৫ ২০:৩৭; আপডেট: ২৯ এপ্রিল ২০২৫ ০০:৩৫

- ছবি - ইন্টারনেট

উত্তর ইয়েমেনের সাদা প্রদেশে আফ্রিকান অভিবাসীদের একটি আশ্রয়কেন্দ্রে মার্কিন বিমান হামলায় অন্তত ৬৮ জন নিহত এবং আরও ৪৭ জন আহত হয়েছেন।

সোমবার হুথি আনসারুল্লাহ নিয়ন্ত্রিত দেশটির স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে এ তথ্য জানিয়েছে।

বিবৃতিতে বলা হয়, হামলার লক্ষ্যবস্তু ছিল ১১৫ জন আফ্রিকান অভিবাসীকে আশ্রয় দেওয়া একটি কেন্দ্র। খবর তুর্কি বার্তা সংস্থা আনাদোলুর।

ইয়েমেনের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানায়, আন্তর্জাতিক অভিবাসন সংস্থা (আইওএম) এবং আন্তর্জাতিক রেডক্রস কমিটির (আইসিআরসি) তত্ত্বাবধানে থাকা এই আশ্রয়কেন্দ্রে হামলা চালায় যুক্তরাষ্ট্র। মার্কিন এই হামলাকে দেশটি ‘পুরোপুরি যুদ্ধাপরাধ’ বলে আখ্যায়িত করেছে।

হুথি-নিয়ন্ত্রিত আল-মাসিরা টেলিভিশন প্রচারিত ফুটেজে দেখা যায়, হামলায় আশ্রয়কেন্দ্রটির ব্যাপক ধ্বংসযজ্ঞ হয়েছে এবং আহতদের হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে।

প্রতিবেদনে আরও জানানো হয়, মার্কিন বিমান থেকে নিক্ষেপ করা একটি ক্ষেপণাস্ত্র বিস্ফোরিত হয়নি এবং বিশেষজ্ঞ দল তা নিষ্ক্রিয় করার কাজ করছে।

যদিও এ হামলার বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্রের পক্ষ থেকে এখনো কোনো মন্তব্য পাওয়া যায়নি।

তবে ইয়েমেনি বাহিনীর দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, গত ১৫ মার্চ থেকে এ পর্যন্ত যুক্তরাষ্ট্র ১,২০০-র বেশি বিমান হামলা চালিয়েছে। যাতে ১,৩০০ জনের বেশি মানুষ হতাহত হয়েছেন। যাদের বেশিরভাগই নারী ও শিশু।

এদিকে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প গত মাসে বলেছিলেন, তিনি হুথি গোষ্ঠীর বিরুদ্ধে ‘নির্ণায়ক এবং শক্তিশালী সামরিক পদক্ষেপ’ নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন। এমনকি পরে তাদেরকে ‘সম্পূর্ণভাবে ধ্বংস করার’ হুমকি দেন তিনি।

হুথি আনসারুল্লাহ নিয়ন্ত্রিত ইয়েমেনি বাহিনী মূলত ২০২৩ সালের নভেম্বর থেকে গাজা উপত্যকার ফিলিস্তিনিদের প্রতি সংহতি জানিয়ে লোহিত সাগর, আরব সাগর, বাব আল-মান্দেব প্রণালী ও এডেন উপসাগর দিয়ে চলাচলকারী জাহাজগুলোকে লক্ষ্য করে হামলা চালিয়ে আসছে।

পাল্টা জবাব হিসেবে ইসরাইল ও মার্কিন বাহিনীও ইয়েমেনে হামলা চালিয়ে আসছে। যাতে দেশটিতে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতির সঙ্গে বেসামরিক হতাহতের পরিমাণও বাড়ছে।

এদিকে ফিলিস্তিনি স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের দেওয়া তথ্যানুযায়ী, গাজায় ইসরাইলি বাহিনীর ১৯ মাসব্যাপী বর্বর অভিযানে ৫২,৩০০-রও বেশি মানুষ নিহত হয়েছে।

তবে গাজার তথ্য অফিস হাজার হাজার নিখোঁজ ফিলিস্তিনিদের তথ্য সমন্বয় করে নিহতের মোট সংখ্যা ৬২ হাজারেরও বেশি বলে উল্লেখ করেছে। যাদের বেশিরভাগই নারী ও শিশু। এছাড়া আহত হয়েছেন আরও প্রায় দেড় লাখ ফিলিস্তিনি।

এহেন পরিস্থিতিতে চলতি বছরের জানুয়ারিতে গাজায় যুদ্ধবিরতি ঘোষণার পর হুথিরাও তাদের হামলা স্থগিত করেছিল। তবে গত মাসে ইসরাইল নতুন করে গাজায় বিমান হামলা শুরু করলে হুথিরা আবারও পশ্চিমা জাহাজ লক্ষ্য করে হামলা শুরু করে।



বিশ্বজুড়ে করোনাভাইরাস
এই বিভাগের জনপ্রিয় খবর
Top