ইসরায়েল-যুক্তরাষ্ট্রকে সহযোগিতা করলে মৃত্যুদণ্ড : ইরান
রাজ টাইমস ডেস্ক | প্রকাশিত: ১ জুলাই ২০২৫ ১২:০৬; আপডেট: ২৯ আগস্ট ২০২৫ ০০:২৭

ইসরায়েল, আমেরিকা কিংবা অন্য শত্রু রাষ্ট্রকে সহযোগিতা করার শাস্তি হিসেবে মৃত্যুদণ্ডের বিধান রেখে নতুন আইন পাস করেছে ইরানের পার্লামেন্ট। একই সঙ্গে স্টারলিংকের মতো অননুমোদিত ইন্টারনেট সংযোগ ব্যবহারের অপরাধীকেও শাস্তিযোগ্য বলে ঘোষণা করা হয়েছে।
আইনের ভাষায় বলা হয়েছে, “দেশের নিরাপত্তা বা জাতীয় স্বার্থের বিরুদ্ধে গিয়ে ইসরায়েল, যুক্তরাষ্ট্র কিংবা অন্য কোনো শত্রুরাষ্ট্র ও গোষ্ঠী বা তাদের এজেন্টদের হয়ে গোয়েন্দা বা কোনো ধরনের কার্যক্রম পরিচালনা করলে তা ‘মানবজাতির বিরুদ্ধে অপরাধের’ শামিল। এই অপরাধের শাস্তি মৃত্যুদণ্ড।”
এদিকে, কূটনৈতিক আলোচনা আবার শুরু করতে চাইলে যুক্তরাষ্ট্রকে ইরানের ওপর নতুন করে হামলার চিন্তা বাতিল করতে হবে জানিয়েছে তেহরান। ইরানের উপপররাষ্ট্রমন্ত্রী মাজিদ তাখত-রাভানছি এ কথা বলেছেন।
বিবিসিকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে মাজিদ তাখত-রাভানছি বলেন, ট্রাম্প প্রশাসন মধ্যস্থতাকারীদের মাধ্যমে জানিয়েছে যে তারা আলোচনায় ফিরতে চায়। কিন্তু আলোচনা চলাকালে নতুন করে হামলার মতো খুবই গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্নে যুক্তরাষ্ট্র এখনো তাদের অবস্থান পরিষ্কার করেনি।
ইরানে ইসরায়েলের সামরিক অভিযান শুরু হয়েছিল গত ১৩ জুন। ওমানের রাজধানী মাস্কাটে তার দুই দিন পরেই যুক্তরাষ্ট্র এবং ইরানের মধ্যে ষষ্ঠ দফার আলোচনায় বসার কথা ছিল। তাখত-রাভানছি বলেন, ইরান শান্তিপূর্ণ ব্যবহারের জন্য ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধকরণে সক্ষম। গোপনে ইরান পরমাণু বোমা তৈরির দিকে অগ্রসর হচ্ছে এমন অভিযোগ প্রত্যাখ্যান করেন তিনি।
তিনি আরো বলেন, গবেষণা কর্মসূচির জন্য ইউরেনিয়াম সামগ্রীতে প্রবেশাধিকার পায়নি বলেই ইরানকে নিজের সক্ষমতার ওপর নির্ভর করতে হয়েছে। কোন মাত্রায় থাকবে বা কতটা সক্ষমতা থাকবে তা নিয়ে আলোচনা হতে পারে। কিন্তু তোমার সমৃদ্ধকরণ কর্মসূচি থাকবে না, শূন্য মাত্রায় থাকবে এবং তুমি একমত না হলে তোমার ওপর বোমা মারব—এগুলো জঙ্গলের আইন।
ইসরায়েল ইরানের পারমাণবিক ও সামরিক স্থাপনায় হামলার পাশাপাশি দেশটির বেশ কয়েকজন সামরিক কমান্ডার ও বিজ্ঞানীকে হত্যা করেছে। তাদের অভিযোগ ছিল তেহরান পারমাণবিক অস্ত্র তৈরির দ্বারপ্রান্তে পৌঁছে গেছে।
এর জবাবে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়েছে ইরান। ১২ দিনের এই সংঘাতের সময় যুক্তরাষ্ট্র ফোর্দো, নাতাঞ্জ ও ইস্পাহান পরমাণু স্থাপনায় বোমা হামলা চালায়। তবে যুক্তরাষ্ট্রের হামলায় ইরানের পরমাণু কর্মসূচি কতটা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে তা এখনো পরিষ্কার নয়।
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: