কর্মঘণ্টা কমিয়ে যে ফল পেলো আইসল্যান্ড

রাজটাইমস ডেস্ক | প্রকাশিত: ৭ জুলাই ২০২১ ১৫:০৬; আপডেট: ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ০১:০৭

ছবি:প্রতিকী

সাপ্তাহিক কর্মঘণ্টা কমালে কী প্রভাব পড়ে—তা জানতে দুটি পরীক্ষা চালিয়েছিল আইসল্যান্ড। দুটি পরীক্ষাতেই ইতিবাচক ফল পাওয়া গেছে। দেখা গেছে, স্বাভাবিকের চেয়ে কর্মঘণ্টা কিছুটা কমালে কর্মীদের উৎপাদনশীলতা বাড়ে এবং তারা আরও বেশি সুস্থ্য থাকেন। যার প্রভাব পড়ে পুরো দেশের শ্রমখাতে।

২০১৫ থেকে ২০১৯ সাল পর্যন্ত এসব ট্রায়ালে অংশ নেওয়া আড়াই হাজার কর্মীর সাপ্তাহিক কর্মঘণ্টা ৪০ থেকে কমিয়ে ৩৫ এবং ৩৬ করা হয়। সম্প্রতি ট্রায়ালগুলোর ফলাফল প্রকাশ করেছেন সংশ্লিষ্ট গবেষকরা।

চার বছরব্যাপী এ ট্রায়ালে দেশটির সরকারি, বেসরকারি ২৫০০ কর্মজীবী অংশ নেন। এ সংখ্যা আইসল্যান্ডের মোট কর্মজীবীর ১ শতাংশ। এসব কর্মীদের কর্মঘণ্টা কমানো হলেও তাদের বেতন বা মজুরি কমানো হয়নি।

আইসল্যান্ডের অ্যাসোসিয়েশন ফর সাস্টেইনেবল ডেমোক্রেসি এবং যুক্তরাজ্যভিত্তিক থিংকট্যাঙ্ক অটোনমি যৌথভাবে সমীক্ষার প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে। এতে প্রাপ্ত ফলাফলকে ‘দারুন সাফল্য’ বলে আখ্যায়িত করা হয়েছে।

গবেষক গুডমুন্ডুর ডি. হ্যারাল্ডসন এ ব্যাপারে বলেন, আইসল্যান্ডের স্বল্প কর্মঘণ্টার এ যাত্রা আমাদের এটা শিখিয়েছে যে, এই আধুনিক সময়ে শুধু স্বল্প কর্মঘণ্টা কাজই করা যায় না, বরং এর মাধ্যমে সাফল্যও পাওয়া যায়। স্বল্প কর্মঘণ্টার দিকে আমাদের যাত্রাটি যে কারো জন্য আগ্রহের বিষয় হতে পারে।

এ ব্যাপারে যুক্তরাজ্যভিত্তিক থিংকট্যাঙ্ক অটোনমির গবেষণা বিভাগের পরিচালক উইল স্ট্রং বলেন, এসব পরীক্ষা সপ্তাহে চার কর্মদিবস সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নের পক্ষে একটি অগ্রণী পদক্ষেপের মতো কাজ করছে।

মূলত বিশ্বের বিভিন্ন দেশে সপ্তাহে চার কর্মদিবস বিষয়ে জোর আলোচনা রয়েছে। স্পেন চার কর্মদিবসের একটি ৩ বছর মেয়াদী পরীক্ষামূলক প্রকল্প হাতে নিয়েছে। এ বছরের শেষ নাগাদ প্রকল্পটি শুরু হবে। এতে মধ্যমসারির ২০০টি কোম্পানি অংশ নেবে। এসব কোম্পানিকে ৩ বছরে ক্ষতিপূরণ হিসেবে ৫০ মিলিয়ন ইউরো দেওয়ার পরিকল্পনা রয়েছে স্পেনের।



বিষয়: চাকুরি


বিশ্বজুড়ে করোনাভাইরাস
এই বিভাগের জনপ্রিয় খবর
Top